নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইউক্রেইনে রাশিয়ার ভয়াবহ চলমান যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বে। ইতিমধ্যে রাশিয়ানদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেঁটে পরছে পশ্চিমা বিশ্ব। যার প্রভাব পড়েছে ক্লাব চেলসির উপরও। দলটি ইংলিশ হলেও মালিক রোমান আব্রাহামোভিচ একজন রুশ। ফলে লন্ডনের এই জনপ্রিয় ক্লাবটিকে একরকম বাধ্য হয়েই বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রোমান।
বুধবার রাতে চেলসির ওয়েবসাইটে দেওয়া বিশদ বিবৃতিতে সিদ্ধান্তটি জানান আব্রাহামোভিচ। বলেন, সিদ্ধান্তটি নেওয়া ছিল খুব কঠিন যা তাকে কষ্ট দিচ্ছে। ইউক্রেইনের ওপর রাশিয়ার হামলার পর দেশটির ওপর নানারকম নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক অঙ্গনেই নয়, দেশটির ক্রীড়াক্ষেত্রেও পড়েছে এর বিরূপ প্রভাব। চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল প্যারিসে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার ফুটবলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে আব্রাহামোভিচের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি ওঠার পর শনিবার চেলসির ‘অভিভাবকত্ব’চেলসিরই চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের হাতে দেওয়ার ঘোষণা দেন ৫৫ বছর এই ব্যবসায়ী। এতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও জেঁকে বসা সমস্যা আসলে কমেনি একটুও। ফলে দুদিনের মাথায় ক্লাবটি বিক্রি করে দিতে হচ্ছে।
বিক্রি করে দেওয়ার ঘোষণায় আব্রাহামোভিচ বলেন, ‘আমি সবসময় মন থেকে ক্লাবের সবচেয়ে ভালোর জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই পরিস্থিতিতে তাই আমি ক্লাবকে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ আমার বিশ্বাস, ক্লাব, সমর্থক, সব স্টাফ এবং একই সঙ্গে ক্লাবের স্পন্সর ও পার্টনারদের জন্য এটাই সবচেয়ে ভালো হবে।’
২০০৩ সালে চেলসির মালিকানা কেনেন আব্রাহামোভিচ। প্রিমিয়ার লিগে তারা যে ৬টি শিরোপা জিতেছে তার ৫টিই তার সময়ে। দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার দুটিই এসেছে তার মালিকানায়, ২০১১-১২ ও ২০২০-২১ মৌসুমে। এ বিষয়ে বলেন,‘ক্লাবটির বিক্রির প্রক্রিয়া দ্রুত করা হবে না, সঠিক প্রক্রিয়া মেনেই হবে। আমাকে কোনো ঋণও পরিশোধ করতে হবে না। আমি আমার লোকদের একটি চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন গড়তে বলেছি। বিক্রি থেকে লাভের অঙ্ক সেখানেই যাবে। ফাউন্ডেশনের অর্থ ইউক্রেইন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।