Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাইডেন-এরদোগানের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী কী কথা হলো?

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০২২, ১১:৪৪ এএম

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান আবারও আলোচনায়। কারণ তিনি চেষ্টা করছেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ থামাতে। আর এতে তার সঙ্গে অনেক রাষ্ট্রপ্রধানও কথা বলছেন।

এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে ইউক্রেনের। তবে সেই যুদ্ধে যতটা ইউক্রেন জড়িয়েছে তার চেয়ে বেশি জড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমারা। সেই পথ ধীরে ধীরে আরও কঠিন হচ্ছে। পশ্চিমাদের সঙ্গে পুতিনের সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতা করতে চাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা করেছেন তিনি।

দুই প্রেসিডেন্টের ফোনালাপের বিষয়ে হোয়াইট হাউস বলছে, রাশিয়ার অনর্থক ও অন্যায় আগ্রাসনে দুই দেশের যৌথ উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা মনে করেন রাশিয়ার আগ্রাসন এখনই বন্ধ করা দরকার।

বিবৃতিতে বলা হয়, কূটনৈতিক সমাধানে তুরস্কের চেষ্টার প্রতি সমর্থন রয়েছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের। তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের সুযোগগুলো নিয়েও কথা বলেছেন তারা।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি বলেন, তাদের আলোচনা ছিল গঠনমূলক ও দীর্ঘ। প্রায় ঘণ্টাখানেক কথা বলেন তারা।

তবে এ সময়ে কৃষ্ণসাগরে রুশ যুদ্ধজাহাজ প্রবেশ সীমিত করে দেওয়া নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান জেন সাকি।

এদিকে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে পাল্টা দুই শতাধিক পণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়া। চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা চলবে। এর আওতায় রয়েছে টেলিকম, কৃষি পণ্য, বৈদ্যুতিক এবং প্রযুক্তিগত যন্ত্রপাতি, গাড়ি, রেলের বগি, কন্টেইনার এবং টারবাইন।

অবন্ধুসুলভ আচরণ করেছে এমন দেশগুলোতে রাশিয়া কাঠ রপ্তানিও নিষিদ্ধ করছে। এসব নিষেধাজ্ঞার ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় ৪৮টি দেশ ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

রাশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, এইসব পদক্ষেপ রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিক জবাব এবং এর লক্ষ্য হচ্ছে, রুশ অর্থনীতির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রের কাজ নির্বিঘ্ন রাখা।

রাশিয়া সাময়িকভাবে ইউরেশিয়ান ইকোনোমিক ইউনিয়নভুক্ত (ইইইউ) সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কয়েকটি দেশে ১৫ মার্চ থেকে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত শস্য রপ্তানি এবং ইইইউ এলাকার বাইরে চিনি রপ্তানিও নিষিদ্ধ করতে পারে বলে ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা। ইইইউ দেশগুলোর মধ্যে আছে আর্মেনিয়া, বেলারুশ, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান এবং খোদ রাশিয়াও।

এক বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার বলেছেন যে, এসব নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়া আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। মস্কো এসব সমস্যার সমাধান বের করবে। উপরন্তু রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় বিপদে পড়বে পশ্চিমারাই। তাদের খাবার ও জ্বালানির দাম অনেকটাই বেড়ে যাবে।

পুতিন বলেন, অতিতেও আমরা সমস্যা কাটিয়ে উঠেছি। এখনো কাটিয়ে উঠবো। শেষ পর্যন্ত, এটি আমাদের স্বাধীনতা, স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং আমাদের সার্বভৌমত্ব বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করবে।

পশ্চিমাদের উদ্দেশ্য করে পুতিন বলেন, তাদের নিজেদের ভুলের দায় আমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্ক

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ