Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সংসদ ভবন ও বায়তুল মোকাররমে শুটিংয়ের অনুমতি চান ফারুকী!

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:১৩ পিএম

দেশের অন্যতম দুটি ঐতিহাসিক স্থাপনা বায়তুল মোকাররম মসজিদ এবং জাতীয় সংসদ ভবন। এই দুটি জায়গায় কখনো কোনো নাটক, সিনেমা বা অন্য কিছুর শুটিং হয়নি। কেউ কখনো এ দুটি জায়গায় শুটিংয়ের জন্য অনুমতি চেয়েছেন বলেও শোনা যায় না। এবার সেটাই করলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বায়তুল মোকাররম ও সংসদ ভবনে শুটিং করতে চান।

ফেসবুকে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এই দাবি তুলেছেন ফারুকী। অস্ট্রেলিয়ার উদাহরণ টেনে এই নির্মাতা জানান, বিভিন্ন মিডিয়ায় সিডনি ওপেরা হাউজ ও হারবার ব্রিজের চিত্র এতো বেশি উঠে এসেছে যে, এখন অস্ট্রেলিয়ার নাম উচ্চারিত হলেই সবার চোখে এগুলোর ছবি ভাসে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সরকার যদি এসব স্থানে ছবি তোলা কিংবা শুটিং নিষিদ্ধ রাখত, এমনটা হতো না।

‘ডুব’ খ্যাত এ পরিচালক তার লেখার শুরুতে বর্হিবিশ্বের কিছু উদাহরণ টেনেছেন। অস্ট্রেলিয়ার উদাহরণ টেনে ‘টেলিভিশন’ নির্মাতা লেখেন, ‘‘গণমাধ্যমে সিডনি অপেরা হাউস ও হারবার ব্রিজ এত বেশি উঠে এসেছে যে এখন অস্ট্রেলিয়ার নাম উচ্চারিত হলেই সবার চোখে এগুলোর ছবি ভাসে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সরকার যদি এসব স্থানে ছবি তোলা কিংবা শুটিং নিষিদ্ধ রাখত, এমনটা হতো না।’’

ফারুকী আরো লিখেছেন, “আমাদের একটা সংসদ ভবন আছে। যেটা সারা পৃথিবীতে একটা আইকনিক স্ট্রাকচার হিসেবে আমরা হাজির করতে পারতাম। কিন্তু আপনি সেখানে শুট করতে পারবেন না, কারণ সেটা কেপিআই জোন। বিশেষ অনুমতি নিয়ে শুট করা সম্ভব, যেটা অনেকের পক্ষেই পাওয়া কঠিন। তাই বলি, আপনি আপনার দেশের সেরা জায়গাগুলোতে যদি শুট না করতে দেন, তাহলে তো আপনার আফসোস করা উচিত না যে ‘তোমরা বাংলাদেশকে প্রপারলি দেখাও না’। ”

হিন্দু ও খ্রিস্টান ধর্মের আচার-অনুষ্ঠানগুলো অন্য দেশের নির্মাতারা নান্দনিকরূপে তুলে ধরেন। তুলনায় বাংলাদেশে মুসলিমদের ধর্মীয় আচার সেভাবে পর্দায় উঠে আসে না। ফারুকী তার পাঠকদের কাছে প্রশ্ন রেখে আরো লেখেন, ‘আমার একটা দৃশ্যের জন্য বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতরে শ্যুট করা দরকার, যেখানে দেখা যাবে হাজার হাজার লোক একসাথে জুমা আদায় করছে। একটু জোগাড় করে দিতে পারবেন? আপনি মসজিদে শ্যুট করতে দেবেন না, কিন্তু চাইবেন আপনার ধর্মের সুন্দর রিচুয়ালগুলা মানুষ জানুক, সেটা কিভাবে হবে?’

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কিভাবে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে শুটিংয়ের বন্দোবস্ত হয়, সেই তথ্যও দিলেন ফারুকী। সেই সাথে কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দিয়ে লিখেছেন, ‘দয়া করে শুটিংয়ের জন্য সব কিছু উন্মুক্ত করে দেন। একটা ফিল্ম কমিশন গঠন করেন যেখানে লোকেশন সার্ভিস ডেস্ক থাকবে। যার যেখানে শ্যুট করা প্রয়োজন সেটা উল্লেখ করে ওই কমিশনে আবেদন করবে। সাথে নির্ধারিত ফি-ও জমা দেবে। এবং তিন কার্য দিবসের মধ্যে তাদের অনুমতি দিয়ে দেওয়া হবে। সাথে ধরিয়ে দিতে পারেন লোকেশনের স্পেপিসিক নিয়ম কানুন। ব্যস, সব কিছু সুন্দর একটা সিস্টেমে চলে আসলো। সারা পৃথিবীতেই এই ফিল্ম কমিশন এবং লোকেশন সার্ভিস ডেস্ক আছে। দয়া করে আমাদের এখানেও এটা চালু করেন।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢালিউড

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ