Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রাশিয়ার হাতে কিয়েভের পতন

চীনের প্রেসিডেন্টের সাথে ফোনালাপ : এখনও আলোচনায় রাজি পুতিন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৯ এএম

চেরনোবিল পরমাণু প্রকল্প দখল
একাই লড়ছে ইউক্রেন -জেলেনস্কি
যুক্তরাজ্যের বিমান নিষিদ্ধ করেছে মস্কো
সঙ্কট মোকাবেলায় ন্যাটো ও ইইউ ব্যর্থ : এরদোগান

অভিযান শুরুর দ্বিতীয় দিনেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ সেনা। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, রাশিয়ার সৈন্যরা শহরের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। এদিকে, গতকাল বিকালে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন চীনের নেতা শি জিনপিংয়ের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এ সময় তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোকে রাশিয়ার ‘যুক্তিসঙ্গত’ নিরাপত্তা উদ্বেগ উপেক্ষা করার এবং তাদের প্রতিশ্রুতি থেকে ক্রমাগত সরে যাওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

পুতিন শিকে বলেছেন যে, রাশিয়া ইউক্রেনের সাথে ‘উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা’ করতে ইচ্ছুক। এর আগে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ইউক্রেন রাশিয়ার সামরিক অগ্রগতি প্রতিরোধ করা বন্ধ না করা পর্যন্ত মস্কো আলোচনা করবে না। রাশিয়া এখন বলেছে যে, তারা ইউক্রেনের সাথে আলোচনার জন্য প্রস্তুত, তবে বিস্তারিত অস্পষ্ট। ক্রেমলিনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনার জন্য বেলারুশের মিনস্কে প্রতিনিধি পাঠাতে প্রস্তুত ছিলেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রস্তাবটি বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির একটি মন্তব্যের ভিত্তিতে এসেছে যে, তিনি ইউক্রেনের ‘নিরপেক্ষ অবস্থা’ নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক অ্যান্তন হেরাসচেঙ্কো বলেছেন, উত্তর-পূর্ব এবং উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ট্যাঙ্ক বহর নিয়ে রাজধানী কিয়েভ দখলের জন্য এগিয়ে আসছে রাশিয়া। কিয়েভ নিয়ে রাশিয়ার পরিকল্পনার কথা ইউক্রেনের প্রাভদা ওয়েবসাইটকে জানিয়েছে একটি গোয়েন্দা সূত্র। যদিও এটি আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য নয়, তবে রাশিয়ার উদ্দেশ সম্পর্কে সেখানে বলা হয়েছে-

কিয়েভের প্রধান একটি বিমানবন্দর দখল করে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করা, যার মাধ্যমে তারা ১০ হাজার সৈন্য নামাবে। সেই সময় সীমান্তে হামলা অব্যাহত রেখে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে ব্যস্ত রাখবে। কিয়েভের বৈদ্যুতিক এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় নাশকতা করে আতঙ্ক তৈরি করা। মানুষজনকে আতঙ্কিত করে অন্য দেশে আশ্রয় নিতে ঠেলে দিয়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি। কেবিনেট, পার্লামেন্ট ভবনসহ সরকারি ভবনগুলো দখল করা। সেই সঙ্গে নেতৃবৃন্দকে আটক করে রাশিয়ার শর্তে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা। রুশপন্থী নেতাদের ক্ষমতায় এনে সাবেক পূর্ব এবং পশ্চিম জার্মানির মতো ইউক্রেনকে দুইভাবে বিভক্ত করা। তবে এসব তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে : ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর কিছুক্ষণ পর থেকেই পশ্চিমা দেশগুলোর নেতারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন। কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে রাশিয়ার ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শীর্ষ পর্যায়ের রুশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাজ্য পাঁচটি রাশিয়ান ব্যাংকের সম্পদ জব্দ করেছে এবং সেসব ব্যাংককে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা থেকে বাদ দিয়েছে। একই ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা আর জাপানও। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ায় হাই-টেক যন্ত্রপাতি রপ্তানি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে কোনো দেশই এ মুহূর্তে ইউক্রেনের সরাসরি সমর্থনে সেখানে সেনা পাঠাবে না বলে জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে সাত হাজার অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। তারা জানিয়েছে জার্মানিতে ‘ন্যাটো জোটের মিত্রদের আশ্বস্ত’ করার লক্ষ্যে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো মিশনে ৪৬০ জন সেনা সদস্য পাঠাবে তারা। তবে কানাডা ইউক্রেনে সেনা সহায়তা পাঠানোর চিন্তা করছে কিনা, সে বিষয়ে কিছু তারা জানায়নি। ওদিকে ইউরোপের বিভিন্ন শহরের পাশাপাশি রাশিয়ার অনেক শহরেও ইউক্রেনের সমর্থনে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ ও মিছিল হয়েছে। রাশিয়ায় যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করায় অন্তত ৭০০ জন গ্রেফতার হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। জাতিসংঘের ধারণা, এরই মধ্যে অন্তত এক লাখ মানুষ যুদ্ধের সহিংসতা থেকে বাঁচতে ঘর ছেড়েছে। ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী দেশ পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও মলদোভায় শরণার্থী পরিবারের সদস্যদের আশ্রয় নিতে দেখা গেছে।

রাশিয়ার দখলে চেরনোবিল : চেরনোবিল পরমাণু প্রকল্প রাশিয়ার সেনারা ঘিরে ফেলেছে বলে ইউক্রেন জানিয়েছে। ১৯৮৬ সালে চেরনোবিলের এ পরমাণু প্রকল্পেই বিধ্বংসী বিস্ফোরণ হয়েছিল। যার প্রভাব থেকে গিয়েছিল বহু বছর। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন তার চেয়েও বেশি। ইউক্রেনের সেই চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্র প্রথম দিনই রাশিয়ার সেনা দখল করে ফেলেছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাশিয়া দাবি করেছিল যে, তারা চেরনোবিল দখল করেছে। পরে ইউক্রেনের সামরিক কর্তৃপক্ষ সেই দাবি মেনে নেয়।

বৃহস্পতিবার রাতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তাদের গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, চেরনোবিলের প্রকল্পে বেশ কিছু কর্মীকে রাশিয়া পণবন্দি করেছে। ইউক্রেন জানিয়েছে, ১৯৮৬ সালের বিস্ফোরণের পর বাকি তিনটি চুল্লিতে কাজ হতো। ২০০০ সালে তা-ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে অল্পসংখ্যক কর্মী সেখানে এখনো কাজ করতেন। চেরনোবিল এমন একটি জায়গা যেখানে সামান্য কিছু ঘটলেই বড়সড় দুর্ঘটনা হতে পারে। ফের পরমাণু চুল্লিতে বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। প্রকল্পের বাইরে ৩২ কিলোমিটারের একটি অঞ্চল আছে। যা মূল প্রকল্পকে ঘিরে রেখেছে। রাশিয়ার সেনা সেই জায়গাটি ঘিরে রেখেছে বলে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র মিখাইলো পডোলিয়াক জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ অকারণে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছে। চেরনোবিল নিয়েও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

স্ট্র্যাটেজির দিক থেকেও চেরনোবিল একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এর একদিকে নদী, যা বেলারুশে ঢুকে গেছে। অন্যদিকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। বেলারুশ রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বলে ইউক্রেনের অভিযোগ। বস্তুত, বেলারুশ সীমান্ত থেকেও ইউক্রেনের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে চেরনোবিল থেকে রুশ সেনা সরাসরি রাজধানী কিয়েভের দিকে আক্রমণ চালাতে পারে বলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

একাই লড়ছে ইউক্রেন : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি গতকাল ভোরে এক ভিডিও ভাষণে বলেছেন, ইউক্রেন একাই যুদ্ধ করছে। এ যাবত ইউক্রেনের ১৩৭ জন লোক নিহত এবং ৩১৬ জন আহত হয়েছে। এর আগে তিনি ৯০ দিনের জন্য দেশব্যাপী সামরিক শাসন জারি করেন। জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে দিতে চাইছেন পুতিন। সে কারণেই তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে খতম করতে চাইছেন। তার দাবি, তিনি কিয়েভে প্রশাসনিক ভবনেই আছেন। তার পরিবারও কিয়েভে আছে। তবে তাদের ঠিকানা তিনি জানাননি।

ভাষণে ইউক্রেনকে বাস্তব সমর্থন না দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করেছে জেলেনস্কি বলেন, কোন দেশ ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর প্রতিশ্রæতি দেয়নি। রাশিয়ার সঙ্গে নিরপেক্ষতা নিয়ে আলোচনা করতে ভয় পাবে না ইউক্রেন। তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রধান এবং প্রথম টার্গেট তিনি। দ্বিতীয় টার্গেট তার পরিবার। তাকে খতম করে পুতিন ইউক্রেনের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে দিতে চাইছেন। ওই বিবৃতির কিছু পরেই প্রেসিডেন্ট জানান, বৃহস্পতিবার সারাদিনে ১৩৭ জন ইউক্রেনের নাগরিকের প্রাণ গেছে। তার মধ্যে সেনাও আছে, সাধারণ মানুষও আছে। সেনা এবং সাধারণ মানুষের নিহত হওয়ার হিসেব আলাদা করে তিনি দেননি। ইউক্রেন জানিয়েছে, দেশের ভিতরে রাশিয়া একাধারে বিমান হামলা চালাচ্ছে, মিসাইল আক্রমণ করছে এবং স্থলপথে বহু সেনা ইউক্রেনের সীমান্ত পার করে ভিতরে ঢুকে পড়েছে। চেরনোবিল-সহ একাধিক জায়গা তারা দখল করতে করতে এগোচ্ছে। বস্তুত, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তারা কিয়েভের আরো কাছে পৌঁছাতে পেরেছে বলে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে।

এদিন জেলেনস্কি জানিয়েছেন, হামলা শুরু হওয়ার পর তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পুতিন তার সঙ্গে কথা বলেননি। দেশের মানুষকে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন তিনি। সেনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও লড়াইয়ে অংশ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। বলেছেন, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে তিনি ইউক্রেনকে রক্ষা করার চেষ্টা করবেন। একই সঙ্গে তার বক্তব্য, এই লড়াই ইউক্রেনকে এখনো পর্যন্ত একা লড়তে হচ্ছে। অ্যামেরিকার দাবি, সঙ্কট শুরু হওয়ার পর এখনো পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রায় এক লাখ মানুষ অন্য দেশে পালিয়েছেন।

জেলেনস্কির অনুরোধে বৃহস্পতিবার পুতিনকে ফোন করেছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, পুতিন রাজতন্ত্রের সময়ে ফিরে গেছেন। যুদ্ধ করে সবকিছু দখল করে নিতে চাইছেন। ইউরোপও যে চুপ করে বসে নেই, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ম্যাখোঁ। জানিয়েছেন, ইউরোপ কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করে এর জবাব দিচ্ছে। তবে ইউরোপ সরাসরি লড়াইয়ে নামবে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানাননি ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

যুক্তরাজ্যের বিমানে নিষেধাজ্ঞা : রাশিয়া তার আকাশে যুক্তরাজ্যের সকল প্রকার বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে। ব্রিটেনে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা অ্যারোফ্লোটের চলাচল নিষিদ্ধ করার পাল্টা পদক্ষেপ হিসাবে রাশিয়া এ সিদ্ধান্তের কথা জানাল। রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের অবন্ধুসুলভ সিদ্ধান্তের পাল্টা পদক্ষেপ হিসাবে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের জবাবে ব্রিটেনের মাটিতে রাশিয়ার পতাকাবাহী বিমান এরোফ্লোটের অবতরণ নিষিদ্ধ করে ব্রিটেন।

এরপরই রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল বিষয়ক কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দিয়েছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের মালিকানাধীন, লিজ নিয়েছে এমন সংগঠন বা ব্রিটিশ কোনো সংগঠনের পরিচালিত এমন যে কোনো বিমান- যার সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক আছে বা ব্রিটেনে নিবন্ধিত, তাদের জন্য রাশিয়ার আকাশসীমা ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ব্রিটিশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ‘বিরাগপূর্ণ সিদ্ধান্তের’ জবাবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ইউক্রেন সঙ্কট মোকাবেলায় ন্যাটো ও ইইউ ব্যর্থ : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান ইউক্রেনে রুশ হামলায় ন্যাটোর জবাবের সমালোচনা করে বলেছেন, ন্যাটো জোটের আরো দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত ছিল। তুরস্ক ন্যাটোর একটি সদস্য রাষ্ট্র। এরদোগান বলেছেন, ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ সঙ্কট মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার পদক্ষেপকে নিন্দা জানানো যথেষ্ট নয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আজ আরও পরের দিকে ন্যাটোর যে শীর্ষ বৈঠক হবার কথা রয়েছে, সেই বৈঠকে একটা সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেয়া হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরু হওয়ার পরে একটি সুরক্ষা শীর্ষ সম্মেলন এরদোগান বলেন, ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আক্রমণ, যা মিনস্ক চুক্তি ভঙ্গ করেছে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে, এটি অগ্রহণযোগ্য। সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস, বিবিসি, আল-জাজিরা, রয়টার্স, ডেইলি সাবাহ।



 

Show all comments
  • মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৩৪ এএম says : 0
    রাশিয়ার বিরুদ্ধে কেউ সামরিক বেবসতা নিবেন কি করে ,কেউ সামান্য কিছু করতে গেলেই আরম্ভ হয়ে যাবে,তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘন্টা,মানব জাতি শেষ।
    Total Reply(0) Reply
  • Towhidul Islam ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৫৫ এএম says : 0
    বিশ্ব রাজনীতি বোঝা বড় কঠিন। রাশিয়ার বর্তমান অবস্থানে যদি অন্য কোন মুসলিম দেশ হতো। যেমন= ইরান বা তুরস্ক এতক্ষণে পশ্চিমারা সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করত। অন্যদিকে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ছাড়া, পশ্চিমাদের আর কিছুই করার নেই। পশ্চিমারা নিজ দেশের স্বার্থে, কোনভাবেই রাশিয়ার সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Abu Darda Abu Darda ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৫৬ এএম says : 0
    পরাজয় মেনে নিয়ে অতি তাড়াতাড়ি জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া দরকার,,,,
    Total Reply(0) Reply
  • Md Mohi Uddin Rajib ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৫৬ এএম says : 0
    এতো সহজে? গোলকধাঁধায় পড়ে গেলাম, বিশ্বের ২২ তম সামরিক শক্তির দেশ ইউক্রেন ২ দিনেই এমন?? প্রতিরোধ এমন নাজুক অবস্থা কেমনে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে যায় বুঝে আসতেছে না। নাকি ইউক্রেনেরই কিছু সামরিক নেতার কোন আঁতাত আছে রাশিয়ার সাথে পুনরায় সোভিয়েতে ডুকতে। কেনই বা পশ্চিমা সবাই এক সুরে তাল মিলিয়ে পিছপা হলো,, উত্তর খুজে দিবে আগামী কয়েকদিন।
    Total Reply(0) Reply
  • Biltoo BD ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৫৬ এএম says : 0
    আমেরিকা আসলে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় বন্ধু। ইউক্রেনকে দখল করার জন্য সম্ভব সব ভাবে সহযোগিতা করলো।
    Total Reply(0) Reply
  • Syeed Bhuiyan ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৫৭ এএম says : 0
    রাশিয়ার ইকোনমি ইউরোপের ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো হতে অনেক পিছিয়ে। এর বাইরে রাশিয়া মৌলিক খাদ্য আমদানি কারী দেশ। খাদ্য সংকটে হুট করে পড়ে যাওয়ার রাশিয়ার জন্য মূল আতংকের ব্যাপার। অথচ রাশিয়া বিনা বাধায় মাত্র দু দিনে ইউক্রেন দখল করে নিল। মূল ব্যাপার হল, সামরিক শক্তি, সেনাদের যুদ্ধ করার মানসিকতা৷
    Total Reply(0) Reply
  • M F Al Amin ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৫৭ এএম says : 0
    ইউরোপ ন্যাটোর চরিত্র আস্তে আস্তে প্রকাশ পাচ্ছে । যাদের সাথে তারা পারবে সেখানে তারা আক্রমণ করবে জঙ্গি বলে। আর যাদের সাথে পারবে নাহ সেখানে তারা মানবিক, মানবতার মত সুন্দর সুন্দর শব্দ প্রয়োগ করবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Imran Mohammad ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৫৮ এএম says : 0
    এগুলো দেখে দুঃখ লাগে না কারণ এরকম দুঃখ দেখতে দেখতে বড় হয়েছি।
    Total Reply(0) Reply
  • Mehedi Hasan ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৫৮ এএম says : 0
    আমেরিকা যে কত বড়ো দালাল গোটা বিশ বিশ্ব দেখলো
    Total Reply(0) Reply
  • Zillur Rahaman ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৫৮ এএম says : 0
    লম্ফঝম্প করে আমেরিকা ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা ইউক্রেনকে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করেছে। কাগজে শুধু কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপের মধ্যেই তাদের কার্যক্রম সীমিত রেখেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Main Uddin ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৫৮ এএম says : 0
    অন্যের দেশের শক্তির উপর আস্থা রাখলে এমনি হয়, ইউক্রেন এখন সিরিয়া ফিলিস্তিন আফগানিস্তানে রুপান্ত্রিত হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Rakib Hasan ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৫৯ এএম says : 0
    পশ্চিমা দেশ গুলি যদি রাশিয়া কে নিশ্চিয়তা দেয় যে ইউক্রেন কে তারা কখনো নেটোর সদস্য করবে না অন্তর্ভুক্ত করবে না,, সেই নিশ্চিয়তা যদি পশ্চিমা দেশ গুলি রাশিয়া কে দিতে পারে,,, তবেই রাশিয়া যুদ্ধ বিরতি দিবে....
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ