Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জনপ্রিয়তাকেই শত্রুতার কারণ বললেন জায়েদ খান

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০২২, ৩:৫২ পিএম

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণাকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। এই রায়ের ফলে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ ফিরে পেলেন জায়েদ খান।

বুধবার (২ মার্চ) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ নিপুণের আপিল অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। নিপুণের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদ খান হাইকোর্টে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘রায়ে আমি খুশি, প্রথমে সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই, এর পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই; কেননা তাঁর শাসনামলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আমি আইনজীবী, মিডিয়া, ভক্ত সবার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।’

ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে জানিয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘আমার কার্যক্রম, জনপ্রিয়তা তাদের ঈর্ষার কারণ। তারা আবার আটকানোর চিন্তা করবে এই রায়কে। তারা প্রক্রিয়া চালাবে শুধু কাজ বন্ধ করে। আমি যে নির্বাচিত, আমাকে যে দুই বছর কাজ করতে দেবে, সেটা না দিয়ে এটাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে।’

জায়েদ খান আরও বলেন, ‘চেয়ার দখলের খেলা বন্ধ করতে হবে। এগুলো দেখে মানুষ হাসে। দেখতে দেখতে দুই বছর চলে যাবে। শিল্পীরা হচ্ছে ফুলের মতো।’

উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এতে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হন নিপুণ ও জায়েদ খান। নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে জয়লাভ করেন জায়েদ। এরপর পুনর্গণনাতেও তিনি জয় পান।

পরবর্তীতে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন নিপুণ। সেই প্রেক্ষিতে পদটি নিয়ে শুরু হয় বিতর্কের ঝড়। বিষয়টি সমাধানের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় নির্বাচনের আপিল বোর্ডকে। তারা তদন্ত শেষে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে এবং নিপুণকে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করে।

এরপর জায়েদ খান আদালতের রিট করেন। সেই রিটের বিপরীতে আপিল করেন নিপুণ। রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার আদালত। সব মিলে পদটি নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থাও বহাল রাখা হয়। পাশাপাশি এ বিষয়ে জারি করা রুল হাইকোর্টকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আদালত। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢালিউড

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ