বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝিনাইদহে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে হুসাইন নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন জুলফিককার ও ফিরোজ নামে আপন দুই ভাই। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরির আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। বুধবার রাত ৯টায় সদর উপজেলার মান্দারবাড়িয়া গ্রামের মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিলের মেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। তারা হলেন, ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ইসলামপাড়ার মনিরুল ইসলামের ছেলে হুসাইন (২০), একই এলাকার নজরুলের ছেলে ফিরোজ (২০) ও জুলফিককার (১৮)।
স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে রোগির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হুসাইন ও জুলফিককারকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার ২০মিনিট পরই হুসাইন মারা যায় এবং জুলফিককারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়।
চুরিকাঘাতে আহত ফিরোজ হোসেন বলেন, আমরা দুই ভাই ঝিনাইদহ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এ বছর এস এসসি পাশ করেছি। আমাদেরই বন্ধু হুসাইন। হুসাইন তার বাবার সাথে ব্যবসা করে। আমরা বন্ধুরা মিলে মান্দারবাড়িয়া গ্রামের ওয়াজ মাহফিলের মেলার মাঠে ঘুরছিলাম। সেসময় আমাদের মধ্যে তাদের ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটে। সেসময় তাদের মধ্য থেকে জিহাদী নামে এক ফল বিক্রেতা এলোপাতাড়ি সেভেন গিয়ার (ছুরি) দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত করতে থাকে। তার সাথে আরও অনেকে ছিল। তাদেরকে আমরা ওই ভাবে চিনি না। তবে অপরিচিত এক ব্যক্তি ছুরি কেড়ে না নিলে অবস্থা আরও ভয়াবহ হতে পারতো।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার এস আই এমদাদ বলেন, ছুরিকাঘাতের ঘটনায় হুসাইন নামে এক যুবক মারা গেছেন। জুলফিককার ও ফিরোজ আপন দুই ভাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে কি কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।