মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার আগ্রাসন অব্যাহত থাকলেও ইউক্রেনের আকাশে নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করবে না ন্যাটো। ব্রাসেলসে ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শেষে সামরিক জোটটি এ কথা জানিয়েছে। যুদ্ধে রুশ সেনাদের হাতে ইউক্রেনের শহরগুলো অবরুদ্ধ হয়ে আছে। আশঙ্কা রয়েছে, যেকোনো সময় এসব শহর দখলে ভয়াবহ বিমান হামলা চালাতে পারি রাশিয়া। তাই এখনই ইউক্রেনের আকাশে নো ফ্লাই জোন কার্যকরে ন্যাটোর প্রতি আহবান জানিয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু ন্যাটো সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই যুদ্ধে জড়িত হতে চায়না। শুক্রবার ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টল্টেনবার্গ বলেন, মিত্র দেশগুলো ইউক্রেনের আকাশে নো ফ্লাই জোন ঘোষণার কথা বিবেচনা করছে না। আমরা একমত হয়েছি যে, ন্যাটোর বিমান ইউক্রেনের সীমায় প্রবেশ করবে না এবং ন্যাটোর সেনারাও সেখানে যুদ্ধ করবে না। ইউক্রেন যেহেতু ন্যাটোর সদস্য না তাই এই জোট সেখানে যুদ্ধে যেতে বাধ্য না। ন্যাটোর ঘোষণাপত্রের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, এর সদস্য যে কোনো রাষ্ট্রের উপরে আক্রমণ এর অন্য সদস্যদের উপরেও আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে। এখন পর্যন্ত একবারই এই নিয়মের ব্যবহার হয়েছে, ২০০১ সালে যখন যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল আল-কায়দা। তবে ইউক্রেনের ক্ষেত্রে ন্যাটো সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য নয়। যদিও এর আগেও সদস্য রাষ্ট্র না হওয়া সত্বেও বসনিয়া ও লিবিয়াতে নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করেছিল ন্যাটো। কিন্তু ইউক্রেনে এ জাতীয় ঘোষণা হবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে নামার ঘোষণা। কারণ ন্যাটোকে তখন নিজের সামরিক শক্তি ব্যবহার করে ইউক্রেনের আকাশে নো ফ্লাই জোন নিশ্চিত করতে হবে। রাশিয়ার কোনো বিমান যদি ইউক্রেনের আকাশে প্রবেশ করে তাহলে ন্যাটোকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থাৎ এটিকে গুলি করে ধ্বংস করতে হবে। আর সেটি করলে তখন রাশিয়া সমগ্র ইউরোপ ও আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এমনিতেই ন্যাটোকে রাশিয়ার জন্য সবথেকে বড় হুমকি মনে করেন। ইউক্রেনে তার সামরিক আগ্রাসনকে বৈধ করতেও তিনি ন্যাটোর হুমকির কথাই বলছেন। তাই ইউক্রেনের আকাশে নো ফ্লাই জোন ঘোষণার অর্থ দাঁড়াবে পরমাণু অস্ত্রের মালিক একটি দেশের সঙ্গে যুদ্ধে নামা। আর মূলত সেই কারণেই ইউক্রেনের আবেদন সত্বেও এর আকাশসীমায় নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করেনি ন্যাটো। সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।