মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে পাঁচ রাজ্যে ভোট বিপর্যয়ের দায় নিয়ে সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কংগ্রেসের পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। অবশ্য দাবি উঠছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। তাতেই ঘৃতাহুতি হয়েছে পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, উত্তরাখণ্ড এবং মনিপুরের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের শোচনীয় ফল। পাঞ্জাবে সরকারে ছিল কংগ্রেস। ভোটের কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অমরিন্দর সিংহকে বদলে আনা হয় চরণজিৎ সিংহ চন্নীকে। কিন্তু তাতেও ভোটে সুবিধা হয়নি। উল্টে তুলনায় নবীনতম রাজনৈতিক দল আম আদমি পার্টির কাছে কার্যত উড়ে গিয়েছে তারা। উত্তরপ্রদেশে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রকে। ভোট শতাংশ সর্বকালীন তলানিতে পৌঁছেছে। গোয়াতেও সরকার গড়ার ধারেকাছে পৌঁছতে ব্যর্থ কংগ্রেস।
এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দু’দফা হারের পর দলের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। অন্তর্র্বতী সভাপতি হিসাবে তখন দলের দায়িত্ব বুঝে নেন সোনিয়া গান্ধী। ২০২০ সালে দলের একটি অংশের বিক্ষোভের মুখে তিনিও পদত্যাগ করতে চান।
এবারের বিধানসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে আজ বৈঠকে বসবে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। তবে বৈঠকের আগে গুঞ্জ উঠেছে- সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকে পদত্যাগ করবেন।
কংগ্রেস মুখপাত্র অবশ্য এ খবরকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলছেন, ক্ষমতাসীন বিজেপির নির্দেশে কাল্পনিক উৎস থেকে উদ্ভূত এই ধরনের প্রমাণহীন প্রচার দেখানো একটি টিভি চ্যানেলের পক্ষে অন্যায়।
ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রাচীন দল হলো কংগ্রেস। সেই কংগ্রেস এবার পাঞ্জাবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টির কাছে হেরেছে। আর বিজেপির হাত থেকে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া এবং মণিপুরে মতো রাাজ্যগুলোতে জয় ছিনিয়ে আনতে পারেনি।
সব মিলিলিয়ে আজকের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে কী হয় তা এখন দেখার অপেক্ষা। দলটির বিদ্রোহী অংশের নেতারা ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, আগে যে রাহুল পদত্যাগ করেছিলেন, প্রিয়াঙ্কা পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন সেসব বিষয় তোলা হবে বৈঠকে।
ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষক রামচন্দ্র গুহ বলছেন, গান্ধীদের অবশ্যই রাজনীতি থেকে অবসর নিতে হবে দল ও দেশের গণতন্ত্রের ভালোর জন্য। তিনি আরও বলেন যে গান্ধী পরিবার কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবিত করতে ব্যর্থ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।