মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সাংবাদিকদের উপর হামলার বিরুদ্ধে কমিটি (সিএএজে) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, 'দ্য সিজ অফ দ্য মিডিয়া', যা উত্তর প্রদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের সাথে সম্পর্কিত ঘটনার বিবরণ প্রকাশ করেছে। যোগি আদিত্যনাথ ২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে ৪৮জন সাংবাদিককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে, ৬৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে। -ন্যাশনাল হেরাল্ড ইন্ডিয়া, দ্য ওয়ার
সাংবাদিকদের উপর হামলার বিরুদ্ধে করা কমিটি দ্বারা প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনটিতে উত্তর প্রদেশের (ইউপি) আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিজেপির নানা তথ্য প্রকাশ করেছে। উত্তর প্রদেশে বিজেপির পাঁচ বছরের মেয়াদে মহামারী চলাকালীন ৭৮% মামলা (১০৯) রেকর্ড করা হয়েছিল - ২০২০ সালে ৫২ এবং ২০২১ সালে ছিল ৫৭টি। প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে উত্তর প্রদেশে সাংবাদিকদের নিপীড়নের ১৩৮টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে৷ আদিত্যনাথ ২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেয়ার পর থেকে রাজ্যে ১২ সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে, ৪৮ জনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে এবং বিভিন্ন অভিযোগে ৬৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বা গ্রেফতার করা হয়েছে৷
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, আইনি নোটিশ, এফআইআর, গ্রেপ্তার, আটক, গুপ্তচরবৃত্তি, হুমকি এবং সহিংসতাসহ সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উপর বেশিরভাগ আক্রমণ রাষ্ট্র ও প্রশাসনের দ্বারা প্ররোচিত হয়েছে। গত পাঁচবছরে অন্তত ৫০জন সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছেন বা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন। সিএএজে রিপোর্ট অনুসারে, ২০২১ সালে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশ হয়রানি সম্পর্কিত। ২০২২ সালে আমেঠি, কৌশাম্বি, কুন্ডা, সীতাপুর এবং গাজিয়াবাদ থেকে এখনও পর্যন্ত সাংবাদিকদের উপর শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে, লখিমপুর খেরিতে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে, আশিস, তার এসইউভি দিয়ে প্রতিবাদী কৃষকদের ঝাঁপিয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। এঘটনায় নিহত হন সাংবাদিক রমন কাশ্যপ। শ্রীবাস্তব, যিনি প্রতাপগড়ের স্থানীয় মদ মাফিয়ার দুর্নীতি প্রকাশ করেছিলেন, তিনি আশঙ্কা করেছিলেন যে মাফিয়াকর্মীরা তাকে হত্যা করতে পারে এবং এমনকি তার হত্যার আগে পুলিশ সুরক্ষা চেয়েছিল। তবে পুলিশ ব্যবস্থা না নিয়ে হত্যাকাণ্ডকে দুর্ঘটনা বলে আখ্যা দিয়েছে। এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়াও বিষয়টি নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে, ইউপি পুলিশের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সিএএজে রিপোর্ট অনুসারে, উত্তর প্রদেশে ৫৫ জন সাংবাদিক এবং সম্পাদককে লকডাউন চলাকালীন ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট করার জন্য মামলা বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিএএজে রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে কীভাবে বিবিসি এবং দ্য হিন্দুর মতো প্রধান সংবাদসংস্থার সংবাদদাতাদের উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছ থেকে মামলার মুখোমুখি হতে হয়। ইতিমধ্যে, আদিত্যনাথ সরকার দিল্লি-ভিত্তিক সাংবাদিকদের – দ্য ওয়্যার-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সিদ্ধার্থ ভারদারাজন, মৃণালপান্ডে, রানা আইয়ুব, জাফর আগা, সাবানকভি, বিনোদকে. জোস এবং অনন্তনাথকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে জড়িত করার চেষ্টা করেছিল৷ প্রতিবেদন অনুসারে, উত্তর প্রদেশে সাংবাদিকদের বিভিন্ন আইন এবং আইপিসির ১৮৮ ধারার অধীনে অসংখ্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পাঁচ বছর ধরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সবধরনের হামলার মামলার প্রকৃত সংখ্যা ১৩৮টিরও বেশি। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, দ্য ওয়্যারকে বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং ভারত সমাচার এবং দৈনিক ভাস্করের অফিসগুলিতে অভিযান চালানো হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।