বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্মরণকালের ভয়াবহ লঞ্চ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বরগুনায় শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে। এ দুর্ঘটনার শিকার অধিকাংশ যাত্রীদের বাড়ি বরগুনা জেলায়। নিহত সকলের পরিচয় এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। অগ্নিদগ্ধে অনেকেরই চেহারা বিকৃত হয়ে গিয়েছে। মৃতদেহ দেখে কেউকেই শনাক্ত করা যাচ্ছে না। অগ্নিদগ্ধদের পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ টেস্ট লাগতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। অগ্নিদগ্ধদের অনেককেই বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
আহতদের খোঁজখবরসহ নিহতদের লাশ গ্রহণের জন্য বরগুনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দিয়াকুল নামক স্থানে ঢাকা-বরগুনা রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহি লঞ্চ এমভি অভিযান-১০এ আগুন লাগার ঘটানায় এখন পর্যন্ত ৪০ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ২ শতাধিক এবং লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাপ দিয়ে অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে যাদের সঠিক পরিসংখ্যাণ নেই ও তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তাও অনিশ্চিত। দিবাগত রাত ৩ টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি এবং তাদের সনাক্ত করাও কঠিন। আহতদের অধিকাংশই ঝালকাঠি থেকে বরিশালে প্রেরণ করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া যাত্রী জুবায়ের খান জানান, আগুন ছড়িয়ে পরলে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ কেবিনের বাহির থেকে দরজা-জানালা বন্ধ করে দেয়ায় যাত্রীর আরো সংকটাপন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। নিহতদের মধ্যে বেশীরভাগই নারী ও শিশু। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশসহ প্রশাসন উদ্ধার তৎপরতা সমন্বিতভাবে করছেন। ঝালকাঠির-২ আসনের সংসদ সদস্য জননেতা আলহাজ¦ আমির হোসেন আমু সার্বক্ষণিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং এই ঘটনায় তিনি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এদিকে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় বরগুনা-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য এ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, বরগুনা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি এ্যাড. সঞ্জীব দাস, পৌর মেয়র এ্যাড. কামরুল আহসান মহারাজসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও সমবেদনাজ্ঞাপন করেছেন।
লঞ্চ এর মেশিন গরম হয়ে বিষ্ফোরিত হয়ে লঞ্চে আগুন লেগে যায়। লঞ্চটি ঝালকাঠির দিয়াকুল নামক স্থানে নদীর পারে ঘাটি দেয়। লঞ্চে আগুন লাগার পরপরই অনেক যাত্রী প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেয়।
বরিশাল বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক কামাল উদ্দিন মৃধা জানান, লঞ্চটি বিকেল ৬টায় ঢাকাস্থ নৌ-বন্দর থেকে বরগুনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর গাবখান চ্যানেলে পৌছলে অগ্নিকান্ডের কবলে পড়ে। অধিকাংশ যাত্রী জীবন বাঁচাতে নদীতে ঝাপ দেয়। আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানের জন্য ইতোমধ্যেই নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের যুগ্মসচিব তোফায়েল হোসেনকে প্রধান করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ যাত্রীদের সন্ধান এবং নিহতদের লাশ শনাক্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।