Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধামরাইয়ে লাশ দাফনে বাধা, মাতব্বরসহ আটক ২

ধামরাই (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০২১, ৬:৩৭ পিএম

ঢাকার ধামরাইয়ে জমজমা সংক্রান্তে মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করায় ক্ষোভে লাশ দাফনের বাঁধা দেয় আপন বোন ও মাতব্বরের লোকজন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলার লাড়ুয়াকুন্ড গ্রামে।

জানা গেছে, উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের লাড়ুয়াকুন্ড গ্রামে নিহত আরশের আলী ৪ দিন পূর্বে নিজের বসতভিটায় ছোট মেয়ে সাথীকে নিয়ে আসলে আপন বোন আলেকা বেগম ও একই গ্রামের নাটু মাতব্বর ও তার লোকজন অসুস্থ আরশেদ আলীকে জমিজমা বিষয়ে বেশ চাপ প্রয়োগ করে। একপর্যায়ে ১২ বছরের মেয়ে সাথীকেও মারধর করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নিলাফুলা জখম করে।

এই ঘটনায় আরশের আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম ৩ দিন পূর্বে থানায় ফুপু আলেকা বেগম ও নাটু মাতব্বরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

আজ বৃহস্পতিবার আরশের আলী অসুস্থ অবস্থায় অন্যত্র মেয়ের বাসায় মৃত্যু বরণ করেন। তার ছেলে মেয়ে ও এলাকাবাসী মৃতের লাশ নিজ গ্রামে দাফনের প্রস্তুতি নিলে বোন আলেকা বেগম, নান্টু মাতব্বর ও তার ছেলেরা দাফন করতে বাধা দেয়। তাদের নামে থানায় যে অভিযোগ রয়েছে তা উঠানোর পর মৃতের লাশ দাফন হবে বলে চাপ প্রয়োগ করে। এ নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে থানায় ফোন দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করে নাটু মাতব্বর ও তার ছেলেরা।

পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং এই ঘটনার সাথে জড়িত আরশের আলীর বোন আলেকা ও নাটু মাতব্বরকে আটক করে পুলিশ। ওই সময়ই নাটু মাতব্বরের ছেলেরা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে আরশেদ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম বলেন, বাবার লাশ নিয়ে কোন অভিযোগ ছিল না। প্রতিপক্ষই বাধা দিয়েছে লাশ দাফনে। ৪ দিন আগেও নাটু মাতব্বর,তার ছেলেরা ও আমার ফুপু দলিলে জোর পূর্বক স্বাক্ষর করার জন্য আমার বাবা ও ছোট বোন সাথীকে মারধর করেছে। তার জন্যই সে মারা গেছে। আমার বাবার জমি দখল করে ভোগ করছে আমার ফুপু আলেকা বেগম। আলেকা ও নাটু মাতব্বরের নির্যাতনেই শোকে আরশেদ আলী মারা যান বলে অভিযোগ করে তার ছেলে।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক রাসেল মিয়া বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লাশ দাফনে বাধা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ