পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সেবা প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম দিনরাত আর্ত-মানবতার সেবায় নিয়োজিত। ইসলামি এই জনকল্যাণ সংস্থাটির বহুমুখী কার্যক্রম মানুষের অনুদান, যাকাত, ফেতরা, ছদকা দান এবং নানামুখী সাহায্যই আঞ্জুমানের চালিকা শক্তি। যুগ যুগ ধরে আঞ্জুমান ঢাকা মহানগরীতে রোগীদের জন্য ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রদান এবং জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসসহ লাশ পরিবহনের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ির ব্যবস্থা করছে। মুসলিম বে-ওয়ারিশ লাশ দাফন ও অসমর্থ লোকের লাশ দাফনে সার্বিক সহায়তা প্রদান করছে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম।
ইতিহাসের এক পটভূমিতে মূলত বেওয়ারিশ লাশ দাফন কার্যক্রম পরিচালনার জন্যই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। সেই অতিক্রম করে এসেছে মানুষ। কিন্ত মৃত্যু থেমে নেই। যদিও কিছু কিছু মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। অনেক মৃত্যুর সময় স্বজনরা কেউ থাকে না পাশে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় অনেকে। কখনো কখনো এ মৃত্যুর খবর পায় না প্রিয়জন। মর্গে দিনের পর দিন পড়ে থাকে লাশ। আবার এমনও মানুষ আছে দেখা যায় তার কোনো স্বজনও নেই। নেই লাশ দাফনের মানুষও। শত বছরের বেশি সময় ধরে এসব বেওয়ারিশ লাশ দাফন করে যাচ্ছে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত সাড়ে বছরে এ সংস্থাটি ১২ হাজার ১৯৮টি বেওয়ারিশ লাশ দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। চলতি বছরের মে পর্যন্ত পাঁচ মাসে সংস্থাটি ১৮৪টি বেওয়ারিশ লাশ দাফন করেছে। ২০২১ সালে ৪৬৫টি বেওয়ারিশ লাশ দাফন করেছে সংস্থাটি। এছাড়া সংস্থাটি ২০১০ সালে ১ হাজার ২০৪টি, ২০১১ সালে ১ হাজার ১৯১টি, ২০১২ সালে ১ হাজার ২৪৭টি, ২০১৩ সালে ১ হাজার ৪৩০টি, ২০১৪ সালে ১ হাজার ৪০৫টি, ২০১৫ সালে ১ হাজার ২৮৬টি, ২০১৬ সালে ১ হাজার ৩৮৫টি, ২০১৭ সালে ১ হাজার ৩১৮টি, ২০১৮ সালে ১ হাজার ০১৪টি, ২০১৯ সালে ৭৯৫টি এবং ২০২০ সালে ৬৩৩টি বেওয়ারিশ লাশ দাফন করেছে।
অপরদিকে মোহাম্মদপুরস্থ সেবা সংস্থা আল মারকাজুল ইসলামীও বৈশ্বিক করোনা মহামারিত আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের লাশ দাফন করে সুনাম অর্জন করেছে। প্রথম দিকে করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির লাশ পরিবারের স্বজনরাও দাফন কার্যক্রমে এগিয়ে আসেনি। ওই সময়ে তারা বিশেষ ব্যবস্থায় এসব লাশ দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। এছাড়া সেবা সংস্থা আল রশিদ ফাউন্ডেশনও করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন করেছে।
যে সমস্ত বিত্তশালী ব্যক্তির ছেলে মেয়েরা এমনকি আত্মীয়-স্বজন শেষ বয়সে তাদের খবর নেন না, তারা নির্ধারিত ফি দিয়ে আবেদন করলে তাদের মৃত্যুর খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আঞ্জুমান ইসলামিক শরিয়াহ মতে দাফনের ব্যবস্থা নেয়। আঞ্জুমান ঢাকায় দাফন সেবা প্রকল্পের আওতায় এই কাজটি করে থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।