Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১৫ হাজার ৬০০ রুশ সেনা হত্যার দাবি ইউক্রেনের

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০২২, ৫:০২ পিএম

ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার ১৫ হাজার ৬০০ সেনা নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৩ মার্চ) ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ফেসবুকে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলার শুরুর পর থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত ১৫ হাজার ৬০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছে।

এ ছাড়া যুদ্ধে ইউক্রেনীয় বাহিনী ৫১৭টি রাশিয়ান ট্যাংক, ১ হাজার ৫৭৮টি সাঁজোয়া যান, ১০১টি যুদ্ধবিমান এবং ১২৪টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।

এ দিকে চলমান এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ। যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১৫ হাজার ৬০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।

এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনে ৯২৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।



 

Show all comments
  • ম নাছিরউদ্দীন শাহ ২৩ মার্চ, ২০২২, ৭:১৭ পিএম says : 0
    এটি ইউক্রেনের আর কিছু টিকে তাকির মনগড়া হিসাবের চিত্রনাট্য। বাস্তবতা ভিন্ন ইউক্রেনের শহর বন্দর সামরিক স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহ চিত্র দেখা যাচ্ছে। প্রায় কোটি মানুষ দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। বেশ কিছু এলাকা বিদুৎ কেন্দ্র রাশিয়ার দখলে প্রতিদিন রাশিয়ার বিমানের আক্রমণে ধ্বংস হচ্ছে ইউক্রেন। পশ্চিমাদের মিডিয়া বাইডেন নামা মিত্র দের উস্কানিতে ইউরোপের মানচিত্রে ইউক্রেন থাকবে কিনা ভবিষ্যতে বলে দেবেন।রাশিয়ার সমরশক্তি অকল্পনীয় শক্তিশালী এই খ‍্যাতে ২০লাখের অধিক লোক কর্মরত গোটা ইউরোপের সাথে যুদ্ধ করার মত শক্তিশালী রাশিয়া পরমানূ শক্তিধর এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পুতিন অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হচ্ছেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতেগিয়ে গোটাপৃথিবীর অর্থনীতি ধ্বংস করে দিচ্ছে আমেরিকা। ইউক্রেনে মানবিক বিপর্যয়ের শুরু হয়েছে পানির ভয়ানক সংকট খাদ্যের কঠিন পরিস্থিতি দুরভিক্ষ শুরুর আলামতের মাঝে ও পশ্চিমাদের উস্কানি বন্ধ হচ্ছে না। জাতীয় সংঘ কি করছে? মহামারীর কঠিন সময়ের মাঝে সেখানে প্রযোজন ছিল বিশ্ব ভাতৃত্বের পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্বের অর্থনীতি শক্তিশালী করা। আমেরিকার উস্কানি হয় যুদ্ধ করবেন না হয় যুদ্ধ বাদিয়ে দিবেন। তারপর অস্ত্রের বানিজ‍্য করবেন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের আমেরিকার জন্যে পৃথিবীতে অশান্তি যুদ্ধ বিগ্রহ। রাশিয়া চীনের বিরুদ্ধে অবরোধ বানিজ‍্য নিষেধাজ্ঞা। ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আমেরিকার স্বার্থেই বাহিরে গেলেই নিষেধাজ্ঞা। এটি এখন আমেরিকার শক্তিশালী অস্ত্রের নাম। চলবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ