Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মঠবাড়িয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পবিত্র কুরআন শরীফ অক্ষত

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১১:৫৯ এএম

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরে বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও মহাগ্রন্থ পবিত্র কুরআন শরীফ পুড়েনি। অগ্নিকান্ডে ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সব মালামাল ভষ্মিভূত হয়েছে। ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ মেসার্স বাবুল লইব্রেরী এন্ড অফসেট প্রেসের আড়াই কোটি টাকার মালামাল পুড়লেও লাইব্রেরীতে থাকা কুরআন শরীফ অক্ষত আছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর সরেজমিনে দেখাযায় আগুনে কভার ও পাশের সাদা অংশ পুড়ে গেলেও অক্ষর পুড়েনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অক্ষত কুরআন শরীফের ছবি ভাইরাল হয়েছে। কুরআন শরীফ দেখতে শুক্রবার পৌর শহরে অসংখ্য মানুষের সমাগম হয়।

বাবুল লাইব্রেরী এন্ড অফসেট প্রেসের মালিক মো. রুহুল আমিন বাবুল জানান, আগুনে ডিজিটাল অটো অফসেট প্রেস (৩টি), ডিজিটাল ফটোকপি মেশিন(২টি), কাটিং মেশিন, প্লেট, কালি, মূদ্রণ কাগজ, বই, অফিস ষ্টেশনারী মালামাল, ট্রাভেল ব্যাগ, ফার্ণিচার ও ঘরসহ প্রায় আড়াই কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেলেও লক্ষাধিক টাকার আল্লাহর কালাম কুরআন শরীফ পুড়ে নাই। তিনি আল্লাহর নিকট শুকরিয়া জানান।

উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার দিনগত রাত তিনটার দিকে শহরের প্রধান সড়কের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসময় অগ্নিকান্ডে মেসার্স বাবুল লইব্রেরী এন্ড অফসেট প্রেস, মন্টু কর্মকার, পল্টু কর্মকার, বিমল কর্মকার, কমল কর্মকারের ৪টি (জুয়েলারী) স্বর্ণের দোকান, মদিনা রেস্টুরেন্ট এন্ড মিষ্টান্ন ভান্ডার, একটি ফলের দোকান, আশোক স্টুডিও এন্ড ইলেকট্রনিকসহ, ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আনুমানিক প্রায় ৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন।

অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, বামনা উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরে থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগীতায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তিন ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজী,পিরোজপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজ, উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উর্মি ভৌমিক, সহকারী কমিশনার সাখাওয়াত জামিল সৈকত ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অগ্নিকাণ্ড

২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ