Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ইউরোপীয় দেশগুলোতে আশ্রয় ৫ লাখ শরণার্থীর

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০২২, ২:৩৬ পিএম

কথায় আছে, রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়! যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতিতেই তা সত্যি। এ বারও তার ব্যতিক্রম হল না। প্রাণটুকু বাঁচানোর আশায় সব ফেলে রেখে খালি হাতেই দেশ ছাড়ছেন কাতারে কাতারে মানুষ। জাতিসংঘের মানবাধিকার রক্ষা শাখা বলছে, গত কয়েক দিনে পাঁচ লাখ ইউক্রেনবাসী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আগামী চার-পাঁচ দিনে এই একই সংখ্যক মানুষ আরও আসবেন।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, পোল্যান্ডে সব থেকে বেশি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে এ পর্যন্ত ২ লক্ষ ৮০ হাজার শরণার্থী গিয়েছেন। পোলিশ সরকার জানিয়েছে, রোজ গড়ে ৫০ হাজার মানুষ তাদের দেশে আশ্রয় নিচ্ছেন। তবে সিরিয়ার যুদ্ধে সময়ে যেমন বহু দেশই শরণার্থীদের প্রবেশ নিষেধ করে দিয়েছিল, এ ক্ষেত্রে এখনও তা হয়নি। পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, রোম্যানিয়া, মলডোভা ও স্লোভাকিয়া - প্রতিটি দেশই তাদের গ্রহণ করেছে। পোল্যান্ডের মতো না হলেও, অন্য দেশগুলিতেও প্রচুর শরণার্থীরা গেছেন।

প্রতিটি ইউরোপীয় দেশই জানিয়েছে, তাদের দেশে আসার জন্য কোনও পরিচয়পত্র লাগবে না। কিন্তু তারা সঙ্গে যেন পাসপোর্ট, ট্রাভেল ডকুমেন্ট ও ডাক্তারি কাগজপত্র রাখেন। 'শরণার্থী' স্টেটাস পাওয়ার জন্য তাদের ইউক্রেনের নাগরিক হতে হবে বা সে দেশের আইনি বাসিন্দা (যেমন বিদেশি শিক্ষার্থী) হতে হবে।

তবে, সকলেই এই পাঁচ লাখ মানুষের মতো 'ভাগ্যবান' নন। কারণ ইউক্রেন সীমান্তে এখন দীর্ঘ লাইন। প্রায় ১৫ কিলোমিটার জুড়ে মানুষ অন্য দেশে ঢোকার অপেক্ষায়। খাবার নেই, জল নেই। বস্তুত খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাচ্ছেন তাঁরা। হিমাঙ্কেরও কয়েক ডিগ্রি নীচে তাপমাত্রা, ফলে অবস্থা আরও সঙ্গীন। দেখার কেউ নেই তাঁদের। এখন শুধুই অপেক্ষা, কখন একটু পরভূমে ঠাঁই মেলে। কেউ বহুতলের কার পার্কিংয়ে, কেউ গ্যারাজে, কেউ বা রাস্তার ধারেই এখন দিন গুজরান করছেন। প্রাণটা যে এই অপেক্ষাতে চলে যাবে না, এমন নিশ্চিন্তিও নেই।

ইউরোপীয় দেশগুলি অবশ্য শরণার্থীদের জন্যও নানা ব্যবস্থা করেছে। ইউক্রেনের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে, এ রকম সব ক'টি ইউরোপীয় দেশই 'রিসেপশন' সেন্টার খুলেছে। যাদের বন্ধু বা আত্মীয় কেউ-ই নেই এই সব দেশে, তাঁরা যাতে থাকতে পারেন। তাঁদের খাবার ও ওষুধও দেওয়া হচ্ছে। হাঙ্গেরি ও রোমানিয়া খাবার ও জামা-কাপড় কেনার জন্য নগদ টাকা দিচ্ছে শরণার্থীদের। স্থানীয় স্কুলে বাচ্চাদের ভর্তি করারও ব্যবস্থা করেছে সরকার। আর নানা দেশ নানা রকম ব্যবস্থা নিয়েছে। সূত্র: এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শরণার্থী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ