বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
২২ ঘন্টা লাশ উঠানেই পড়ে ছিলো। সম্পত্তির জন্য বাবার লাশ দাফন করতে দিতে বাধা দিলো সন্তানরা। নোয়াখালীর চাটখিলে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা গ্রামের পশ্চিম হাজি বাড়িতে সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারাকে কেন্দ্র করে আবদুল মান্নান (৭৫) নামে এক মৃত ব্যক্তির জানাজা ও লাশ দাফনে বাধা দিয়েছেন তার সন্তানরা।
বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাহালুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ওই বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এরপর লাশ দাফন নিয়ে দিনভর নাটকীয়তার ২২ ঘণ্টা পর স্থানীয় লোকজনের মধ্যস্থতায় লাশ দাফন করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত মান্নান কয়েক বছর আগে তার ছোট ছেলে আবুল কালাম, তার স্ত্রী জাহানারা বেগম ও সন্তানদের নামে ৩৯ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে লিখে দেন। এই নিয়ে তার অন্য ২ ছেলে ও ২ মেয়ের সঙ্গে তার চরম বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে সোমবার (২১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে বৃদ্ধ আবদুল মান্নানের মৃত্যু হলে তার অপর ২ ছেলে ও ২ মেয়ে এবং নাতি-নাতনিরা তার লাশ দাফনে বাধা দেয়। এরপর মৃত ব্যক্তিকে দ্রুত দাফন করতে দফায় দফায় বৈঠক করেন প্রতিবেশীরা। এ সময় নানা অভিযোগ আর অজুহাতের কারণে তারা সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেননি।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিকেল পর্যন্ত বাড়ির উঠানেই পড়ে ছিল আবদুল মান্নানের লাশ। পরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি সমাধানের আশ্বাসে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় মৃত ব্যক্তির জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
লাশ দাফনে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে আবদুল মান্নানের ছোট ছেলে আবুল কালাম বলেন, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের কারণে ভাইবোনরা বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দিয়েছেন। এজন্য মরদেহ দাফনে দেরি হয়েছে।
জাহানারা বেগমের ভাই আরমান পাপ্পু বলেন, সন্তানদের মধ্যে সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এরপর মরদেহ দাফন করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চেয়ারম্যান ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বসে যেভাবে সুন্দর হয়, সেভাবে সম্পত্তি ভাগাভাগি করে দেবেন বলেছেন।
মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাহালুল বলেন, প্রথমে সন্তানদের সঙ্গে বারবার সমঝোতা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। শেষে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মৃত ব্যক্তির স্বজনদের উপস্থিতিতে সমঝোতার মাধ্যমে মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।