Inqilab Logo

শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসে যা বললেন জায়েদ খান

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২২, ১১:২৬ এএম

হাইকোর্টের রায়ের পর অবশেষে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেছেন জায়েদ খান। বুধবার (২ মার্চ) রাতে তিনি সমিতিতে প্রবেশ করেন। এর আগে হাইকোর্টের রায়ের পর বিকেলে এফডিসিতে গেলে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ শিল্পী সমিতির তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করেন জায়েদ খান।

সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদ খান বলেন, ‘আমি তো জোর করে চেয়ারে বসিনি। শিল্পীদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। আদালত থেকেও রায় পেয়েছি। তবু আমাকে বারবার চাপে রাখার জন্য, হয়রানি করার জন্য অন্য সংগঠনকে ব্যবহার করা হয়েছে। ১৮ সংগঠন আছে, সমিতির উন্নয়নে কাজ করার কথা। কিন্তু তারা করেনি। কেন আমাকেই টার্গেট করা হয়েছে জানি না।’

এ সময় জায়েদ খানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কালজয়ী অভিনেত্রী সুচরিতা, অরুণা বিশ্বাস, চিত্রনায়ক জয় চৌধুরীসহ শিল্পী সমিতির কয়েকজন সদস্য। এ ছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে বুধবার হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন যে, জায়েদ খানের প্রার্থীতা বৈধ। এর ফলে দায়িত্ব পালনে তার আর কোনো বাধা নেই। কেননা নির্বাচনে তিনিই বিজয়ী হয়েছিলেন।

হাইকোর্টের রায়ের পর এফডিসিতে আসেন জায়েদ খান। শিল্পী সমিতির সামনে যান, কিন্তু প্রবেশ করতে পারেননি। কারণ সেখানে তালা লাগানো ছিল। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ আক্তারও গেছেন এফডিসিতে। তিনি অবস্থান নেন প্রযোজক সমিতির কার্যালয়ে।

সন্ধায় এফডিসির বাগান প্রাঙ্গনে সংবাদ সম্মেলন করে জায়েদ খান বলেন, ‘সত্যের জয় হয়েছে। আদালতের রায় অনুযায়ী আজ থেকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে আর কোন বাধা নেই। আমি তো আগেই বৈধভাবে নির্বাচিত ছিলাম। মাঝখানে অন্যায়ভাবে আপিল বোর্ড একটা ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছিল। আজ হাইকোর্ট রায় দিয়েছে তাদের দেয়া সিদ্বান্ত ভুল ছিল’।

এ সময় দুই পক্ষের সমর্থকদের স্লোগান দিতেও শোনা যায়। এর ফলে পরিস্থিতি কিছুটা বেসামাল হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে বহিরাগতের আনাগোনাও দেখা গেছে। উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য এফডিসিতে প্রবেশ করে পুলিশ। তেজগাঁও থানা থেকে একাধিক গাড়িসমেত পুলিশ সদস্যরা এফডিসিতে আসেন।

যদিও দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এফডিসি যেহেতু কেপিআইভূক্ত এলাকা। তাই এখানে নিয়মিতই আসি আমরা। এখনো সেভাবেই এসেছি।’ পুলিশ আসার পর জটলা পাকানো বহিরাগতরা দৌড়ে পালিয়েছে বলেও জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢালিউড

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ