পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720197922](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যানজটের ভোগান্তি থেকে কোনোভাবেই রেহাই পাচ্ছেন না রাজধানীবাসী। গতকাল সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ যানজটে নাকাল হয়ে পড়েছে অফিসগামী লোকজন। রাজধানীতে মেট্রোরেল, বিভিন্ন সেবা সংস্থার খোঁড়াখুঁড়িতে সড়কের প্রশস্ত কমেছে। অনেক সড়কে ড্রেন কাটা ও পাইপ বসানোর কাজ চলমান থাকায় রাস্তা বন্ধ রয়েছে। এতে চাপ বাড়ছে অন্য সড়কে। এছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পর থেকে যানজটের পুরোনো চেহারায় ফিরে যাচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক।
জানা যায়, অফিসগামী হাজারো মানুষকেই প্রতিদিন যানজটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সব সড়কে যানজট থাকার কারণে রিকশায় চলাচল করা যাত্রীদেরও ভোগান্তি বেড়ে যায়। তাদের কে একই জায়গায় বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়। এতে করে রিকশা চালকের সাথে যাত্রীদের ঝগড়া সৃষ্টি হয়। গত কয়েকদিন ধরে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। যানজটের কারণে যাত্রী পরিবহন করা গাড়ির ট্রিপ কমেছে। এতে তাদের আয় কমে গেছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন চালক। মালিককে দিনের জমা টাকা দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।
সকালে অফিস শুরুর সময়ে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার, পল্টন, মতিঝিল, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, শাহবাগ, বাংলা মোটর, মিরপুর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকাসহ বেশকিছু সড়কে ছিলো যানজট। কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, তালতলা, বিজয় সরণি, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, সাতরাস্তার বিভিন্ন অংশেও ছিলো যানজট। তীব্র যানজট ছিল মৌচাক-মালিবাগ ফ্লাইওভার মগবাজার অংশ থেকে বেইলী রোডের দিকে যাওয়ার পথে। রামপুরা টিভি সেন্টারের সামনের সড়ক ও ওভারব্রিজের উপরে ছিলো তীব্র যানজট।
মতিঝিল এলাকায় নিয়মিত অফিস করেন এমন কয়েকজন বলেছেন, ব্যাংক-বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগ অফিস এই এলাকায়। সকাল ১০টায় অফিস শুরু হয়। এ কারণে ৯টার পর থেকেই এসব এলাকায় প্রবেশ পথগুলোতে যানজট সৃষ্টি হয়। খিলগাঁও থেকে দৈনিক বাংলার মোড়ের সড়ক, মুগদা-কমলাপুরের সড়ক, ওয়ারী, টিকাটলি ও গুলিস্তান হয়ে আসার পথগুলোতে যানজট লেগেই থাকে। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে এই যানজট বেড়েছে। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পর থেকে যানজট পরিস্থিতি বেড়েছে। পাশাপাশি মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ ও সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের জন্য চলাচলের রাস্তা কমে গেছে।
ট্রাফিক পুলিশের একজন সদস্য জানান, অফিস শুরু ও শেষে যানজট পরিস্থিতি বেড়ে যায়। মূল কারণ অফিসগামী লোকজন একসঙ্গে বের হয়। সবদিক থেকেই গাড়ি আসতে থাকে। তখন যানজট বেড়ে যায়। এই দুই সময় যানজট নিয়ন্ত্রণে আমাদের বাড়তি চাপ নিতে হয়।
বেসরকারি চাকরিজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, এক ঘণ্টা আগে বাসা থেকে বের হয়েও ঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছানো যায় না। যানজটের কারণে গাড়ি জায়গা থেকে নড়ে না ফলে সময় বেশি লাগে। ঢাকায় একের পর এক ফ্লাইওভার তৈরি করা হচ্ছে কিন্তু যানজট কমছে না।
বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকা এক যাত্রী বলেন, যানজট থাকায় বাস আসতে দেরি হচ্ছে। তাই অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ হচ্ছে। বিমানবন্দরের দিকে যাওয়ার জন্য কোনো বাস পাচ্ছি না। মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য চলাচলের রাস্তা প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। এই প্রকল্পের জন্য মিরপুর-১২ নম্বর, পল্লবী, মিরপুর-১০ নম্বর, কাজীপাড়া শেওড়াপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, ফার্মগেট, শাহবাগ, বাংলামোটর এলাকায় যানবাহন চলাচল করছে সঙ্কীর্ণ সড়ক দিয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।