পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে সকাল থেকে গরমের মধ্যে যানজটে পড়েন কর্মজীবী লোকজন। এরইমধ্যে দুপুরের দিকে হঠাৎ বৃষ্টিতে ভোগান্তির মাত্রা বেড়ে যায় অনেকাংশে। বৃষ্টি রাজধানীবাসীর জন্য কিছুটা শীতলতা আনলেও পরবর্তী সময়ে যানজট ও কাদাপানিতে দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। এমন অবস্থায় রাস্তায় বের হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট ও বৃষ্টির কারণে আটকে থাকেন নগরবাসী। অনেকে নির্দিষ্ট সময়ে বাসায় ফিরতে পারেননি। আবার অনেকেই যানজট ও বৃষ্টির কারণে রাস্তায় আটকে থাকা গণপরিবহনে বসে একটু হলেও ঘুমিয়ে নিচ্ছেন।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, দুপুরের বৃষ্টিতে রাজধানীর বেশকয়েকটি সড়কে পানি জমে যায়। ফলে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। কোথাও কোথাও পানিবদ্ধ অবস্থা তৈরি হওয়ায় সড়কে দীর্ঘ সময় যাত্রীবাহী পরিবহন একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কোন কোন প্রধান সড়কগুলোতে বৃষ্টির পানি বেশিক্ষণ স্থায়ী না হলেও নগরীর অলি-গলির ছোট রাস্তার খানা-খন্দে জমে থাকে দীর্ঘক্ষণ। এতে রাস্তায় চলাচলকারী লোকজনকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। রিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশার যাত্রী ও চালকদের কষ্ট বেড়ে যায়।
দুপুরে বৃষ্টির পর থেকে ঢাকা কলেজের আবাসিক এলাকায় প্রবেশের গেটের সামনে থেকে নায়েম হয়ে পেছনের আবাসিক এলাকা পর্যন্ত পুরো সড়কে জমে আছে ময়লা পানি। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, নারী ও কর্মজীবীরা দাঁড়িয়ে আছেন শুকনো জায়গায়। দীর্ঘসময় অপেক্ষার পর অনেকেই ময়লা পানিতে হেঁটেই বাড়ি ফিরেছেন। সড়ক তলিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেন রিকশাচালকরা। পানি পার করে দেওয়ার নামে ৩০ থেকে ৪০ টাকা ভাড়া নিতেও দেখা যায় রিকশাচালকদের। আগারগাঁও এলাকায় বেশ কয়েকটি স্থানে পানিবদ্ধতা ও যানজটের সৃষ্টি হয়। ফার্মগেট, বিজয় সরণি থেকে মিরপুরের দিকে যাওয়ার সময় এক সিগন্যালে দাঁড়াতে হয় কয়েকবার। ধানমন্ডি, পান্থপথে যানজটের সৃষ্টি হয় সকাল থেকেই। ফার্মগেট থেকে শাহবাগের দিকেও যানজটের দেখা গেছে। এছাড়া রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, জিপিএ, গুলিস্তান, শ্যামলী, কল্যাণপুর, আসাদগেট, নিউমার্কেট, মহাখালী, তেজগাঁও, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায় দুপুর পর্যন্ত স্বাভাবিক যানজট থাকলেও দুপুরে বৃষ্টির পর সেটি আরও বেড়ে যায়। কোনো কোনো সড়কে গাড়ির লম্বা সারি তৈরি হয়। এতে করে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য মানুষদের দীর্ঘ সময় রাস্তায় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, মৌসুমি বায়ুর দেশের ওপর সক্রিয় হওয়ার কারণে বৃষ্টি বাড়ছে। সামনে ঢাকাসহ অন্যান্য অনেক অঞ্চলে বৃষ্টি আরও বাড়বে।
বাস যাত্রী জাবেদ বলেন, কর্মদিবস হওয়ায় এমনিতেই রাস্তায় যানজট থাকে। তার উপর বৃষ্টি আসার পর রাজধানীতে যানজটের মাত্রা বেড়ে গেছে। সকালে অফিসে আসতে তেমন একটা অসুবিধা না হলেও বিকেলে অফিস থেকে ফেরার পথে পোহাতে হয়েছে দীর্ঘ যানজট। এতে ঠিক সময়ে বাসায় ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তায় থাকি।
বাসচালক বাবুল মিয়া বলেন, আমি মিরপুর থেকে সায়েদাবাদ যাবো কিন্তু যানজটে পড়ে আছি। এই রুটের কয়েকটি জায়গায় নিয়মিতই যানজট হয়। কিন্তু বৃষ্টির কারণে যানজট বেড়ে গেছে। থেমে থেমে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। এতে সময় বেশি লাগছে এক ট্রিপ দিতে। আবার দেখা গেছে সিগন্যালে বসে থাকতে হচ্ছে বেশি সময়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।