Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দীর্ঘমেয়াদে চড়া মূল্য দিতে হবে পুতিনকে : বাইডেন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০২২, ১০:৩৭ এএম

ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানে শেষপর্যন্ত জয়ী হলেও এজন্য দীর্ঘমেয়াদে চড়া মূল্য দিতে হবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। বুধবার এই মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউসে দেওয়া এক ভাষণে বাইডেন বলেন, ‘যুদ্ধক্ষেত্রে হয়তো তিনি জয়ী হবেন, যে উদ্দেশ্যে এই অভিযানের নির্দেশ তিনি দিয়েছেন, তা হয়তো সফল হবে- কিন্তু এজন্য দীর্ঘমেয়াদে চড়া মূল্য দিতে হবে তাকে।’

রাশিয়ার কাছে ক্রিমিয়ার দখল হারানোর পর পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করে ইউক্রেন। এই আবেদনকে ঘিরে দ্বন্দ্ব দানা বাঁধতে থাকে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে। সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে ঘোষণা করার পর মস্কো ও কিয়েভের মধ্যকার তিক্ততা আরও তীব্র হয়।

এই তিক্ততার জেরেই দীর্ঘ দুই মাস ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ২ লাখ সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে দেশটির পূর্বাঞ্চলে সেনা অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন ভ্লাদিমির পুতিন। তার ভাষণ সম্প্রচারের পরপরই রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায় এবং তড়িৎগতিতে ইউক্রেনের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পাশপাশি চতুর্দিক থেকে দেশটির ভেতরে প্রবেশ করতে শুরু করে রুশ সেনাবাহিনী।

ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রুশ বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধ হচ্ছে ইউক্রেনের বাহিনীর। তবে গত দুই দিন ধরে সংঘাত তীব্র হয়ে উঠেছে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে। রুশ বাহিনীর রকেট হামলায় ইউক্রেনের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটিতে ইতোমধ্যে শতাধিক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
এছাড়া অভিযানের ষষ্ঠ দিন মঙ্গলবারে রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে পৌঁছেছে রাশিয়ার সেনাবহর। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে— ট্যাংক, সাঁজোয়া যান, অস্ত্র ও গোলাবারুদে সমৃদ্ধ এই সেনাবহরটি প্রায় ৪০ মাইল দীর্ঘ।
এদিকে, সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই রাশিয়ার ওপর একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করতে থাকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশ ও সংগঠন। ইতোমধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রুশ ব্যাংকগুলোর বাণিজ্যিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা লেনদেন ব্যবস্থা সুইফট থেকেও রাশিয়াকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব উঠেছে।

এসব নিষেধাজ্ঞার জবাবে রাশিয়াও ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিচ্ছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলোর একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় বিচলিত নয় রাশিয়া; এবং ইউক্রেন ইস্যুতে দেশটি যে অবস্থান নিয়েছে, পশ্চিমের দেশগুলোর জারি করা নিষেধাজ্ঞার কারণে তাতে পরিবর্তন আসারও কোনো সম্ভাবনা নেই। সূত্র: রয়টার্স



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ