Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বরফের নিচে টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা বসে গিনেস বুকে নাম তুললেন যুবক

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০২২, ২:১৯ পিএম

পাহাড়ে গিয়ে সোয়েটার পরে বরফ দেখতে কার না ভাল লাগে? কিন্তু তাই বলে সাড়ে তিন ঘন্টা কাচের বাক্সে সোয়েটার ছাড়া খালি গায়ে বরফের মধ্যে বসে থাকা? তাও মাত্র ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায়, ঝোড়ো হাওয়া আর বৃষ্টির মধ্যে! এমন ঘটনাই ঘটেছে লিথুয়ানিয়ার উইলনো শহরে। এহেন ঘটনা জানতে পেরে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। নেটিজেনদের মুখে মুখে ঘুরছে এমন আজব ঘটনার কথা।

কিন্তু কী করে ঘটলো এমন হাড়কাঁপানো ঘটনা? গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তোলার জন্যই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন পোল্যন্ডের নাগরিক ভালের‍্যান রোমানোভস্কি। একটানা ২০৮ মিনিট তিনি কাটিয়েছেন বরফের মধ্যে। বরফের তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। গিনেসের নিয়মানুসারে এই তিন ঘন্টা ২৮ মিনিট ধরে তার দেহ সম্পূর্ণভাবে বরফের সংস্পর্শে ছিল। এর আগে একটানা বরফের মধ্যে থাকার গিনেস রেকর্ড ছিল ফ্রান্সের রোমেন ভান্দেনডর্পের দখলে। তিনি বরফের মধ্যে ২ ঘন্টা ৩৫ মিনিট ধরে ছিলেন।

এমন অসম্ভব ঘটনা কী করে ঘটালেন ভালের‍্যান? নতুন রেকর্ড গড়ে এই কীর্তিমান জানাচ্ছেন, ‘এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আমি গত ৬ মাস ধরে ট্রেনিং করেছি। তবেই এই সাফল্য এসেছে।’ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১৬৫ মিনিট বরফের মধ্যে কাটানোর পরে রোমানোভস্কি কাঁপতে শুরু করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাল না ছেড়ে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে যান তিনি। বরফের মধ্যে থাকাকালীন পুরো সময়টাই তার শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছিল। অবস্থা সেরকম খারাপ হলে তাকে বের করে আনা হত।

তবে শেষ পর্যন্ত কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। নতুন রেকর্ড গড়ে যারপরনাই খুশি রোমানোভস্কি। অনেক দিন ধরেই তিনি ঠান্ডা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন এই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডটি ভাঙার। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি বেশ কয়েক বার ট্রেনিং করি। তখনই বুঝতে পারি যে এই রেকর্ডটা ভাঙা অসাধ্য নয়।’ নিজের শরীর প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে আমার শরীরকে বিশ্লেষণ করে থাকি। আমরা যা অনুমান করি আমাদের শরীর ও মন তার থেকে অনেক বেশি ক্ষমতা ধরে।’

এর আগেও তিনি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলেছেন। সেই রেকর্ড ছিল বিপদসংকুল রাস্তায় সর্বাধিক দূরত্ব সাইকেলে পাড়ি দেয়ার। কিন্তু কেন এই ধরনের দুঃসাহসিক কাজ করেন তিনি? ভালের‍্যান জানাচ্ছেন, “আমার শরীর, মন নিয়ে কাজ করতে খুব ভাল লাগে। এতে আমার মন প্রশান্তিতে ভরে যায়। বরফের রেকর্ড হোক বা সাইকেল চালানোর রেকর্ড, সব ক্ষেত্রেই সমান ভাবে প্রস্তুতি নিই।” সূত্র: রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুবক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ