Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেতাগী শহর রক্ষা বাঁধের ব্লকে ধস, আতঙ্কিত মানুষ

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০২১, ৭:৫৭ পিএম

উপকূলীয় জেলা বরগুনার বেতাগীতে সংস্কারের অভাবে বিষখালী নদীর পাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) দেয়া পৌর শহর রক্ষা বাঁধের ব্লক দিন দিন ধসে পড়ছে। আর এতে এখানকার ভাগ্যহত মানুষের কপাল পুড়ছে। লঘুচাপের প্রভাবে গত চারদিনের ভারী বর্ষণ ও বিষখালী নদীতে জোয়ার পানিবৃদ্ধির কারণে আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। এখন ব্লক ধসে বাঁধটি নদীতে বিলীন হতে আর সময়ের ব্যাপার মাত্র।

২০১৯ সালের ১৫ জুন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান প্রতিমন্ত্রী (কর্ণেল অব:) জাহিদ ফারুক শামীম এমপিসহ একাধিকবার মন্ত্রীদের সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শন, বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শওকত হাসানুর রহমান রিমনের জাতীয় সংসদে উপস্থাপন, বাঁধের ব্লক রক্ষার জন্য ইতোমধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় একাধিকবার মানববন্ধন, ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন এভাবে নানা কর্মসূচিও পালন করা হলেও সবকিছু আশ্বাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। অদ্যাবধি কাজের অগ্রগতি কিছুই হয়নি।

স্থানীয় একাধিক মানুষ অভিযোগ করেন মন্ত্রী, সচিব, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিভিন্ন সময়ে যদিও বাঁধের ব্লক রক্ষার প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন কিন্তু তাদের এ কথায় এখন আর কেউ আশ্বস্ত হতে পারছেন না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে সিডর, আইলা, আম্ফান ও ইয়াসের পর কোন ভেঙে যাওয়া রক্ষা বাঁধ স্থায়ীভাবে রক্ষার জন্য কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে ২০১১ সালে আরো ব্লক তৈরি করে বাঁশ, বালি ও বস্তার চট রেখে গেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এরপর ওই ঠিকাদারের আর খোঁজ নেই।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাঁধের ব্লক ধসে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ক্রমশ এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্লক ধসে জোয়ারে লবণাক্ত পানি ঢুকে গাছপালা বিশেষ করে ফলজ বৃক্ষের পাতাগুলো পুড়ে আঙ্গার হয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা পারছে না ফসল ফলাতে।

বেতাগী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব এবিএম গোলাম কবির বলেন, নানা জটিলতায় বেতাগী শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পটি আটকে ছিল। ইতোমধ্যে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শহররক্ষা বাঁধের একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছেন। আমি আশা করি শিগগিরই এ প্রকল্পটি একনেকের সভায় অনুমোদন হলে আমরা কাজ শুরু করতে পারবো।
বেতাগী পৌরসভার শহররক্ষা বাঁধের বিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার আহমেদ বলেন, বাঁধ নির্মাণের জন্য আমরা একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। ওই প্রকল্পে বেতাগী শহর রক্ষা বাঁধ রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রকল্প অনুমোদন পেলে বেতাগী শহররক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করবো। জেলার চারটি ভাঙন কবলিত স্থানকে একটি প্রকল্পের আওতায় সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটি গত জুন মাসে মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়।

বেতাগী পৌর শহরের কালি মন্দির এলাকার ভুক্তভোগী নেপাল কুন্ড এখানকার ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধের ব্লক রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টির দাবি জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বরগুনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ