মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেনে টানা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে রাশিয়া। রুশ সেনাদের জোরালো আক্রমণে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এরই মাঝে সামনে এসেছে নতুন তথ্য।
বলা হচ্ছে, ইউক্রেনে আক্রমণ করার জন্য ব্যবহার করা রাশিয়ার নির্ভুল নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যর্থতার হার ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। এ বিষয়ে উঠে আসা গোয়েন্দা তথ্য সম্পর্কে অবগত তিনজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শুক্রবার (২৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ধারণা করছে- এক মাস আগে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করলেও রুশ সেনারা কেন নিজেদের মৌলিক উদ্দেশ্যগুলো অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে এই তথ্যের ফলে তা ব্যাখ্যা করা সহজ হবে।
মূলত আগ্রাসন শুরুর আগে ইউক্রেনের বিমান বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করার লক্ষ্য থাকলেও সেটি পারেনি মস্কো। এমনকি রুশ সামরিক বাহিনীর আপাত শক্তি থাকা সত্ত্বেও ইউক্রেনের অনেক ছোট সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে তারা প্রত্যাশিত সফলতা পায়নি।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যে তথ্যের সংবেদনশীলতার কারণে মার্কিন কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বললেও নিজেদের এই ধারণার সমর্থনে কোনো প্রমাণ তারা সামনে আনেননি এবং রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যর্থতার হার এতো বেশি হওয়ার কারণ ঠিক কী হতে পারে সেটিও স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেননি।
রয়টার্স অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের এই তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি। এছাড়া এ বিষয়ে ক্রেমলিন ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যর্থতার হার এতো বেশি হওয়ার পেছনে উৎক্ষেপণ ব্যর্থতা থেকে শুরু করে বিস্ফোরিত হতে ব্যর্থ হওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা এই সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া সব ধরনের এক হাজার ১০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনে নিক্ষেপ করেছে। তবে এর মধ্যে কতটি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম হয়েছে এবং কতটি ব্যর্থ হয়েছে সে বিষয়ে এখনও কিছু বলেননি মার্কিন কর্মকর্তারা।
মার্কিন গোয়েন্দাদের উদ্ধৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওই তিন কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যর্থতার হার দিনভেদে ভিন্ন এবং ঠিক কোন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে। এছাড়া কখনও কখনও ব্যর্থতার হার ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। অবশ্য তাদের মধ্যে দু’জন বলেছেন, রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যর্থতার হার ৬০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে।
একজন কর্মকর্তা বলছেন, গোয়েন্দা তথ্যে দেখা গেছে যে- রাশিয়ার যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষেপ করা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যর্থতার হার ২০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। যা মূলত নির্দিষ্ট ওই দিনের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।