মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গত দু’বছরে বিশ্বজুড়ে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে অসংখ্য মানুষের। কোভিড আতঙ্ক এখনও কাটেনি। বরং নতুন করে চীন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ হয়ে উঠছে মহামারী। এই পরিস্থিতিতে এক মহিলা নিজের পোষ্যের নাম ‘কোভিড’ রাখায় সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম কটাক্ষের শিকার হলেন।
নেটিজেনদের বক্তব্য, যে ভাইরাসের জন্য গোটা পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, সেই ভাইরাসের নামে কেউ কী করে নিজের কুকুরকে নাম রাখতে পারে! এটা চূড়ান্ত অসংবেদনশীলতা।
কুকুরের নাম কোভিড রাখার পিছনে যুক্তি রয়েছে মহিলার। তিনি জানিয়েছেন, লকডাউনের সময় ওই অনাথ কুকুরটিকে পান, সেই কারণেই ‘কোভিড’ বলে ডাকতে শুরু করেন। মহিলা জানান, “লকডাউনের শুরুর দিকে কুকুরটিকে আমাদের বাড়ির পেছন দিকের বাগানে ঘুরে বেড়াতে দেখি। তারপর থেকে ও আমাদের কাছেই রয়েছে। যত দিন না ওর মালিক এসে দাবি করছেন, ততদিন এখানেই থাকবে। আমরা স্থানীয় দোকানে ওর মালিকের সন্ধানে পোস্টারও দিয়েছিলাম।” মহিলা এইসঙ্গে জানান, “আমরা ওর কোভিড নাম রেখেছি, যেহেতু কোভিডের কারণেই ওকে পেয়েছি।”
মহিলা জানিয়েছেন, কিছুদিন হল কুকুরটিকে নিয়ে রাস্তায় বেরোনো শুরু করেছিলেন তিনি। মাঝে কাছের একটি সমুদ্র সৈকতে বেরাতে যান পোষ্যকে নিয়ে। সেখানেই প্রথমবার গোল বাধে। কুকুরটিকে ‘কোভিড’ বলে ডাকা দিতে এক দম্পতি ওই নাম নিয়ে প্রবল আপত্তি জানান। বলেন, “আমাদের কাকার মৃত্যু হয়েছে কোভিডে। এমন নাম রাখলেন কী করে!” ওই দম্পতি আরও বলেন, “কীরকম লাগবে আপনার যদি কেউ তার পোষ্যকে ‘ক্যানসার’ বা ‘মৃত্যু’ বলে ডাকে?”
এই ঘটনাটির পরে নিজেই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেন মহিলা। সবটা জানিয়ে তিনি নেটিজেনদের কাছে জানতে চান, পোষ্যের নাম ‘কোভিড’ রাখা কি খুব অন্যায় হয়ে গিয়েছে? এর প্রতিক্রিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় নেটিজেনরা। চরম কটাক্ষের মুখে পড়েন ওই মহিলা।
এক নেটিজেন লেখেন, “আপনি কি একটি কুকুরের নাম এডস রাখতে পারবেন? রাস্তাঘাটে তাকে বলতে পারবেন, এদিকে এসো এডস, কাম হেয়ার।” আরেক নেটিজেন বলেন, “বোকার মতো একটা নাম দেওয়া হয়েছে। তাও ভাল এটা কুকুর। কোনও মানুষের সন্তান হলে ভয়ংকর ব্যাপার হত।” মহিলা কি সত্যিই খুব অন্যায় করে ফেলেছেন? আপনি কী মনে করেন? সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।