মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুদ্ধের মেঘ ইউক্রেনের আকাশে। দেশটির সীমান্তে হুঙ্কার দিচ্ছে পুতিনের বাহিনী। রাশিয়া-ইউক্রেনের এই রণংদেহী মেজাজ দেখে মন খারাপ সুরাপ্রেমীদের। কারণ, যুদ্ধের ঝাঁজে দাম বাড়তে পারে বিয়ারের। এমনই আশঙ্কা করছেন সুরা ব্যবসায়ীরা। কিন্তু যুদ্ধের সঙ্গে বিয়ারের কী সম্পর্ক?
বিয়ার তৈরি করতে অতি প্রয়োজনীয় উপাদান গম। আর এই গমের অন্যতম উৎপাদক দু’টি রাষ্ট্র হল রাশিয়া ও ইউক্রেন। উৎপাদনের নিরিথে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইউক্রেন। আবার বিয়ার তৈরি করতে প্রয়োজন হয় বার্লিরও। বার্লির রপ্তানিকারক দেশগুলির মধ্যে প্রথম পাঁচে রয়েছে রাশিয়া এবং ইউক্রেন। ফলে দু’দেশের যুদ্ধ বাধলে তার প্রভাব যে গম ও বার্লির উৎপাদন ও রপ্তানির উপর পড়বে তা বলাইবাহুল্য। আর কাঁচামালের দাম বাড়লে তার প্রভাব যে বিয়ারের দামেও পড়বে, তা আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না।
এ প্রসঙ্গে ভারতের বিয়ার সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ অঙ্কুর জৈন বলেন, “বার্লির দাম আগেই বেড়েছে। এবার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বার্লির দাম ফের বাড়বে। যার জেরে শিল্পমালিকদের লাভের পরিমাণ কমবে। এখন এটাই দেখার যে সেই লাভের পরিমাণ অপরিবর্তিত রাখতে সংস্থাগুলি বিয়ারের দাম বাড়ায় কিনা।”
একই কথা শোনা গিয়েছে বিয়ার ক্যাফের কোফাউন্ডার রাহুল সিংয়ের গলাতেও। তিনি জানিয়েছেন, “গত দু’বছর ধরে ব্যবসায় মন্দা গিয়েছে। এবার এই যুদ্ধও বাজারে প্রভাব ফেলেছে। সুতরাং বিয়ারের দামবৃদ্ধি অস্বাভাবিক কিছু নয়।” ওয়াকিবহাল মহল বলছে, যুদ্ধ আবহে বাধা পাবে রপ্তানিও। ফলে বিয়ারের দামে তার প্রভাব পড়বে। তবে তা এখনই হবে কিনা, সে বিষয়ে অবশ্য মুখ খুলছেন না কেউই। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।