Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা ৯৬ ঘণ্টাতেই পতন হবে কিয়েভের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৩৫ পিএম

অগ্রসর হতে থাকা রুশ বাহিনীর হাতে কয়েক দিনের মধ্যেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পতন হবে বলে আশঙ্কা করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। দেশটির সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন নিউজউইককে তিন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কিয়েভের পতনের পর ইউক্রেনের প্রতিরোধ লড়াই অকার্যকর হয়ে পড়বে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তারা বলেছেন, মস্কোর নজর হলো প্রতিবেশি দেশটিকে নিরস্ত্রীকরণ করা। রুশ বাহিনী প্রথমে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলবে এবং আত্মসমর্পণে বাধ্য করবে আর তা না হলে ধ্বংস করে দেবে। মার্কিন কর্মকর্তাদের আশঙ্কা ৯৬ ঘণ্টাতেই কিয়েভের পতন হবে। আর তার এক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের নতুন নেতৃত্ব ঠিক করা হবে।
বিদ্যুৎ গতিতে ইউক্রেনের সরকারি এবং সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। মাঠ পর্যায়ের সেনারা চেরনোবিলের মতো কৌশলগত পয়েন্টগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিচ্ছে। মার্কিনিদের ধারণা এগুলো প্রাথমিক পদক্ষেপ, মাঠ পর্যায়ে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা আরও বাড়বে।

রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করার নিবিড় অভিজ্ঞতা থাকা সাবেক এক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাও একই মনোভাব প্রকাশ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘বিমান ও গোলা বর্ষণ শেষ হওয়ার পর আসল স্থল যুদ্ধ শুরু হয়। আমার মনে হয় অল্প কয়েক দিনেই কিয়েভের পতন হবে। সেনাবাহিনী আরও বেশি কিছুদিন থাকতে পারে, তবে সেটা দীর্ঘ মেয়াদে নয়’।

কিয়েভের পতনের পর কী হতে পারে সেই সম্পর্কে সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা মনে করেন এটা মূলত নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর। তিনি ইউক্রেনীয় প্রতিরোধকে সমর্থন করে মস্কোকে উস্কে দেবেন কিনা সেটা তার ওপর নির্ভর করবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘তখন এটা হয় বলিষ্ঠ বিদ্রোহ, অথবা তা নয়, মূলত এটা নির্ভর করবে বাইডেনের ওপর।’

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রও মার্কিন অনুমানের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে, ৯৬ ঘণ্টাতেই কিয়েভের পতন হতে পারে। তবে ওই সূত্রটি বিশ্বাস করেন না যে, জেলেনস্কির সরকারের পতন হবে।

তবে রুশ বাহিনী ঘিরে ফেললে ইউক্রেন সরকার তা ভাঙবে কিভাবে জানতে চাইলে ওই সূত্রটি বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা বলার সময় এখনও আসেনি... তারা (রাশিয়া) বলছে ইউক্রেন তাদের ধারণার চেয়ে ভালো লড়াই করছে।’



 

Show all comments
  • Abbas ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৩:০৭ পিএম says : 0
    মিত্ররাষ্ট্রকে বিপদে ফেলে এখন ভবিষ্যতবানী করাই কি যুক্তরাষ্ট্রের চরিত্র।
    Total Reply(0) Reply
  • jack ali ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৫:১৪ পিএম says : 0
    You bloody coward USA, you are sitting and enjoyed that russian barbarian putin is destroying an independent country.
    Total Reply(0) Reply
  • Tofazzal Hossain Bulbul ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:৩৬ পিএম says : 0
    পরিবার থেকে সমাজ, সমাজ থেকে রাস্ট্র, রাস্ট্র থেকে সারা বিশ্বে আজ একই চিত্র।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Rafiqul Islam ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:৩৭ পিএম says : 0
    একটা জাতির করুন পরিনতি সারা বিশ্ব নীরব দর্শকের ন্যায় তাকিয়ে দেখছে। আমেরিকা আজ স্বাক্ষী গোপাল।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Framon ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:৩৭ পিএম says : 0
    সবার জানা আছে রাশিয়ার কাছে যা আছে বিশ্বের কোনো দেশে তা নেই। তাই সবাই সবার জীবন নিয়ে ব্যস্ত। ইউক্রেনে চাইলে বাঁচতে পারবে। ইউক্রেন পোল্যান্ড এবং পাশের দেশ গুলোতে হামলা চালিয়ে রাশিয়ার হামলা বলে চালিয়ে দিতে পারে। যদি ন্যাটোকে আনতে চাই ইউক্রেন। তবে বাঁচবে নইতো সম্ভব নাহ।
    Total Reply(0) Reply
  • Mahmud Hasan Chowdhury ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:৩৮ পিএম says : 0
    পৃথিবীতে যে দেশ আমেরিকা কে বিশ্বাস করেছে সে দেশের সাথে আমেরিকা বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে, (ইসরাইল ব্যতীত) ইতিহাস তাই বলে!
    Total Reply(0) Reply
  • Abul Kalam Azad ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৮:১২ পিএম says : 0
    Russia is the war criminal. They do not follow and respect International Humanitarian Law. They are killing civilians, children and women.
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃশাহজালাল ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৮:২৮ পিএম says : 0
    যুদ্ধ মানেই ধ্বংস আর মৃত্যু। তাই এই মরণ খেলা যত তাড়াতাড়ি বন্ধ হয় ততই সবার জন্য মঙ্গল।
    Total Reply(0) Reply
  • ওসমান গনি ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:০১ পিএম says : 0
    ইরাক সিরিয়া লিবিয়ায় যখন আমেরিকা হামলা করেছিল তখন সবাই এভাবেই নিরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল।
    Total Reply(0) Reply
  • ওসমান গনি ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:০১ পিএম says : 0
    ইরাক সিরিয়া লিবিয়ায় যখন আমেরিকা হামলা করেছিল তখন সবাই এভাবেই নিরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ