Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কিয়েভে ৩৫ ঘন্টার কারফিউ জারি

অভিযান সময়মতো ও সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে : ক্রেমলিন ওডেসা-মারিউপোল বন্দর নীরব-অবরুদ্ধ বাইডেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার পাল্টা নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যপদের প্রতিশ্রুতি দেয়া ভুল হয়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০২২, ১২:০৫ এএম

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, শহরের বাইরে অবস্থিত রাশিয়ান বাহিনীর হাতে বেশ কয়েকটি টাওয়ার বøক আক্রান্ত হওয়ার পরে কিয়েভে ৩৫ ঘন্টার কারফিউ জারি করা হচ্ছে। এদিকে ক্রেমলিন জানিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে এবং সময়মতো এবং সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে।
ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরটি নীরব ও অবরুদ্ধ হয়ে গেছে। শহরের কেন্দ্রস্থলে বাসিন্দারা ব্যারিকেড ও ট্যাঙ্কের ফাঁদে অবরুদ্ধ হয়ে আছে, এর বিখ্যাত পোটেমকিন ধাপগুলো খালি এবং বালির ব্যাগে সুরক্ষিত মূর্তিগুলো। দেখার অপেক্ষায় রয়েছে যে, বোমাগুলো অন্যান্য বড় শহরগুলোর বেশিরভাগ জুড়ে পড়েছে কিনা। একই অবস্থা মারিউপোলেরও। রাশিয়ার দাবি, মারিউপোল যাওয়ার সমস্ত পথ বন্ধ করে দিয়েছে, কারণ তাদের বাহিনী দক্ষিণ ইউক্রেনের মূল বন্দর শহর অবরোধ অব্যাহত রেখেছে। ক্রেমলিনের মালিকানাধীন তাস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, কর্নেল জেনারেল মিখাইল মিজিনসেভ বলেছেন, শহরের সব সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সমস্ত রাস্তায় মাইন বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। একজন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে, শহরের মানবিক সঙ্কট আরো গভীর হওয়ার সাথে সাথে তারা মারিউপোল বাসিন্দাদের কাছে সহায়তা সরবরাহ পৌঁছাতে সক্ষম হবেন কি না।
ইউক্রেন যুদ্ধের পরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে একাধিক বিধিনিষেধ জারি করেছিল আমেরিকা। এবার পাল্টা পদক্ষেপ করল মস্কো। মঙ্গলবার রুশ বিদেশ দফতর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিøঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারির কথা জানিয়েছে। রাশিয়া এবং তার প্রভাব বলয়ের দেশগুলোতে আমেরিকার ওই তিন নেতার সফরের নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে সেই তালিকায়।
ইইউ কাউন্সিল গতকাল মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার চতুর্থ প্যাকেজ অনুমোদন করেছে, যার মধ্যে অর্থনৈতিক এবং ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বিশেষ করে, ইইউ রাশিয়া থেকে ইস্পাত ও লোহার আমদানি সীমিত, দেশের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ, দেশে বিলাসবহুল পণ্য রফতানি এবং রাশিয়ান ব্যবসায়ী, সাংবাদিক এবং কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। অনুমোদিত ব্যক্তি এবং সংস্থার তালিকা পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অফিসিয়াল জার্নালে প্রকাশ করা হবে। এরপরই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
এদিকে, ইইউ পররাষ্ট্র নীতি প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যপদের প্রতিশ্রুতি দেয়া পশ্চিমাদের ভুল হয়েছে। পাশাপাশি, সার্বিয়াও ন্যাটোতে যোগ দেবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে, পোলিশ সীমান্তের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটিতে রাশিয়ার বিমান হামলায় ব্রিটিনের তিন সাবেক সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ইউক্রেন সঙ্কট বিশ্বের খাদ্য সরবরাহকে অস্থির করে তুলেছে।
গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা) থেকে কিয়েভে কারফিউ জারি করা হয়েছে এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা (বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টা) পর্যন্ত চলবে। মেয়র বলেন, ‘বিশেষ অনুমতি ছাড়া শহরের আশেপাশে ঘোরাফেরা করা নিষিদ্ধ, বোমা শেল্টারে যাওয়া ছাড়া।’ তিনি বলেন, ‘রাজধানী ইউক্রেনের হৃদয়, এবং এটিকে রক্ষা করা হবে। কিয়েভ, যা বর্তমানে ইউরোপের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার প্রতীক এবং অপারেটিং বেস, আমরা একে পরিত্যাগ করবো না।’ তিনি জানান, গতকাল সকালে কিয়েভে সর্বশেষ লড়াইয়ে চারজন নিহত হয়েছেন। এর আগে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ান সৈন্যদের জীবন বা মৃত্যুর আল্টিমেটাম জারি করেছিলেন এবং তাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে তিনি বলেছিলেন যে, সর্বশেষ শান্তি আলোচনা ভাল হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সোমবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে চতুর্থ দফা আলোচনা হয়, যদিও কোনো অগ্রগতির বিবরণ প্রকাশ করা হয়নি। মঙ্গলবার আরও আলোচনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাশিয়া বলেছে যে, সপ্তাহান্তে আলোচনার পর ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে।
রাজধানী কিভের পাশাপাশি পূর্ব এবং দক্ষিণ ইউক্রেনের বেশ করেকটি শহরেও রুশ হামলার অভিঘাত বেড়েছে। ইউক্রেন সরকার জানিয়েছে, সে দেশের পূর্বপ্রান্তের শহর ডেনিপ্রোর অসামরিক বিমানবন্দরটি গতকাল মঙ্গলবার রুশ যুদ্ধবিমানের হানায় বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হানা শুরু হয়েছিল সোমবার রাত থেকেই। মঙ্গলবার ভোরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে হানা দেয় রুশ ফাইটার জেট স্কোয়াড্রন। সেই সঙ্গে কিয়েভ ঘিরে স্থলপথে অভিযান শুরু করেছে রুশ আর্মার্ড ডিভিশনের ট্যাঙ্কগুলো।
ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান সময়মতো এবং সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে : রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে এবং সময়মতো এবং সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে। রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের সব গুরুত্বপূর্ণ শহর ও বন্দর নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তারা চাইলে যে কোন সময় পুরো ইউক্রেনের দখল নিতে পারে। তবে বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু এড়াতে তারা দ্রুত দখল করা থেকে বিরত রয়েছে। ‘ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনার জন্য রাশিয়ার যথেষ্ট সামর্থ রয়েছে। অপারেশনটি মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোচ্ছে এবং সময়মতো এবং সম্প‚র্ণভাবে সম্পন্ন করা হবে,’ পেসকভ জোর দিয়েছিলেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ডনবাস প্রজাতন্ত্রের নেতাদের সহায়তার অনুরোধের পরে ইউক্রেনে একটি বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করেছিলেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের ভূখন্ড দখলের কোনো পরিকল্পনা মস্কোর নেই। একমাত্র উদ্দেশ্য হল দেশটির নিরস্ত্রীকরণ এবং ডিনাজিফিকেশন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও বারবার বলেছে যে, রাশিয়ান সেনাবাহিনী শহরগুলিতে আক্রমণ এড়িয়ে যাচ্ছে, তাদের প্রধান লক্ষ্য সামরিক অবকাঠামো। তাদের দিক থেকে বেসামরিক জনগণ কোন ঝুঁকির মধ্যে নেই।
ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যপদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পশ্চিম ভুল করেছে : ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি প্রধান জোসেপ বোরেল শুক্রবার বলেছেন, পশ্চিমারা রাশিয়ার সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক ভুল করেছে, যার মধ্যে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের প্রতিশ্রুতিও রয়েছে। টিএফ১ টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি স্বীকার করতে প্রস্তুত যে আমরা অনেক ভুল করেছি এবং আমরা পশ্চিমের সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক স্থাপনের সম্ভাবনা হারিয়ে ফেলেছি।’ তিনি বলেন, ‘এমন জিনিস যা আমরা প্রস্তাব করেছিলাম এবং তারপর বাস্তবায়ন করতে পারিনি, যেমন, প্রতিশ্রুতি যে ইউক্রেন এবং জর্জিয়া ন্যাটোর অংশ হবে।’ ‘আমি মনে করি আপনি যে প্রতিশ্রুতি রাখতে পারবেন না, তা করা একটি ভুল,’ বোরেল যোগ করেছেন।
কয়েক মাস ধরে, ইউরোপীয় নেতারা এবং ন্যাটো কর্মকর্তারা ইউক্রেনকে ট্রান্সআটলান্টিক জোটে গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিয়েভকে নাচাচ্ছেন, সেইসাথে ২৭-জাতির ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মস্কোকে ক্ষুব্ধ করেছে। যাইহোক, ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে রাশিয়ান সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার সাথে সাথে সমস্ত অঙ্গীকার একযোগে ম্লান হয়ে যায়। ন্যাটোর ৩০-সদস্যের কিছু দেশ ইউক্রেনকে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করে, কিন্তু একটি সংস্থা হিসাবে ন্যাটো তা করতে অস্বীকার করে। সংস্থাটি ঘোষণা করেছে যে, তারা ইউক্রেনের সমর্থনে কোনও সামরিক পদক্ষেপ শুরু করবে না, যা একটি ঘনিষ্ঠ অংশীদার কিন্তু সেই সময়ে যোগদানের কোনও স্পষ্ট সম্ভাবনা নেই।
সার্বিয়া ন্যাটোতে যোগ দেবে না : সার্বিয়া ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদান করবে না এবং পরিবর্তে তার মাটি এবং আকাশসীমা নিজেই রক্ষা করবে। সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকসান্ডার ভুসিক এ কথা বলেছেন। তিনি দক্ষিণের শহর ভরাঞ্জে পুনরায় নির্বাচনের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন। ‘আমরা আমাদের সন্তানদের এবং ভবিষ্যতকে রক্ষা করব, আমাদের যথেষ্ট সৈন্য রয়েছে। আমাদের আগ্রহ শান্তি এবং সমঝোতায়, কিন্তু সাম্প্রদায়িক সহিংসতা এবং নিপীড়নের সময় শেষ,’ আলেকসান্ডার ভুসিক তার সার্বিয়ান প্রগ্রেসিভ পার্টির (এসএনএস) এক সমাবেশে বলেছিলেন। অন্যরা সার্বিয়ায় কী নিয়ে আসতে পারে তার সেটি নিয়ে তার ‘ভয়’ রয়েছে বলে তিনি যোগ করেছেন যে, তিনি বিশ্বাস করেন ৩ এপ্রিলের সাধারণ নির্বাচনে জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।
রাশিয়ার বিমান হামলায় তিন সাবেক ব্রিটিশ সেনা নিহত : ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর পোলিশ সীমান্তের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটিতে রাশিয়ার বিমান হামলায় ব্রিটিশ স্পেশাল ফোর্সের তিন সাবেক সেনা নিহত হওয়ার খবরে জরুরী তদন্ত শুরু করেছে। সূত্রের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর জানিয়েছে যে, রোববার পশ্চিম ইউক্রেনের ইয়াভোরিভ ঘাঁটিতে বিমান হামলার পরে তিন ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হয়েছিল। এফসিডিও নিশ্চিত করেছে যে, এ ঘটনায় সোমবার রাত থেকে তদন্ত চলছে। এটা বোঝা যায় যে, কর্মকর্তারা আরও তথ্য প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন।
ইউক্রেন সঙ্কট বিশ্বের খাদ্য সরবরাহকে ধ্বংস করছে : ইউক্রেন সঙ্কট বিশ্বের খাদ্য বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। সোমবার রাশিয়া তার সর্বশেষ গম রফতানির পরিমাণের তথ্য প্রকাশ করেছে। সে অনুযায়ি এখনি কোন বিপদের কারণ না থাকলেও ভবিষ্যতে সঙ্কট আরও বাড়তে পারে। সাধারণত গ্রীষ্মে গম কাটা হয় এবং ফেব্রæয়ারির মধ্যে বেশিরভাগ জাহাজ চলে যায়। বিশ্বব্যাপী মোট গম রফতানির ২৯ শতাংশই আসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। ইউক্রেনে ফসল এই বছর রোপণ করা যাবে না; রাশিয়ার অভিযানের মাঝে খুব কম লোকই তাদের শস্য কেনার আর্থিক ও সুনামগত ঝুঁকি নিতে চাইবে। উভয় দেশই গম রফতানি নিষিদ্ধ করেছে। অথচ, রাশিয়া এবং ইউক্রেন আফ্রিকা, এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় ৮০ কোটি মানুষের জন্য রুটির প্রধান বাস্কেট।
যুদ্ধরত দেশগুলো বার্লি থেকে সূর্যমুখী পর্যন্ত অন্যান্য অনেক প্রধান প্রধান ফসলের শীর্ষ পাঁচটি রফতানিকারকের মধ্যেও রয়েছে। সব মিলিয়ে তাদের খাদ্য রফতানি বিশ্বব্যাপী ট্রেড করা ক্যালোরির ১২ শতাংশ। রাশিয়া এবং বেলারুশ, যারা নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছে, সারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোর প্রধান সরবরাহকারী। যাইহোক যুদ্ধ শেষ হলেও মানুষ ক্ষুধার্ত থেকে যাবে। এদিকে, জাতিসংঘ প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস সোমবার সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর ক্ষুধার তান্ডব ও বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার বিপর্যয় মোকাবিলায় বিশ্বকে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে। যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহে সুদূর প্রসারী বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি করে, যা দরিদ্রদের ওপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে। সূত্র : স্কাই নিউজ, তাস, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট, দ্য গার্ডিয়ান, ডেইলি সাবাহ, ইউকে স্ট্যান্ডার্ড, দ্য ইকোনমিস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ