মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। বাইডেন বলছেন এর ফলে ‘রাশিয়ার অর্থনীতিকে গুরুতর মূল্য দিতে হবে।’ খবর ভয়েস অব আমেরিকার। জো বাইডেন হোয়াইট হাউস থেকে বলেন, ‘পুতিন আগ্রাসী। তিনি এ যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছেন। এখন তাঁকে এবং তার দেশকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।’ ভয়েস অব আমেরিকা বলছে—যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়ার ব্যাংক, শাসকগোষ্ঠী ও উচ্চপ্রযুক্তি শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশে দেওয়া হয়েছে। বাইডেন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেওয়ার আগে একজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, বৃহস্পতিবার পুতিন তার প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে আক্রমণের মাধ্যমে দেশটির সরকারকে উৎখাত করার পরিকল্পনা করেছে। এ ছাড়া মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘আমরা এখন যা দেখছি, তা একটি পূর্ণমাত্রার আক্রমণের প্রাথমিক স্তর মাত্র।’ ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তারা (রুশ বাহিনী) কিয়েভ (ইউক্রেনের রাজধানী) দখলের পথে অগ্রসর হচ্ছে।’ পেন্টাগনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের সরকারকে সম্পূর্ণভাবে ছিন্নভিন্ন করা রাশিয়ার উদ্দেশ্য।’ এ ছাড়া পেন্টাগনের ওই কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়ার প্রাথমিক আক্রমণে ১০০টিরও বেশি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। একই সঙ্গে মাঝারি-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সামরিক স্থাপনা যেমন—বিমানঘাঁটি, ব্যারাক ও গুদাম লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয়। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ইউক্রেনের সৈন্যরা ‘প্রতিরোধ করছে এবং পাল্টা লড়াই করছে।’ পুতিনের নির্দেশে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের সবচেয়ে বড় এ আক্রমণ গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে শুরু করে রাশিয়া। রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে হামলা শুরু করে এবং ইউক্রেনের রাজধানীসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পুতিন এ আক্রমণকে একটি ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন, যার উদ্দেশ্য হলো রাশিয়ার দক্ষিণের এ প্রতিবেশী দেশটির ‘বেসামরিকীকরণ এবং নাৎসীবাদ মুক্তকরণ।’ ইউক্রেন এক সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। এরপর ১৯৯১ সাল থেকে তারা স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ভিওএ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।