Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাপানে পাইকারি পণ্যে মূল্যস্ফীতি ৯.৩ শতাংশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০২২, ১২:০৫ এএম

জাপানে পাইকারি পণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত রয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দেশটিতে পাইকারি পণ্যের দাম ৯ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে, যা রেকর্ড সর্বোচ্চ ছিল। ব্যাংক অব জাপানের তথ্য বলছে, জ্বালানি পণ্যের দাম বাড়ার কারণেই পাইকারি পণ্যের মূল্য বেড়েছে। এছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইয়েনের অবমূল্যায়ন আরো চাপ তৈরি করেছে। খবর কিয়োডো নিউজ। এ নিয়ে টানা ১২ মাসের মতো জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে লেনদেন হওয়া পণ্যের পাইকারি দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। ফলে খুচরা পণ্যের দাম না বাড়ালে প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফায় ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। ১৯৮১ সালের পর সর্বোচ্চ পণ্যের দাম বাড়ার হার ছিল চলতি বছরের জানুয়ারিতে। ওই মাসে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ৯ শতাংশ। গত মাসে সে রেকর্ড ভেঙে পণ্যের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ। ভূরাজনৈতিক সংকট নতুন করে পণ্যের মূল্য বাড়ার হারকে প্রভাবিত করেছে। ইউক্রেনে রুশ হামলার জের ধরে পণ্য সরবরাহে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে জ্বালানি পণ্যের দামও। করোনা মহামারীর প্রকোপের ফলে আগে থেকেই মূল্যস্ফীতির হার চড়া ছিল। অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, এর কারণে আগামী মাসগুলোয় মূল্যস্ফীতি হার আরো বাড়বে। গত এক বছরে কয়লা ও পেট্রোলিয়ামের দাম ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির দাম বেড়েছে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এদিকে মহামারীর কারণে দাম বেড়েছে অন্যান্য কাঁচামালেরও। ব্যাংক অব জাপানের তথ্য বলছে, লোহা ও ইস্পাতের দাম বেড়েছে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ। কাঠজাত পণ্যের দাম বেড়েছে ৫৮ শতাংশ। করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবে সরবরাহ সংকট ও নানা বিধিনিষেধ আরোপের ফলে আগে থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত ছিল জাপানিজ প্রতিষ্ঠানগুলো। মহামারীর ধাক্কা কিছুটা সামলে উঠে প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নামে। এক্ষেত্রে বাজারে উপস্থিত ভোক্তা চাহিদাকে প্রশ্রয় দিতে পণ্যের খুচরা মূল্য স্থির রাখে প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে গত এক বছরে দেশটিতে পাইকারি পণ্যের দাম যে হারে বেড়েছে, তা মোকাবেলা করতে খুচরা পণ্যের দাম বাড়ানো আবশ্যক হয়ে দাঁড়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য। এর ধারাবাহিকতায় গত এক বছরে ধাপে ধাপে খুচরা পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। এদিকে মার্কিন ডলারের বিপরীতে দুর্বল ইয়েনও পাইকারি পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলেছে। জাপানি মুদ্রার দরপতনের ফলে পণ্য আমদানির ব্যয় বেড়েছে দেশটিতে। ব্যাংক অব জাপানের গভর্নর হারুহিকো কুরোদা জানান, ইয়েনের দরপতনের থেকে জ্বালানি মূল্যের ঊর্ধ্বগতি ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। আমদানির পাশাপাশি পণ্যের রফতানি মূল্যও বেড়েছে। গত মাসে দেশটিতে পণ্য আমদানি মূল্য ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া পণ্যের রফতানি মূল্য বেড়েছে ১২ দশমিক ৭ শতাংশ। কিয়োডো নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাপান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ