পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে টার্গেট করে দল গোছানোর কাজ শুরু করেছে ক্ষমতাসীনরা। আগামী তিন মাসের মধ্যে দল গোছানোর কাজ সম্পন্ন হলে জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করবে ক্ষমতাসীনরা। প্রতিটি নির্বাচনী আসনে ‘এমপি প্রার্থী পরিচিতি সভা’ অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেক এমপি প্রার্থী তারা দলের নেতাকর্মীদের সামনে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। একদিকে দলীয় কমিটি গঠন, অপর দিকে প্রার্থীদের প্রচারণায় আওয়ামী লীগের ভীত আরো মজবুত হবে মনে করছেন দলটির নেতারা।
আওয়ামী লীগের হাই-কমান্ডের নেতারা জানান, আগামী তিন মাসের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা ও উপজেলা কমিটির সম্মেলনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৩৫টিতে সম্মেলন শেষ হয়েছে। এপ্রিল মাসে পবিত্র মাহে রমজান থাকার কারণে সাংগঠনিক কাজের গতি কিছুটা কম থাকলেও মে মাসের মধ্যে জেলা ও উপজেলায় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। পরবর্তীতে শোকাবহ আগস্ট মাসের পর জোরেসরে নির্বাচনী প্রচারণে নামা হবে। এর মধ্যে প্রধান্য থাকবে সরকারের উন্নয়ন প্রচার করা এবং অনলাইন অপপ্রচার রুখে দেয়া। এজন্য আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ-কমিটি প্রায় এক লাখ অনলাইন এক্টিভিস্ট তৈরী করেছে। বিশেষ সূত্র জানায়, এছাড়া সরকারের তরফ থেকে ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে গুজব প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।
দলের কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, দ্বাদশ নির্বাচনের এক বছর সময় হাতে রেখে দলকে একটি শক্ত ভীতের উপর দাড় করাতে চাচ্ছেন নেতারা। নির্বাচনের আগে কেন্দ্র থেকে শুরু করে দলের সর্বস্তরে নতুন নেতৃত্ব আনা হবে। গত ইউপি নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী হয়ে বহিষ্কার হয়েছেন, যাদের শোকজ করা হয়েছে তাদের কোন পর্যায়ের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে না রাখতেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া যেসব নেতাদের নামে মাদক, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, হত্যাসহ বিভিন্ন অপকর্মের জন্য মামলা রয়েছে তাদের পদে আনা হবে না। প্রত্যেকটি সম্মেলনের মাঠে সবার সামনে প্রার্থীদের নাম উন্মুক্ত করে মতামত চাওয়া হচ্ছে। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা সম্মেলনের মাঠেই বলার সুযোগ দেয়া হচ্ছে এবং মাঠেই কমিটি ঘোষণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে আট বিভাগের আট সাংগঠনিক টিম তাদের কাজের খসড়া প্রস্তুত করছেন। তৃণমূল সংগঠনকে তাদেরকাজ বুঝিয়ে দিচ্ছেন; কখন সম্মেলন করা যাবে তা নির্ধারণ করছেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, যেসব নেতাদের নামে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের কারণে মামলা রয়েছে তাদের পদ দেয়া হবে না। যারা বিগত নির্বাচনে বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করেছেন তাদেরও পদ দেয়া হবে না। তিনি জানান, রাজশাহী বিভাগে দুইটি জেলায় সম্মেলন বাকী- ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং ৩১ মার্চ নওগাঁ।
আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে এস এম কামাল বলেন, জেলা সম্মেলনের পর প্রত্যেকটি আসনের এমপি প্রার্থীদের নিয়ে পরিচিতি সভা করা হবে। এমপি প্রার্থীরা নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের মাঝে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করার সুযোগ পাবে। এবং এসব সভায় তারা প্রত্যেকেই ওয়াদা করবেন যিনি নৌকা পাবেন তারা সবাই নৌকার পক্ষে কাজ করবেন।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, জেলা উপজেলায় সম্মেলন করা খুব কঠিন কাজ। পদ হারানোর ভয়ে কেউ সম্মেলন করতে চায় না। সম্মেলনের তারিখ দিবে দিবে করেও ছয় মাস কাটিয়ে দেয়। জেলা- উপজেলা নেতাদের পিছনে লেগে থেকে সম্মেলন করতে হয়।
গতকাল অনুষ্ঠিত বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, তিন মাসের মধ্যে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নকে ঢেলে সাজানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করবো। যেখানে সম্মেলন বাকি আছে সেগুলো সম্পন্ন করবো। আগামী ১২ মার্চ সকাল একটি ভার্চুয়াল সভা হবে। বরিশাল বিভাগ দিয়ে শুরু করবো। জেলা উপজেলা ও ইউনিয়নের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়। নাছিম জানান, বরিশালের মোট ৪টি জেলার সম্মেলন বাকি আছে। পিরোজপুর ও বরগুনায় ৭ মার্চের আগে জেলায় গিয়ে বর্ধিত সভা করা হবে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি গণভবনে দলের সভাপতিমন্ডলীর সভায় আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়া নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। দলীয় সূত্র মতে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সাপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তাই আগামী বছর নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগস্টের পর কয়েকটি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, সহযোগী সংগঠন যেমন মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, তাতী লীগ, ভাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের সম্মেলনের কথা ভাবছে ক্ষমতাসীনরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।