মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মাটি খুঁড়েই কোটিপতি! ভারতের মধ্যপ্রদেশের পান্না এলাকায় খননকার্য চালিয়ে আবারও কোটি টাকার হিরা খুঁজে পেলেন এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, মধ্যবিত্ত ওই ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরেই রত্নের খোঁজ চালাচ্ছিলেন পান্না জেলার খনিতে। এবারে তার হাতে এল ২৬.১১ ক্যারটের একটি হিরা।
কিশোরগঞ্জ এলাকার সুশীল শুক্লা নামের ওই ব্যক্তি ইতিমধ্যেই পান্নার ডায়মন্ড অফিসে উদ্ধারকৃত হিরাটি জমা রেখেছেন। ওই এলাকার ডায়মন্ড অফিসার রবি প্যাটেল জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ওই হিরাটি নিলাম হবে। তা যত দামে বিক্রি হবে, তার থেকে ১১.৫ শতাংশ রয়্যালটি কেটে নিয়ে বাকি টাকা হিরার মালিককে দিয়ে দেয়া হবে। জানা গিয়েছে, নিলামের পর প্রাপ্ত অঙ্ক থেকে রয়্যালটির পাশাপাশি এক শতাংশ টিডিএস-ও কাটা হবে।
বিগত ২০ বছর ধরে সুশীল এই হিরাটি খুঁজছিলেন। কিন্তু, বারবারই বিফল হচ্ছিলেন। তবে ধৈর্য্য ধরে হিরা খোঁজার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ফেব্রুয়ারি মাসে পান্নার কৃষ্ণ কল্যাণপুর হিরার খনিটি লিজে নেন তিনি। ফলত ডায়মন্ড অফিস কাছ থেকে খনিটির সাময়িক মালিকানা পান তিনি। ২১ ফেব্রুয়ারি খননকাজ চালাতে গিয়ে ওই ২৬.১১ ক্যারটের হিরাটি উদ্ধার করেন সুশীল। হিরাটি খুঁজে পাওয়ার পর কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। বছরের পর বছর ধরে ওই হিরাটি খুঁজছিলেন তিনি। রত্নটি পাওয়ার পরেই ডায়মন্ড অফিসে তা জমা দেন তিনি।
মাটি খুঁড়ে সোনা পাওয়ার কাহিনী তো সকলেরই জানা! গোল্ডরাস ছবিতে যা দেখিয়েছিলেন চার্লি চ্যাপলিন। কিন্তু, পান্না এলাকার মাটি খুঁড়লে আকছার হিরা খুঁজে পাওয়া যায়। এর আগেও একাধিকবার খনি থেকে হিরা খুঁজে পেয়েছেন একাধিকজন। আর সেই কারণেই সুশীল শুক্লাও বারবার ওই এলাকায় হিরা খুঁজেছেন।
পান্না জেলার ডায়মন্ড অফিসার রবি প্যাটেল জানিয়েছেন, সুশীল যে হিরাটি খুঁজে পেয়েছেন, তা এখনও পর্যন্ত পান্না জেলা থেকে খুঁজে পাওয়া চতুর্থ বৃহত্তম হিরা। ১৯৬১ সালে ৪৪.৩৩ ক্যারটের একটি হিরা উদ্ধার হয়েছিল। ২০১৮ সালে ৪২.২৯ ক্যারটের হিরাটি পাওয়া গিয়েছিল ওই জেলার খনি অঞ্চল থেকে। ২০১৯ সালে ২৯.৪৬ ক্যারটের একটি হিরা পাওয়া যায়। তিনি জানিয়েছেন, সুশীলের পাওয়া হিরাটির মূল্য কমপক্ষে এক কোটি টাকা হবে। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।