Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের এক মাস

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০২২, ২:৫১ পিএম

ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর এক মাস পূর্তি হয়েছে গত ২৪ মার্চ। এখন অবধি এ সঙ্কট থামার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তবে আগের থেকে অনেক নমনীয় হয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

এ দিন রাশিয়ার সেনাবাহিনীর অপারেশন বিভাগের প্রধান সের্গেই রুদস্কইকে বলেছেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের ডনবাস অঞ্চলের ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ নিশ্চিত করাই হবে এখন থেকে তার সৈন্যদের প্রধান লক্ষ্য। ২০১৪ সালে রুশ সমর্থিত বিদ্রোহীরা ডনবাসের বেশ কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়, যার পর থেকে ঐ অঞ্চলে বিদ্রোহী এবং ইউক্রেনিয়ান সৈন্যদের মধ্যে লড়াইতে কম-বেশি ১৫ হাজার মানুষ মারা গেছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শুক্রবার বলছে তাদের "বিশেষ সেনা অভিযানের" দুটো ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্য ছিল - একটি পুরো ইউক্রেন এবং অন্যটি শুধুমাত্র ডনবাস। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তরফে জানানো হয়, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রথম পর্ব অনেকাংশেই শেষ। এখন পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চল পুরোপুরি ‘মুক্ত’ করার দিকে নজর থাকবে রাশিয়ার।

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা অব্যাহত থাকায় বহু স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। বেসামরিক লোক হতাহতের পাশপাশি দেশ ছাড়েন প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশের পর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেন রাশিয়ার সেনারা। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে, এমনকি বেলারুশ থেকেও হামলা চালানো শুরু হয়। ধীরে ধীরে রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয় রুশ সেনারা। টানা এক মাস ধরে যুদ্ধ চললেও এখনো বড় কোনো শহর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেই রাশিয়ার।

সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর নির্দেশের আগে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে পুতিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। পুতিনের এ ঘোষণার পর শুরু হয় ইউক্রেন আভিযান।

রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর একের পর নিষেধাজ্ঞা আসতে থাকে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের কাছ থেকে। আন্তর্জাতিক সুরক্ষিত অর্থ লেনদেন নেটওয়ার্ক সুইফট থেকে বাদ পড়ে রাশিয়া। ইউক্রেন আগ্রাসনের পর বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেল ও ভোগ্যপণ্যের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়। খোদ রাশিয়াতেও বেড়েছে সব পণ্যের দাম। এদিকে, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বড় কয়েকটি শহর। বন্দরনগরী মারিউপোলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন অনেক মানুষ। কোনো কোনে শহরে জারি আছে কারফিউ। সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ