মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে শেয়ার বাজারে ব্যাপক আঘাত এসেছে। ইতিমধ্যেই ভারতে শেয়ার বাজারে ধসের কারণে মুকেশ আম্বানি ও গৌতম আদানির মতো ব্যবসায়ীরা বড়সড় ধাক্কা খেয়েছেন। ফোর্বসের দেওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ভারতের বিজনেজ টাইকুন মুকেশ আম্বানির সম্পত্তিতে ২ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়।
ইউক্রেনের বুকে রুশ হামলা ঘিরে ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে যুদ্ধের ডঙ্কা। আর তার প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করে দিয়েছে বিশ্বজোড়া অর্থনীতিতে। দুনিয়ার বিভিন্ন শেয়ার বাজারে এর প্রবল প্রভাব পড়তে শুরু করে দিয়েছে। এরই মাঝে যুদ্ধের অশনি সংকেত দেখতেই বুধবার থেকেই তার প্রভাব পড়তে থাকে শেয়ার বাজারে। উল্লেখ্য, এর ফলে বুধবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধনী এলন মাস্ক শেয়ার বাজারে এতটাই টাকা খুইয়েছেন, যে গৌতম আদানির মতো ধনকুবের এক বছরে রোজগার করেন!
ভারতের অন্যতম ধনকুবের গৌতম আদানির সম্পত্তিতে ১ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়ে যায়। এদিকে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে যখন চরম প্রভাব পড়েছে ভারতীয় ধনকুবেরদের আয়ের অঙ্কে, তখন সেই যুদ্ধের হানিকর প্রভাব থেকে বাদ যাননি বিশ্বের তামাম ধনী ব্যক্তিত্বরাও। ধনকুবের এলন মাস্ক এক লাখ কোটি টাকার ধাক্কা খেয়েছেন একদিনে। যে অর্থের অঙ্ক এক বছরে গৌতম আদান রোজগার করেন বলে শোনা যায়। তথ্য বলছে, গৌতম আদানি প্রতি বছর ৩,৬৫, ৭০০ কোটি রুপি রোজগার করেন।
উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারের লাল রেখায় যুদ্ধের কালো ধোঁয়ার প্রভাব পড়তেই এলন মাস্ক ১৩ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার খুইয়ে ফেলেন। উল্লেখ্য, ভারতের গৌতম আদানির সর্বমোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৭ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। এই সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে বিশ্বের ধনীদের তালিকায় একাদশতম স্থানে রয়েছেন।
দেখা গিয়েছে, বুধবার আদানির মোচ সম্পত্তির পরিমাণে ১ হাজার ৬৮০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়। উল্লেখ্য, তার মোট সম্পত্তি চলতি বছরে ১০ হাজার ৫০০ কোটি বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়েছে। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স বলছে, এলন মাস্কের সম্পত্তি ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের থেকে নিচে নেমে গিয়েছে। যা দাঁড়িয়েছে ১৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এই বছর তার মোট সম্পত্তিতে ৭১.১ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি দেখা গিয়েছে।
এলন মাস্ক যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন, সেখানে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা, জেফ বেজোস ১৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে রয়েছেন ধনীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। ফেসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ ৭৫.৪ বিলিয়নের মার্কিন ডলারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে রয়েছেন চোদ্দতম স্থানে। সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।