নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
তারকাসমৃদ্ধ পিএসজির বিপক্ষে প্রথম লেগের পরাজয়ে রিয়াল মাদ্রিদের চ্যালেঞ্জ আগে থেকেই ছিল বেশ কঠিন। কিলিয়ান এমবাপের প্রথমার্ধের গোলে সেটা হয়ে উঠল পাহাড়সম। বিরতির পর প্রবল চাপ তৈরি করেও মিলছিল না গোলের দেখা। একটা সময় সেটা অসম্ভবই মনে হচ্ছিল। কিন্তু এরপর যেভাবে তারা ঘুরে দাঁড়াল, তা অসাধারণের চেয়েও বেশি কিছু। প্রতিপক্ষের ভুল আর সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় হ্যাটট্রিকের আনন্দে ভাসলেন করিম বেনজেমা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনারে পা রাখল রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বুধবার রাতে ফিরতি লেগে ৩-১ গোলে জিতে শেষ আটে উঠল রিয়াল। প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতেছিল পিএসজি। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ অগ্রগামিতায় পরের ধাপে গেল কার্লো আনচেলত্তির দল।
প্রথম লেগে হারের পরই আনচেলত্তি ছুড়েছিলেন হুঙ্কার; ফিরতি পর্বে কেবল রিয়ালের ১১ জনের বিপক্ষে নয়, পুরো বের্নাবেউয়ের সঙ্গে লড়তে হবে পিএসজিকে। যে লড়াইয়ে বলা যায় ভরাডুবিই হলো মেসি-নেইমার-এমবাপেদের নিয়ে গড়া দলটির।
৬১ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে প্রথমার্ধটা প্রত্যাশিতই কাটে তাদের। প্রথম ৪৫ মিনিটে দুই দলই সমান আটটি করে শট নেয়, রিয়ালের তিনটি ও পিএসজির চারটি ছিল লক্ষ্যে। দ্বিতীয় অর্ধে বলা যায় পিএসজিকে উঠে দাঁড়াতেই দেয়নি ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
কিলিয়ান এমবাপের একক প্রচেষ্টার প্রতি-আক্রমণে অষ্টম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো পিএসজি। কিন্তু ফরাসি ফরোয়ার্ডের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান থিবো কোর্তোয়া। চার মিনিট পর নিজেদের ভুলে আবারও গোল খেতে বসেছিল স্বাগতিকরা। এবারও এমবাপের নিচু শট ঠেকিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের মাঝে ২৫তম মিনিটে জানলুইজি দোন্নারুম্মার নৈপুণ্যে বেঁচে যায় পিএসজি। বেনজেমার বুলেট গতির শটে ঝাঁপিয়ে কোনোমতে আঙুল ছোঁয়ান ইতালিয়ান গোলরক্ষক, বল দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
৩১তম মিনিটে দুই তারকার দারুণ বোঝাপড়ায় নিশ্চিত সুযোগ পায় পিএসজি। সতীর্থকে বল বাড়িয়ে চোখের পলকে ছয় গজ বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। রক্ষণচেরা পাস বাড়ান নেইমার। বল ধরে দুরূহ কোণ থেকে শটটি যদিও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি আর্জেন্টাইন তারকা।
দুই মিনিট পর জালে বল পাঠিয়ে উচ্ছ্বাসে মাতেন এমবাপে। তবে আক্রমণের শুরুতে নুনো মেন্দেস অফসাইডে ছিলেন। ভিএআরের সিদ্ধান্তে থেমে যায় তাদের উদযাপন।
হতাশা ঝেড়ে ফেলতে অবশ্য মোটেও সময় নেননি এমবাপে। নিজেদের সীমানা থেকে থ্রু বল বাড়ালেন নেইমার। দারুণ ক্ষীপ্রতায় ছুটে বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে ঠান্ডা মাথায় সামনে এক পলক দেখে ডিফেন্ডার দাভিদ আলাবাকে কোনো সুযোগ না দিয়ে শট নিলেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা।
দ্বিতীয়ার্ধের নবম মিনিটে বল পায়ে দারুণ কারিকুরিতে কোর্তোয়াকে কাটিয়ে আবারও লক্ষ্যভেদ করেন এমবাপে। তবে এবার তিনি নিজেই অফসাইডে ছিলেন।
নিজেদের ভুলে ৬১তম মিনিটে গোল হজম করে পিএসজি। দূর থেকে গোলরক্ষককে অহেতুক ব্যাকপাস দিলে ছুটে গিয়ে চ্যালেঞ্জ জানালেন বেনজেমা। ওখান থেকে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের পাস পেয়ে ফাঁকা জালে গোলটি করেন বেনজেমা।
৭২তম মিনিটে বক্সের বাইরে বল পেয়ে উড়িয়ে মারেন ভিনিসিউস! চাপ ধরে রেখে খানিক পরই দুই মিনিটে আরও দুই গোল করে চালকের আসনে উঠে বসে রিয়াল।
৭৬তম মিনিটে মদ্রিচের পাস বক্সে পেয়ে ঘুরেই শট নিলেন বেনজেমা। ছুটে এসে স্লাইড করে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেন মার্কিনিয়োস, তার পায়ে লেগেই বল একটু ওপরে উঠে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে খুঁজে নিল ঠিকানা।
ধাক্কা কাটিয়ে না উঠতেই আবারও গোল হজম করে পিএসজি। ডি-বক্সে ঢুকে ভিনিসিউস যার কাছে বল হারান সেই মার্কিনিয়োসই ক্লিয়ার করতে গিয়ে তুলে দেন বেনবেনজেমার পায়ে।দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন ৩-২, লড়াইয়ে প্রথমবারের মতো এগিয়ে গেল রিয়াল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।