Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অস্ত্র-গুলি সঙ্কটে ইউক্রেন

বড় আকারে অভিযানের আগে রুশ সেনা পুনর্গঠিত হচ্ছে মারিউপোল ছেড়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা ষ নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ষ ‘মধ্যস্থতা’ করতে ওআইসি’র প্রতি আহ্বান ইমরান খানের ইউক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০২২, ১২:০১ এএম

পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে প্রতিশ্রুত সাহায্য না পাওয়ার কারণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সঙ্কটে পড়েছে ইউক্রেনের সেনা। ফলে রাশিয়ান বাহিনীকে আটকে রাখা তাদের জন্য ক্রমশ আরও কঠিন হয়ে পড়ছে। এদিকে গতকাল ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনে ‘বড় আকারের’ আক্রমণ শুরু করার আগে রাশিয়ান বাহিনী পুনর্গঠিত হচ্ছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার অভিযান শুরুর পরে পশ্চিমা দেশগুলো যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রতি তাদের সমর্থন জনিয়েছেন। কিন্তু অনেক দেশ ইউক্রেনীয় অস্ত্রাগারকে শক্তিশালী করার জন্য অস্ত্র দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা সরবরাহ করেনি। ইউক্রেনীয় ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের সভাপতি পল গ্রোড সংবাদপত্রকে বলেছেন যে, জার্মানি এবং ফ্রান্স সহ কিছু দেশ প্রতিশ্রুত অস্ত্র সরবরাহ করেনি। টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, সেনাবাহিনীর কাছে মাত্র এক সপ্তাহের অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট এবং অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল বাকি আছে।

কিছু দেশ আগের দিনগুলোতে অতিরিক্ত অস্ত্র পাঠিয়ে দেয়ার কারণে, যা তিনি বলেছিলেন যে, পরিস্থিতির ‘আংশিক উন্নতি’ হয়েছিল। ইউক্রেনীয় সৈন্যরা নিজেদের সরবরাহ বাড়াতে এবং আক্রমণকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য দখলকৃত রাশিয়ান যানবাহন এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করে বলেও দাবি করা হয়। পশ্চিমা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন পুতিন রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার সহ আরও নৃশংস কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। যুদ্ধ চলার সাথে সাথে আরও রাশিয়া আক্রমণাত্মক কৌশল ব্যবহার করতে পারে বলে তারা দাবি করেন। এদিকে, যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা প্রধানরা দাবি করছেন যে, ভøাদিমির পুতিন ইউক্রেনের জনগণের প্রতি ‘ক্রমবর্ধমান সহিংস’ হয়ে উঠতে তার সৈন্যদের নির্দেশ দেবেন। এরপর তিনি কিয়েভে একটি পুতুল, ক্রেমলিনপন্থী সরকার স্থাপন করার পরিকল্পনা করছেন। গতকাল নয়টি ‘মানবিক করিডোর’ এর মাধ্যমে অবরুদ্ধ শহরগুলিতে আটকে পড়া বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার একটি চুক্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন যে, বৃহত্তরভাবে ধ্বংস হওয়া মারিউপোল শহর থেকে পালানোর চেষ্টাকারীদের রুশ সেনারা বন্দী করেছে।

একটি বিবৃতিতে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘উত্তর ইউক্রেন জুড়ে যুদ্ধক্ষেত্রটি অনেকাংশে স্থির রয়েছে এবং রাশিয়ান বাহিনী সম্ভবত বড় আকারের আক্রমণাত্মক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার আগে পুনর্গঠনের সময়কাল পরিচালনা করতে পারে।’ ‘রাশিয়ান বাহিনী দেশের পূর্বে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে যখন তারা উত্তরে খার্কিব এবং দক্ষিণে মারিউপোলের দিক থেকে অগ্রসর হচ্ছে।’

মারিউপোল ছেড়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা : জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস বলেছেন ইউক্রেনের মানুষ এখন নরক যন্ত্রণায় বাস করছে কারণে বহু শহরে গোলাবর্ষণ চলছে। এই যুদ্ধ জয়যোগ্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেছে, সহসাই এই যুদ্ধ শেষ হচ্ছে না। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন রাশিয়ান বাহিনী এক জায়গাতেই আটকে আছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মারিউপোলে তীব্র লড়াই হচ্ছে এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট বলছেন যে রাশিয়ান হামলার পর সেখানে কার্যত আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। গত বুধবার ধ্বংস হওয়া একটি থিয়েটারের মধ্যে এখনো বহু বেসামরিক নাগরিক আটকে আছে বলে মনে করা হচ্ছে।

কৃষি শহর ভজনেসেনস্ক এবং এর একটি সেতুকে ঘিরে দুদিন ধরে ব্যাপক লড়াই হয়েছে। এখানে জয়ের মাধ্যমেই রাশিয়ান বাহিনী দ্রুত কৃষ্ণসাগরের বড় বন্দর ওডেসা এবং একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হতে পারবে। তবে ইউক্রেনের সেনারা তীব্র প্রতিরোধ তৈরি করেছে এবং তারা একটি ব্রিজ উড়িয়ে দেয়ায় রাশিয়ানদের পিছু হটতে হয়েছে প্রায় একশ কিলোমিটার পর্যন্ত। তবে ওই লড়াইয়ের তিন সপ্তাহ পর ভজনেসেনস্কের মেয়র আবারো রাশিয়ান হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন। কারণ শহরটির যোদ্ধাদের হাতে পর্যাপ্ত অস্ত্র নেই। তিনি বলেন শত্রুদের প্রতিরোধ করার মতো ভারী অস্ত্র তাদের হাতে আর নেই।

কিন্তু এগুলো নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বড্রামে একটি সুপার ইয়ট থামানোর চেষ্টা করেছিলো একদল ইউক্রেনীয় তরুণ। আরেকটি ইয়ট আছে মারমারিসে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে এসব সুপার ইয়াট এখন তাদের টার্গেট এবং এ পর্যন্ত অন্তত আটটি তারা জব্দ করেছে। তবে অন্যগুলো এখন তাদের নাগালের বাইরে। কারণ মালদ্বীপের নিষেধাজ্ঞা থেকে নিরাপদ কিছু জায়গায় সেগুলো আছে। ইউক্রেনের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়া শরণার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু পরিকল্পনা নিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এনবিসি নিউজ জানিয়েছে খুব শিগগিরই এ ঘোষণা আসতে পারে এবং এ পরিকল্পনার আওতায় ইউক্রেনের অধিকার কর্মী, সাংবাদিক ও সমকামী সম্প্রদায়ের মানুষজন থাকবেন। এর ফলে এসব মানুষেরা দ্রুততম সময়ে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন।

নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম : মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনাম রাশিয়া বিরোধী নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করেনি এবং ইউক্রেনের সঙ্কটের প্রতি নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকতে সম্মত হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকব হ্যানয় সফরের পর মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন। ‘আমরা রাশিয়ান-ইউক্রেনীয় দ্বন্দ্ব নিয়ে আলোচনা করেছি এবং সম্মত হয়েছি যে, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনাম এই বিষয়ে নিরপেক্ষ থাকবে,’ তিনি বার্নামা বার্তা সংস্থাকে জনিয়েছেন, ‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বলব, আমরা এগুলো সমর্থন করি না।’
‘পক্ষগুলি একতরফা নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করে না; আমরা বিধিনিষেধ স্বীকার করি যা শুধুমাত্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ দ্বারা আরোপ করা যেতে পারে,’ প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছিলেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে দুটি দেশ ‘একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এই ধরনের আগ্রাসন সমর্থন করে না,’ তাদের ‘অবস্থান এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে।’ ‘আমরা ইউক্রেনের সঙ্কটের একটি কূটনৈতিক সমাধান আশা করছি,’ প্রধানমন্ত্রী যোগ করেছেন।

‘মধ্যস্থতা’ করতে ওআইসি’র প্রতি আহ্বান ইমরানের : রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ‘মধ্যস্থতা’ করার জন্য ওআইসি এবং চীনকে আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রাজধানী ইসলামাবাদে অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের ৪৮তম অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার সময় তিনি এ আহ্বান জানান। ‘সেখানে কী ঘটছে তা নিয়ে আমরা সবাই চিন্তিত। আমি কি পরামর্শ দিতে পারি যে তাদের আলোচনার সময়, পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের, আমাদের চিন্তা করা উচিত যে আমরা কীভাবে মধ্যস্থতা করতে পারি? কীভাবে আমরা যুদ্ধবিরতি আনতে পারি, এবং সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারি,’ খান বললেন।

তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে মহামান্য ওয়াং ই (চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী) এর সাথে দেখা করতে যাচ্ছি এবং আমি আলোচনা করতে চাই যে তারা (ওআইসি) চীনের সাথে কীভাবে পদক্ষেপ নিতে পারে এবং এটি (যুদ্ধ) বন্ধ করার চেষ্টা করতে পারে।’ ‘এই সংঘাত, যা হতে চলেছে - যদি এটি একইভাবে চলতে থাকে - এটি বিশ্বের বাকি অংশের জন্য করুণ পরিণতি বয়ে আনবে ... আমরা ইতিমধ্যেই ভুগছি। তেলের দাম বেড়েছে। গ্যাসের দাম বেড়েছে, এই যুদ্ধের কারণে গমের দাম বেড়েছে,‘ তিনি বলেছিলেন। তিনি আরও সতর্ক করেছিলেন যে, যুদ্ধ চলতে থাকলে ‘এটি আরও খারাপ হতে চলেছে।’

ইউক্রেন সঙ্কট বিশ্বব্যাপী ভণ্ডামি প্রকাশ করেছে : ইউক্রেনের যুদ্ধ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্বৈত চরিত্র প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু এই মন্তব্য করেছেন। ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে ভাষণ দেয়ার সময় কাভুসোগলু বলেছেন, আমরা যারা বলতে শুনেছি ‘এটি মধ্যপ্রাচ্য নয়, এটি আফগানিস্তান নয়। কেন রক্ত ঝরছে?’ আমাদের জন্য খারকিভের রক্ত এবং আলেপ্পোতে ছিটকে পড়া রক্ত সমান।
তুরস্কের শীর্ষ কূটনীতিক মুসলিম বিশ্ব যে চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হচ্ছে তার বিরুদ্ধে একটি সাধারণ অবস্থান গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ‘আমাদের বৈঠকের থিম ‘একতা, ন্যায়বিচার ও উন্নয়নের জন্য অংশীদারিত্ব’। এই থিমটি কেবল একটি সেøাগান হওয়া উচিত নয়, এটি কংক্রিট পদক্ষেপে পূর্ণ হওয়া উচিত। কারণ আমরা তখনই সফল হব যখন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই,’ তিনি বলেছিলেন। কাভুসোগলু মুসলিম বিশ্বকেও নিজেকে প্রশ্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন। ‘ইসলামের ১৪ শতাব্দীর পুরানো সংস্কৃতি, শিল্প, সভ্যতা, বিজ্ঞান এবং প্রজ্ঞা পুনঃআবিষ্কৃত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। আমাদের সভ্যতার ধ্রুপদী কেন্দ্র যেমন জেরুজালেম, দামেস্ক, আলেপ্পো এবং কাবুল ধ্বংস হয়ে গেছে। তারা তাদের পরিচয় হারিয়েছে। নামগুলো অনেক ইসলামিক দেশে যুদ্ধ, সন্ত্রাস, দুর্ভোগ এবং গণহত্যার সাথে যুক্ত হয়েছে,’ তিনি বলেছিলেন।

পুতিন-ম্যাখোঁর এক ঘণ্টা বৈঠক : ইউক্রেন সঙ্কট সমাধানে মঙ্গলবার ফের ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের বৈঠক হয়েছে বলে ম্যাখোঁর অফিস জানিয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টার টেলিফোন বৈঠকে কী কী আলোচনা হয়েছে, তা বিস্তারিত জানানো হয়নি। তবে ইউক্রেন সঙ্কট যে গোটা ইউরোপে নিরাপত্তার অভাব তৈরি করেছে, ম্যাখোঁ তা পুতিনকে জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও ফ্রান্স দাবি করেছে। যদিও পুটিন এখনো যুদ্ধবিরতিতে সম্পূর্ণ রাজি হননি বলেই জানানো হয়েছে। এদিনের বৈঠক নিয়ে রাশিয়ার তরফে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে ফ্রান্স জানিয়েছে, বৈঠক একেবারে ভেস্তে যায়নি। আগামীতে ফের আলোচনার রাস্তা খোলা রাখা হয়েছে। ম্যাখোঁ জানিয়েছেন, তিনি তার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও ম্যাখোঁ কথা বলেছেন বলে তার অফিস জানিয়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার যে অভিযান চলছে, সার্বিয়া তা সমর্থন করে না। কিন্তু তাই বলে রাশিয়ার উপর যেভাবে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে, সার্বিয়া তা-ও সমর্থনযোগ্য বলে মনে করে না বলে জানিয়েছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ভুলিন। পশ্চিম যেভাবে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে এবং চাপাচ্ছে, তা তিনি ‹রাশিয়া-বিরোধী হিস্টিরিয়া› বলে মনে করেন। এদিন স্পষ্ট করেই সার্বিয়া জানিয়ে দিয়েছে, তারা রাশিয়ার শক্তিশালী সঙ্গী। এই পরিস্থিতিতেও তারা রাশিয়ার সঙ্গ ছাড়বে না। সার্বিয়াও দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হতে চায়। কিন্তু তার জন্য তারা রাশিয়ার সঙ্গ ছাড়বে না বলে এদিন দেশের মন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। বেলারুশ ছাড়া এই প্রথম ইউরোপের কোনো দেশ এত স্পষ্ট করে রাশিয়ার পাশে থাকার কথা জানালো।

নিষেধাজ্ঞামুক্ত তুরস্কে নোঙ্গর ফেলল আব্রামোভিচের দ্বিতীয় সুপারইয়ট : রাশিয়ান বিলিয়নেয়ার রোমান আব্রামোভিচের মালিকানাধীন একটি দ্বিতীয় সুপারইয়ট মঙ্গলবার একটি তুর্কি রিসোর্টে নোঙ্গর ফেলে অবস্থান নিয়েছে। এবং আলোচনার সাথে পরিচিত সূত্রগুলি জানিয়েছে যে, তিনি এবং অন্যান্য ধনী রাশিয়ানরা অন্যত্র নিষেধাজ্ঞার কারণে তুরস্কে বিনিয়োগ করতে চাইছেন। পশ্চিমা সরকারগুলি অব্রামোভিচ এবং অন্যান্য রাশিয়ান অলিগার্কদের (প্রভাবশালী ধনকুবের) নিষেধাজ্ঞার সাথে লক্ষ্যবস্তু করেছে কারণ তারা ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণের কারণে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং তার মিত্রদের বিচ্ছিন্ন করতে চায়।

আগ্রাসনের কঠোর সমালোচনা করার সময়, তুরস্ক বলেছে যে, তারা নীতিগতভাবে তার ন্যাটো মিত্রদের দ্বারা আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে। তারা বিনিয়োগ করতে এবং সম্পদ সংরক্ষণ করতে চাওয়া রাশিয়ানদের জন্য একটি সম্ভাব্য নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে নিজেদেরকে তুলে ধরতে পারে। তুরস্কের নোঙ্গর করা আব্রামোভিচের মালিকানাধীন এ ইয়টের নাম ইকিলপস। রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শী এবং ট্র্যাকিং ডেটা অনুসারে, গ্রীক দ্বীপগুলিকে পাশ কাটিয়ে এটি দক্ষিণ-পশ্চিম তুরস্কের মারমারিসের রিসর্টে অবস্থান নিয়েছে। ১৬২.৫ মিটার (৫৩৩ ফুট) লম্বা এই ইয়টটি বিশ্বের বৃহত্তম ইয়টগুলির মধ্যে একটি। এটি একটি বারমুডার পতাকার নিচে যাত্রা করে। সূত্র : র‌্যাপলার, বিবিসি, ইউকে স্ট্যান্ডার্ড, তাস, ডেইলি সাবাহ, রয়টার্স, এএফপি।



 

Show all comments
  • Nasir Hosain ২৪ মার্চ, ২০২২, ৫:৫২ এএম says : 0
    আমেরিকা ন্যাটোর জন্য যুগ যুগ থেকেই আফগান থেকে ফিলিস্তিনের মানুষ নরক যন্ত্রণায় বাস করছে, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের মাধ্যমে পশ্চিমা সভ্যতা ও পশ্চিমা মানবতার আসল চরিত্র উলঙ্গ হয়েছে, পশ্চিমা দালাল মিডিয়া এসব আবেগ দেখিয়ে যুদ্ধের ভয়াবহতা নতুন করে বুঝানোর প্রয়োজন নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Anamul Haque ২৪ মার্চ, ২০২২, ৫:৫৩ এএম says : 0
    একজন কমেডিয়ান এর সফলতা হাততালি অর্জন।জেলেনস্কি আগে হাততালি পেত দর্শকদের কাছ থেকে আর এখন পশ্চিমা পার্লামেন্টে। জেলেনস্কি একজন কমেডিয়ান হিসেবে সফল কিন্তু রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নয়। পশ্চিমা যুদ্ধবাজ নেতাদের হাততালি, বাহবা, বীরের খেতাব জেলনস্কি কে তালপাতার সিপাইয়ে পরিণত করেছে ।এছাড়াও তারা যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ করে এবং শক্ত প্রতিরোধ, রাশিয়ার দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে ,রাশিয়ার সেনাদের রসদ ফুরিয়ে গিয়েছে এইসব অপপ্রচার করে যুদ্ধকে আরো উসকে দিচ্ছে। এই ফাঁদে পা দিয়ে ইউক্রেনের জনগণ ও সেনাবাহিনী রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হয়ে ইউক্রেনের হারানো ক্রিমিয়া এবং ডন বাস অঞ্চল ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠছে। এই অসম্ভব চাওয়াকে পূর্ণতা দিতে গিয়ে ইউক্রেন আজ ধ্বংসের মুখে পতিত হয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Amir ২৪ মার্চ, ২০২২, ৫:৫৩ এএম says : 0
    ইউক্রেন জেলেনস্কি উচিত বাস্তবতাকে উপলব্ধি করে এবং রাশিয়ার দাবি মেনে নিয়ে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Muhammed Billal Hossain ২৪ মার্চ, ২০২২, ৫:৫৪ এএম says : 0
    কয়দিন আগে একটা ভিডিও দেখেছিলাম এক চলেছেন মুসলিম কে ইউক্রেনের সৈন্য তার নিজের স্ত্রীর সামনে গুলি করে মারছে। আজকে সেই ইউক্রেনীয়দের এই পরিস্থিতি। যদিও শান্তি প্রিয় মানুষ আমরা এগুলো চাই না। পৃথিবীতে ই জুলুমের ফলাফল চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি।
    Total Reply(0) Reply
  • Kazi Mohammod Sohud ২৪ মার্চ, ২০২২, ৫:৫৪ এএম says : 0
    অন্যের জন্য ফাঁত পাতলে সেই ফাঁদে একদিন নিজেকেই পরতে হয়,একদিন ফিলিস্তিন,সিরিয়া,আফগানিস্তানের অসহায় নিরিহ জনগোষ্ঠী এভাবেই একদিন নরক যন্ত্রণায় কাঁদছিলো তখন বিশ্ব মোড়লেরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছিল,তখন তাদের সাথে সাথে ঘুমিয়েছিল তাদের মানবতা,এখন বুঝ কেমন ছিলো ওদের কষ্ট যন্ত্রণা
    Total Reply(0) Reply
  • Mehedi Hasan ২৪ মার্চ, ২০২২, ৫:৫৫ এএম says : 0
    সঙ্গত কারণে পশ্চিমারা এই যুদ্ধে সরাসরি জড়াতে চাচ্ছে না তারপরও ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে সেটা অবশ্যই প্রশংসনীয় কিন্তু জেলেনস্কির কঠোর জাতীয়তাবাদের কারণে আজকে সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। জেলেনস্কি বোঝা উচিত পরাশক্তি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জেতা প্রায় অসম্ভব। বাস্তবতাকে উপলব্ধি করে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ করার পদক্ষেপ জেলেনেস্কিকেই নিতে হবে। অন্তত এতে করে অনেক সাধারণ মানুষ বেঁচে যাবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ