মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর তীব্র আক্রমণের মুখে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের রাস্তায় রাস্তায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে পালাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য মার্কিন সাহায্যও প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এদিকে রুশ বার্তাসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, শনিবার এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের রাজধানী শহর কিয়েভের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে- ‘এই মুহূর্তে আমাদের শহরের রাস্তায় রাস্তায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে।’
বিবৃতিতে শহরের বাসিন্দাদের বাড়ির জানালার কাছে বা ব্যালকনিতে না যেতে সতর্ক করা হয়েছে।
এছাড়া ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর ফেসবুক পেজে দেওয়া তথ্যে বলা হয়েছে, কিয়েভের ভ্যাসিলভিক এলাকায় রুশ সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে। এতে আরও বলা হয়েছে, রাজধানী অন্যান্য এলাকা ও রাস্তায়ও এখন ‘সক্রিয় লড়াই’ চলছে।
এর পাশাপাশি কিয়েভে অবস্থানরত সাংবাদিকরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, কিয়েভের রাস্তায় প্রকৃতপক্ষেই তীব্র লড়াই চলছে। অনেকেই শহরের কেন্দ্রস্থলের খুবই কাছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ এবং গুলির শব্দ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়ার বাহিনী রাজধানী কিয়েভ পুরোপুরি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এরপর তারা দেশটির নেতৃত্বকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করবে।
রাজধানী কিয়েভের মাইডান স্কয়ারের কাছে একটি বড় ধরণের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং শহরের ত্রয়েশ্চিনা এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, কিয়েভের ওপর গোলা হামলার শব্দ এতোটাই তীব্র ছিল যে শহরের কেন্দ্র থেকে কয়েক মাইল দূর পর্যন্ত শব্দ পেয়েছেন তারা।
অন্যদিকে পৃথক এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ভোর থেকেই কিয়েভে ব্যাপক হামলা শুরু করেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। হামলা শুরুর পর থেকেই শহরজুড়ে ব্যাপক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিকে শত্রপক্ষকে শক্তভাবে রুখে দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এছাড়া ব্যাপক রুশ হামলার মুখে তাকে কিয়েভ থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছেন জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি বলেছেন, ‘এখানে যুদ্ধ চলছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এপি জানিয়েছে, মার্কিন সরকারের নির্দেশে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে কিয়েভ থেকে সরে যেতে সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের সেই প্রস্তাব মানেননি।
মার্কিন ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব শুনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন- এখানে যুদ্ধ চলছে এবং তার এখন ট্যাংক বিধ্বংসী গোলাবারুদ প্রয়োজন, পালিয়ে যাওয়া নয়।
এপি বলছে, ব্যাপক এই সংঘর্ষের কারণে শত শত হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া কামানের গোলার আঘাতে কিয়েভের অনেক আবাসিক ভবন, সেতু ও স্কুল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া হামলার মাধ্যমে রাশিয়া ইউক্রেনের সরকারকে উৎখাত করতে পারে, এমন ইঙ্গিতও জোরালো ভাবে পাওয়া যাচ্ছে। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।