নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজকে সামনে রেখে কিছুটা সমস্যার মধ্যেই আছে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ)। এই সিরিজের সময়ই যে শুরু হচ্ছে আইপিএলের নতুন মৌসুম। কাগিসো রাবাদা, মার্কো ইয়ানসেন, লুঙ্গি এনগিডি, আনরিখ নর্কিয়ার মতো ক্রিকেটাররা যেহেতু আইপিএলে দল পেয়েছেন, তাই তারা অর্থকরী এ প্রতিযোগিতা বাদ দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের হয়ে খেলবেন কি না, বোর্ডের মীমাংসার বিষয় এখন এটিই। একই সঙ্গে অধিনায়ক ডিন এলগারকেও পড়তে হচ্ছে সমস্যায়। দেশের হয়ে খেলা বাদ দিয়ে আইপিএলে যাওয়াটা যে ঠিক নয়, এলগার এখন এটিই খেলোয়াড়দের বোঝাচ্ছেন। এবারের আইপিএলে মোট ১১ জন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার নিলামে দল পেয়েছেন।
আইপিএল এলেই এ সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। খেলোয়াড়েরা নিজেরাও যে পড়ে যান দোটানায়। এক দিকে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে অর্থের হাতছানি, অন্য দিকে দেশের হয়ে খেলার দায়িত্ব। এ দোটানায় পড়ে খেলোয়াড়েরাও পড়ে যান বিপাকে। আইপিএলের সময় যেকোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ মানেই জাতীয় দলগুলোর খেলোয়াড় হারানোর শঙ্কা। রাবাদা, এনগিডি, নর্কিয়ার মতো ক্রিকেটারদের আইপিএলের জন্য ছাড়লে নিশ্চিত করেই তা বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে। তারা প্রত্যেকেই যে জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়।
রাবাদাদের ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা বলেছে, তারা আইপিএল খেলবেন না জাতীয় দলে খেলবেন, এটা সম্পূর্ণ তাঁদের ব্যাপার। এ ব্যাপারে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা কোনো জোরাজুরি করবে না। এ ব্যাপারে অধিনায়ক এলগারের ভাবনাটাও খুব পরিষ্কার, ‘এটা ক্রিকেটারদের জন্য খুব কঠিন ব্যাপার। আবার এটা দিয়েই বোঝা যাবে একজন ক্রিকেটারের আনুগত্যের বিষয়টি। তাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়, দেশের হয়ে টেস্ট, ওয়ানডে খেলেই তারা আইপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। আইপিএল খেলে তারা জাতীয় দলে সুযোগ পায়নি।’
আইপিএলকেও গুরুত্বপূর্ণই মনে করেন এলগার। কোনো ক্রিকেটার আইপিএলে না খেলুক, এটি তিনি নিজেও চান না বলেই জানিয়েছেন। তবে তার মতে, ক্রিকেটারদের মনে রাখা উচিত, কোনটাকে সে গুরুত্ব বেশি দেবে, ‘আমি কোনোভাবেই চাই না, কেউ আইপিএল মিস করুক। কিন্তু আমি তারপরও আইপিএলের চেয়ে দেশের হয়ে খেলাটাকে বেশি গুরুত্ব দেব। সবারই মনে রাখা উচিত, আইপিএলের চেয়ে দেশের দায়িত্ব অনেক বড়।’
আইপিএলে কারা কারা খেলবেন, আর কারা দেশের হয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ খেলবেন, নিজের সুবিধার জন্যই এটি জানা এলগারের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ, ‘আমার নিজের বিবেচনার জন্যই জানা দরকার এটি। তাহলে আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারব, আইপিএলের জন্য বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে আমি আমার সেরা বোলারদের বেশির ভাগকেই পাচ্ছি না।’ তবে এমনটি হোক এলগার তা চান না, ‘আমি যদি কাউকেই না পাই, তাহলে সেটি খুব কঠিন একটা ব্যাপার হয়ে যাবে। আমি তো আমার সেরা দল ছাড়া মাঠে নামতে পারি না। আমি টেস্টের জন্য আমার সেরা দলকেই চাই। যদি সেরা খেলোয়াড়দের না পাওয়া যায়, তাহলে আমাদের উচিত বসে ব্যাপারটি নিয়ে ভাবা।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। ৫০ ওভারের ম্যাচ তিনটি অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ১৮, ২০ ও ২৩ মার্চ। ২৬ মার্চ শুরু হবে আইপিএল। অন্য দিকে ৩১ মার্চ শুরু হবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম টেস্টটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।