মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আজ জি-৭ ভুক্ত দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বাইডেন
মস্কোর বিরুদ্ধে ‘ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা’ নিয়ে বিভক্ত ইইউ
দুঃসময়ে রাশিয়ায় পাশে বন্ধু চীন
ইউক্রেনে বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা নেই : ন্যাটো
তুর্কি প্রণালী বন্ধ করতে আঙ্কারারে প্রতি আহবান কিয়েভের
বাংলাদেশ সময় গতকাল সকাল নয়টা নাগাদ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘোষণার পরেই ইউক্রেনে শুরু হয়েছে রাশিয়ার সেনা অভিযান। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের পরামর্শদাতা জানিয়েছেন, পুতিনের ঘোষণার ৪ ঘণ্টার মধ্যে সাধারণ নাগরিকসহ অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে। রাশিয়ারও ৫০ সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তারা সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছে যে, রাশিয়া চেরনোবিলে আক্রমণ করলে পুরো ইউরোপ জুড়ে তেজস্ক্রিয়াতা ছড়িয়ে মহাবিপর্যয় দেখা দিতে পারে। কৃষ্ণ সাগরে ন্যাটো-সদস্য তুরস্কের মালিকানাধীন একটি জাহাজে আঘাত হামলার শিকার হয়েছে। ইউক্রেনের সরকারি উপদেষ্টারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, বর্জ্য অঞ্চলের অভ্যন্তরে লড়াই পারমাণবিক স্টোরেজ সুবিধাগুলোকে ধ্বংস করতে পারে, ফলে তেজস্ক্রিয়তা তৈরি হয়ে পুরো ইউরোপকে ঢেকে দিতে পারে। ন্যাটো-সদস্য তুরস্ক বলেছে যে, তাদের একটি জাহাজ ওডেসার কাছে একটি বোমা’য় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, রাশিয়ার সামরিক হেলিকপ্টারগুলো ইউক্রেনের রাজধানীর উপরে টহল দিতে শুরু করে, আর সেনাবাহিনী ইউক্রেনের উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্ব দিক থেকে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করে। রাশিয়ার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের বিমানবন্দর এবং সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত করে। ট্যাঙ্কগুলো সীমান্ত দিয়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করে। এসময় প্রচুর হতাহতের খবর পাওয়া যায়।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে ‘সেনা অভিযান’ পরিচালনার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা পাঁচটি রুশ বিমান ও একটি হেলিকপ্টার গুলি করে ভ‚পাতিত করেছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শান্ত থাকুন ও ইউক্রেনের রক্ষকদের ওপর বিশ্বাস রাখুন।’ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের বিমান ভ‚পাতিত হওয়ার খবর অস্বীকার করেছে। রাশিয়ার সেনা অভিযান শুরুর পরেই রাজধানী কিয়েভের আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনগুলোতে শহরের মানুষ আশ্রয় নিতে জড়ো হয়। অনেকে বাসে করে শহর ছেড়ে যেতে উদ্যত হন। এছাড়া মহাসড়কে শহর ছাড়তে চাওয়া গাড়ির লম্বা লাইনও দেখা গেছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে একাধিক খবর প্রকাশ করা হচ্ছে, যেখানে বলা হচ্ছে যে প্রতিবেশী দেশ বেলারুশের সেনারাও রাশিয়ার সেনাদের সাথে অভিযানে যোগ দিচ্ছে, অর্থাৎ ইউক্রেনের উত্তর দিক থেকেও এখন আক্রমণ হচ্ছে। বেলারুশ দীর্ঘদিন যাবত রাশিয়ার মিত্র। বেশ কিছুদিন যাবত সেখানে দু’দেশের বিশাল আকারের সামরিক মহড়া চলছিল। বিশ্লেষকরা এই ছোট দেশকে রাশিয়ার ‘ক্লায়েন্ট স্টেট’ বা মক্কেল রাষ্ট্র হিসেবে বলে থাকেন।
মস্কোর স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে পুতিন ইউক্রেনে সেনা অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন। এর কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা এবং মিসাইল হামলা শুরু হয় বলে খবর প্রকাশিত হয়। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে জরুরি সাইরেন বাজানো হয় এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় মহাসড়কগুলোতে শহর ছেড়ে যেতে চাওয়া মানুষের গাড়ির ভিড়। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই আতঙ্ক প্রকাশ করে মন্তব্য করেছেন যে, তারা বোমা থেকে সুরক্ষা পেতে আশ্রয় কেন্দ্র এবং বেজমেন্টে আশ্রয় নিচ্ছেন। কিয়েভে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানের সাংবাদিক লুক হার্ডিং টুইট করেছেন যে, রাস্তায় অপেক্ষাকৃত কম মানুষ দেখা যাচ্ছে এবং মানুষকে ক্যাশ মেশিনগুলোতে লাইন দিতে দেখা যায়।
ইউক্রেন বলছে, রুশ সেনাবাহিনীর যানবাহন উত্তরে বেলারুশ ও দক্ষিণে ক্রাইমিয়া ছাড়াও বেশ কয়েকটি অংশ দিয়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করেছে। এছাড়া পূর্বাঞ্চলে খারকিভ এবং লুহানস্ক অঞ্চল দিয়ে রুশ বাহিনী প্রবেশ করেছে। দশ দিন আগে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের এক মূল্যায়নে উঠে আসে যে, কিয়েভ শহরে উত্তর দিক থেকে আক্রমণ চালাতে দেশটির পূর্বাঞ্চলে ডনবাসের কাছে থাকা সবচেয়ে শক্তিশালী সেনা ঘাঁটিগুলোকে নিষ্ক্রিয় করতে হবে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে ধারণা করা যাচ্ছে যে, সব দিক থেকেই হামলা পরিচালিত হচ্ছে। রুশ সেনাবাহিনীর বহর ইউক্রেনের উত্তরে চেরনিহিভ ও সুমি অঞ্চল দিয়ে এবং পূর্বাঞ্চলে লুহানস্ক ও খারকিভ অঞ্চল দিয়ে দেশটির ভেতরে প্রবেশ করেছে বলে জানাচ্ছে ইউক্রেনের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, ডিপিএসইউ। ডিপিএসইউ বলছে, কামানের গোলা চালানোর পর রুশ সেনাবাহিনী সীমান্তের ভেতরে আগ্রাসন শুরু করে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ইউক্রেনের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনী ‘শত্রুকে প্রতিহত করতে সব পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
আমেরিকার দাবি, ইউক্রেন সীমান্ত বরাবর প্রায় ২ লাখ সৈন্য সমাবেশ করেছে মস্কো। সেই বিপুল সৈন্য এগিয়ে চলেছে ইউক্রেনের দিকে। ক্রিমিয়া দিয়ে তারা দলে দলে ঢুকে পড়ছে ইউক্রেনের মূল ভূখণ্ডে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এরকম কালো সময় আর দেখেনি ইউরোপ, প্রতিক্রিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের। রাশিয়ার সঙ্গে সমস্ত রকম ক‚টনৈতিক যোগ ছিন্ন করেছে ইউক্রেন। লাতভিয়া ও চেক রিপাবলিক তাদের কিভের দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে। ইউক্রেন পুলিশ এবং বিপর্যয় বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার কিয়েভে ইউক্রেনের সামরিক বিমান ভেঙে পড়েছে। তাতে ১৪ জন ছিলেন। যা রাশিয়ার সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছিল।
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিভক্ত ইইউ : ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডের লেইন বলেছেন, আজই ইউরোপিয়ান নেতাদের কাছে ‘ব্যাপক এবং সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ’-এর প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘পুতিন ইউরোপে যুদ্ধ ফিরিয়ে এনেছেন। আমরা রাশিয়া’র অর্থনৈতিক ভিত্তি এবং তার আধুনিকায়নের সক্ষমতা দুর্বল করবো। রুশ অর্থনীতির কৌশলগত খাতগুলোকে লক্ষ্য করা হবে, যেন প্রধান প্রধান প্রযুক্তি এবং বাজারে তারা প্রবেশ করতে না পারে।’
আক্রমণের আগ পর্যন্ত, নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আলোচনায় সরাসরি জড়িত ইউরোপীয় ক‚টনীতিকরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক কম ঐক্যবদ্ধ চিত্র উপস্থাপন করেছিলেন, যার রাশিয়ান গ্যাসের উপর নির্ভরশীলতা তার নিজস্ব অর্থনীতিকে পঙ্গু না করে মস্কোকে সত্যিকারের শাস্তি দেয়ার উপায়গুলোর মধ্যে একটি মাত্র। ক‚টনীতিকরা বলেছেন যে, বেশ কয়েকটি ইইউ সদস্য রাশিয়ার অর্থনীতির অন্যান্য সেক্টর সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ছিলেন যেগুলোকে শাস্তি দেয়া যেতে পারে। অস্ট্রিয়া, জার্মানি এবং ইতালি আন্তঃসীমান্ত আর্থিক লেনদেন এবং ব্যাংকিং কার্যক্রমের ওপর বিস্তৃত নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এবং ইতালি বিলাস দ্রব্যের শিল্পকে নিষেধাজ্ঞায় না রাখতে চাপ দিচ্ছিল যাতে তারা রাশিয়ায় ফ্যাশন এবং অন্যান্য উচ্চমানের পণ্য রপ্তানি চালিয়ে যেতে পারে।
জি-৭ভুক্ত দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বাইডেন : আজ শুক্রবারই জি-৭ নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি জি-৭ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করব এবং আমেরিকা এবং আমাদের মিত্র শক্তিরা সম্মিলিতভাবে রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।’ একইসঙ্গে বাইডেন জানান, ‘ইউক্রেন এবং ইউক্রেনের জনগণকে সমর্থন ও সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখব আমরা।’
রাশিয়ায় পাশে বন্ধু চীন : পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালানোর নির্দেশ দেয়ার পরই ইউক্রেনে থাকা সবপক্ষকে সংযম রাখার আবেদন জানিয়েছে বেইজিং! তারা রাশিয়ার আক্রমণের সমালোচনা করতে অস্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার চীন আবারও ইউক্রেনের সঙ্কট সমাধানের জন্য আলোচনার আহবান জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, এদিন রাশিয়া থেকে নতুন করে গম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে চীন। মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কমাতে সাহায্য করার জন্যই এই পদক্ষেপ নিয়েছে বেইজিং।
গতকাল চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং একটি দৈনিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন যে, ‘ইউক্রেন ইস্যুটি তার ঐতিহাসিক পটভ‚মিতে জটিল... আমরা আজ যা দেখছি তা হল সেই জটিলতার ফলশ্রæতি।’ ‘চীন নিবিড়ভাবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি অনুসরণ করছে,’ হুয়া বলেছেন। ‘আমরা এখনও আশা করি যে সংশ্লিষ্ট পক্ষ শান্তির দরজা বন্ধ করবে না এবং পরিবর্তে সংলাপ ও পরামর্শের নিযুক্ত হবে এবং পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত হওয়া থেকে বিরত রাখবে।’ যদিও চীন প্রেসিডেন্ট পুতিনের পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলের স্বাধীনতার স্বীকৃতি বা সেখানে রাশিয়ান বাহিনী পাঠানোর পুতিনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেনি, হুয়া বলেছেন যে, চীন ‘অন্যদের বৈধ নিরাপত্তা উদ্বেগকে সম্মান করার জন্য পক্ষগুলোকে আহবান জানিয়েছে।’
গতকালই চীনের শুল্ক সংস্থা রাশিয়া থেকে গম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। রাশিয়া বিশ্বের একটি বৃহত্তম গম উৎপাদক দেশ কিন্তু তাদের রফতানি ঝুঁকিপূর্ণ হবে যদি বিদেশী বাজারগুলো ইউক্রেনের উপর আক্রমণের প্রতিক্রিয়া হিসাবে আমদানি বন্ধ করে দেয়। বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিকে যোগদানের জন্য পুতিন সর্বোচ্চ-পদের বিদেশী অতিথি হওয়ার পর দুই সরকার ৮ ফেব্রুয়ারী চীনের জন্য রাশিয়ান গম এবং বার্লি আমদানি করার জন্য একটি চুক্তি ঘোষণা করেছে।
ইউক্রেনে বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা নেই ন্যাটোর : ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য না হলেও সেদেশে রাশিয়া আক্রমণ চালানোয় ‘প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা’ চালু করা হয়েছে। তবে ইউক্রেনে মিত্রশক্তির বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা নেই। গতকাল এক বিবৃতি এই কথা জানিয়েছে ন্যাটো।
তুর্কি প্রণালী বন্ধ করতে আঙ্কারার প্রতি আহŸান : ইউক্রেন আঙ্কারাকে বসফরাস ও দারদানেলিস প্রণালী দিয়ে রুশ যুদ্ধজাহাজ চলাচল সীমিত করার আহŸান জানিয়েছে। ইয়েনি সাফাক সংবাদপত্র তুরস্কে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভাদিলি বোডনারকে উদ্ধৃত করে বলেছে, তিনি বলেন, ‘আমি তুর্কি প্রশাসনের কাছে ইউক্রেনের জন্য সাহায্য চাচ্ছি। আমরা দাবি করছি যে, বসফরাস এবং দারদানেলেস স্ট্রেইট রুশ যুদ্ধজাহাজের জন্য বন্ধ করা হোক’। দূত ‘সব দেশকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে একটি জোট গঠন করার আহŸান জানিয়েছেন যাতে এ অঞ্চলের আরো বেশি অংশ দখল থেকে যুদ্ধ বন্ধ করা যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমানে যুদ্ধের অবস্থায় রয়েছি। আমরা সমগ্র বিশ্বকে যুদ্ধের নিয়ম মেনে চলার আহŸান জানাই। বোডনার রাশিয়ার সমস্ত বিদেশী সম্পদ বøক করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেছেন, আমরা আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের কাছে পুতিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহŸান জানাই’।
প্রণালীর শাসন সংক্রান্ত ১৯৩৬ মন্ট্রেক্স কনভেনশন অনুসারে, বসফরাস এবং দারদানেলিস প্রণালীতে তুরস্কের সার্বভৌমত্ব রয়েছে। নথিতে শুধুমাত্র বাণিজ্য জাহাজের জন্য প্রণালী দিয়ে বিনামূল্যে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষ্ণ সাগরের দেশগুলো তুর্কি কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে অবহিত করে শান্তির সময় প্রণালী দিয়ে যে কোনো শ্রেণীর সামরিক জাহাজ চলাচল করতে পারে। তবে, তুরস্কের যুদ্ধকালীন সময়ে প্রণালী দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের অতিরিক্ত ক্ষমতা রয়েছে। সূত্র : বিবিসি, ডেইলি মেইল, তাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।