নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গত ৬ মার্চ ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই ‘শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি’র কথা বলেছিলেন সাকিব আল হাসান। জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তান সিরিজে নিজেকে ‘প্যাসেঞ্জার’ মনে হয়েছে তার। এরপর তাঁকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে বিশ্রাম দিয়েছিল বিসিবি। এক সপ্তাহ পর সাকিব সেই শাহজালাল বিমানবন্দরেই যখন আবারও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন, তখন তিনি যাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকাতেই! এবার বলে গেলেন, দলের ‘ড্রাইভার’ হওয়ার ইচ্ছার কথা।
এর মধ্যেই বেশ নাটকের পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে রাজি হয়েছেন সাকিব। অগের দিনই জানা গিয়েছিল, গতপরশু রাতে যাবেন তিনি। যাওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাটিতে কখনো না হারানোর আক্ষেপটা ঘোচানোর ইচ্ছার কথাও জানিয়েছেন এ অলরাউন্ডার। সাকিবের মতে, সিরিজ নয়, একটা ম্যাচ জিতলেই সেটি হবে বড় অর্জন।
আফগানিস্তান সিরিজে দলে নিজের উপস্থিতি বোঝাতে সাকিব বলেছিলেন, ‘আফগানিস্তান সিরিজে আমার মনে হয়েছে, আমি একজন “প্যাসেঞ্জার”, যেটা কখনোই থাকতে চাই না। খেলাটা একদমই উপভোগ করতে পারিনি, পুরো সিরিজেই- টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে। চেষ্টা করেছি, কিন্তু হয়নি।’ এবার ‘ড্রাইভার’ হতে চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব হেসে বলেছেন, ‘কে না চায়!’ দলের সঙ্গে থাকতে পারাটাও স্বস্তির বলে মনে করছেন সাকিব, ‘দলের সঙ্গে থাকা তো সব সময় একটা ভালো ব্যাপার, মজার ব্যাপার। ১৫ বছর ধরে আছি, সামনেও থাকতে পারলে ভালো লাগবে। দলের সঙ্গে থাকাটাই সব সময় একটা আনন্দদায়ক ব্যাপার। আশা করি, সবাই মিলে ভালো একটা ফলাফল আনতে পারব।’
দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে নিজের মানসিক অবস্থার উন্নতি হবে বলেও আশা তার, ‘অগেও যেটা বলেছিলাম- অনেক সময় জায়গা পরিবর্তন করলে মানসিকতায়ও পরিবর্তন আসে। আমি ওই আশাটাই করছি। সতীর্থ, টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচিং স্টাফরা সব সময় আমাকে সমর্থন করেছে। এবারও তারা একই রকম সহায়তা করবে। আমি চেষ্টা করব এটার প্রতিদান দিতে।’
দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়ে প্রস্তুতির খুব বেশি সময় পাবেন না সাকিব। ২৪ ঘণ্টা বিশ্রামে নিভৃতবাসে থাকার পর আজ থেকে করতে পারবেন অনুশীলন। সাকিব জানিয়েছেন ওয়ানডে নিয়ে নিজের প্রত্যাশার কথাও, ‘প্রত্যাশা থাকবে যেন জিততে পারি। সিরিজ জিততে পারলে খুবই ভালো। একটা ম্যাচ জিততে পারলেও আমি মনে করি খুব ভালো অর্জন হবে। আমার ধারণা, পুরো দলেরই একই রকম লক্ষ্য থাকবে এবং সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নেব।’ তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চ্যালেঞ্জটা সহজ নয়, সাকিব মনে করিয়েছেন সেটিও, ‘ভারতের সঙ্গে সর্বশেষ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা খুবই ভালো খেলেছে। তিনটি ম্যাচই (ওয়ানডে) তারা জিতেছে। আমাদের জন্য অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। আমাদের বোলিং বিভাগকে অনেক ভালো করতে হবে। দেশে আমরা ভালো বোলিং করি, কিন্তু বাইরের সিরিজগুলোতে অনেক সংগ্রাম করতে হয়। শুধু স্পিনার নয়, ফাস্ট বোলারদের জন্যও চ্যালেঞ্জিং।’
১৮ মার্চ সেঞ্চুরিয়নে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে নামবে বাংলাদেশ, ২০ মার্চ জোহেন্সবার্গে দ্বিতীয় ও ২৩ মার্চ আবার সেঞ্চুরিয়নে শেষ ওয়ানডে। আর ৩০ মার্চ ডারবানে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। ৭ এপ্রিল পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় টেস্ট খেলে এপ্রিলের মাঝামাঝি দেশে ফিরবে বাংলাদেশ দল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।