গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া করে রাজধানীর শাহজাদপুরের সুবাস্তু টাওয়ারে প্রেমিকা জান্নাতুল নরিন এশা (২২) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (৪ মার্চ) ভোর চারটার সময় এই ঘটনা ঘটে। পরে দরজা ভেঙে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জান্নাতুলের মা সানজিদা নাহার বলেন, আমার মেয়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করেছে। প্লাবন ঘোষ নামে এক ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লাগত। গতকাল বিকালেও তার সঙ্গে ঝগড়া করে। রাতে সে নিজের রুমে ঘুমাতে যায়। আমার সন্দেহ হলে ভোরে আমি তাকে অনেক ডাকাডাকি করলেও সে দরজা খোলে না। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা ভেঙে দেখি, সে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে। তার দুই হাত ধারাল ব্লেড দিয়ে কাটা ছিল।অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাই। পরে চিকিৎসক জানায় আমার মেয়ে আর নেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা গুলশান থানার শাহজাদপুরের সুবাস্তু টাওয়ারে থাকি। আমার স্বামী সিকদার আলী অনেক আগেই মারা গেছেন। এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, শাহজাদপুর থেকে এক মেয়েকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। আনার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা আছে। আমরা গুলশান থানাকে বিষয়টি জানিয়েছি বিষয়টি তারাই তদন্ত করছেন। এ বিষয়ে নিহত জান্নাতুলের প্রেমিক প্লাবন ঘোষকে মুঠোফোনে বার বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।