শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
বাংলাদেশের চলতি বছরের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার - স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য সাহিত্য ক্যাটাগরিতে মনোনীত হওয়া মরহুম আমির হামজা কে-এ প্রশ্নে মুখর হয়ে উঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। সাধারণ মানুষজনের পাশাপাশি লেখক-প্রকাশকরাও বলছেন, তারা আমির হামজা নামে কাউকে ‘চিনতে পারছেন না।’
মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই পুরস্কার ঘোষণা করার পর থেকে এনিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।এ বছর ১০ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে। তবে সবাইকে ছাপিয়ে এ বছর সাহিত্যে যিনি পুরস্কার পেয়েছেন, সেই মো. আমির হামজাকে নিয়েই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে জোর আলোচনা। সবার একটিই জিজ্ঞাসা, কে এই মো. আমির হামজা?
বাংলাদেশের কয়েকজন সুপরিচিত সাহিত্যিক বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একই ধরনের মন্তব্য করেছেন।চলতি বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ার তালিকায় তার নাম দেখার পর অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন, কারণ আমির হামজার নাম সাহিত্য অঙ্গনে আগে শোনা যায়নি।
এদিকে, বাংলাদেশের চলতি বছরের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার - স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য সাহিত্য ক্যাটাগরিতে মনোনীত হওয়া আমির হামজার বিষয়ে তীব্র সমালোচনার প্রেক্ষাপটে সরকার বলছে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে এবং যেসব বিষয় নিয়ে অনেকে আপত্তি করছে সেগুলো তদন্ত করা হবে।
তবে স্বাধীনতা পদকের মতো রাষ্ট্রীয় মর্যাদাবান একটি সম্মাননা একজন অচেনা সাহিত্যিক পাওয়ায় ক্ষুব্ধ সাহিত্যিকমহলও। কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের কাছে আমির হামজা বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি ছুড়ে দেন উল্টো প্রশ্ন, ‘উনি কে? আমি তো তাঁকে চিনি না।’ আমির হামজা সম্পর্কে সেলিনা হোসেন যে উত্তর দিয়েছেন, এই একই রকম উত্তর সাহিত্যসমাজের সবারই। তাঁদের প্রশ্ন, কীভাবে এবং কোন প্রক্রিয়ায় এ পুরস্কার দেওয়া হয়?
এর আগে ২০২০ সালে সাহিত্য ক্যাটাগরিতে স্বাধীনতা পুরস্কার নিয়ে তীব্র সমালোচনার পর মনোনয়ন বাতিল করেছিল সরকার।
এনিয়ে শহিদুল ইসলাম নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ''এ সম্মাননার জন্য কতটুকু উপযুক্ত তিনি, জানিনা। তবে এটা সত্য যে, আমাদের দেশের অনেক কিছুর মতো শিক্ষা-সাহিত্য- সংস্কৃতিও বিশেষ বলয়ে আবদ্ধ। গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত এলাকায় অনেক প্রতিভা পড়ে থাকে। শহরকেন্দ্রিক সভ্য সমাজ তার খবরও রাখেন না।'
স্বপন ভুইয়া নামে একজন লিখেছেন, ''জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ পদকে পুরস্কৃতকরণ হচ্ছে দেশের পরবর্তী একটি ইতিহাসও বটে। যেহেতু, মরহুম আমির হামজাকে সাহিত্যে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করার পর সাধারণ জনগণ হতে শুরু করে সাহিত্য অঙ্গন অবধি এই সাহিত্যিককে চিনেন না বলেই আখ্যা দিচ্ছেন এবং অনেকেই সন্দেহ করছেন বই দুটি আদৌও তিনি, না তার পুত্র লিখেছেন? সেহেতু, আমি বলবোঃ রাস্ট্রের উচিৎ, দেশের ইতিহাস ভুল রেকর্ড থেকে রক্ষা করার লক্ষে পুরস্কৃত করনের এই বিষয়টি যথাযত তদন্তে পুনরায় এবং সুবিবেচনা করা।''
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।