বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বেদখল হয়ে যাওয়া নিজেদের জমি-জমা ও বসতঘর ফিরে পেতে কাফনের কাপড় পড়ে অনশন কর্মসূচি পালন করা সেই তিন বোনের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক। ২৩ ফেব্রুয়ারী বিকেলে ওই তিন বোনকে নিয়ে তাদের পৈতৃক ভিটা বামনায় যান। এসময় তাদের ঘর এবং জমি ফেরত পাওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে অনশনরত তিন বোন রুবি আক্তার, জেসমিন আক্তার ও মোসাঃ রোজিনা কে নিয়ে তাদের বাড়িতে যান বরগুনার পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর মল্লিক। এরা বামনা উপজেলার গোলাঘাটা গ্রামের মৃত আব্দুর রশীদের মেয়ে।
এর আগে দখল হয়ে যাওয়া নিজেদের পৈতৃক ভিটা ও বাড়ি উদ্ধারের দাবিতে বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনশনে বসেন এই তিনবোন। এসময় প্রধানমন্ত্রী বরাবর লিখিত আবেদন করেন তারা।
পরে বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক তাদের অনশন ভেঙে তিন বোনকে নিয়ে তাদের বাড়ি বামনার গোলাঘাটা যান। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ এবং স্থানীয় গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে ওই তিন বোনের জমি বুঝিয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও তাদের জমিতে বসতঘর নির্মাণের জন্য ৩০ হাজার টাকা সহায়তা দেন, এছাড়া ভবিষ্যতেও সহায়তা করা হবে বলে আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার।
বড় বোন রুবি আক্তার বলেন, আমাদের মা-বাবা নাই, ভাইটিও ৭ বছর আগে এক্সিডেন্টে মারা যায়। আমার চাচারা গ্রামের প্রভাবশালীদের ইন্ধনে আমার বাবার জমি ও ঘর দখল করে নিয়েছিলো। এসপি স্যারের হস্তক্ষেপে জমি বুঝে পেয়েছি। তিনি আমাদের ঘর বানানোর জন্য সহায়তা দিয়েছেন। আমরা এতিম তিন বোন এসপি স্যার ও তার পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞ।
এবিষয়ে বরগুনা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, তারা বরগুনায় অনশনে বসেছিলো। আমি তাদের নিয়ে তাদের বাড়িতে যাই। তাদের ঘর নির্মাণের জন্য নগদ ৩০ হাজার টাকা সহায়তা দেই। আমি পরবর্তীতে আমার সাধ্য অনুযায়ী তাদের পাশে দাঁড়াবো ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।