মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ছাত্রনেতা আনিস খানের রহস্য মৃত্যুতে প্রতিবাদের ঢেউ রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ল দিল্লিতেও। সোমবার দিল্লিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই। জেএনইউ থেকে বেরিয়ে শিক্ষার্থীরা মিছিল করে বঙ্গভবনের দিকে যান।
এ দিন আনিসের মৃত্যুর প্রতিবাদে নাগরিক মিছিল হয় কলকাতায়। প্রতিবাদ ও প্রতিরোধকে দীর্ঘতর করতে এই মিছিলকে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সঙ্গে। মিছিলের শুরুতেই ছিল 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো..' শীর্ষক ব্যানার। আনিসের মৃত্যুর প্রতিবাদে এ দিন দুপুরে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তায় নাগরিক মিছিলে হাঁটতে দেখা যায় আইনজীবী-সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, অভিনেতা বাদশা মৈত্র, দেবদূত ঘোষ, পরিচালক অনীক দত্ত, দীপ্সিতা ধর এবং সৃজন ভট্টাচার্য-সহ আরও বামপন্থী বুদ্ধিজীবীদের।
তাদের সঙ্গে এই মিছিলে বিভিন্ন বাম সংগঠনের হাজার খানেক কর্মীও হাঁটেন। কলেজ স্ট্রিটে প্রেসিডেন্সি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে আনিসের খুনের প্রতিবাদে মিছিল করে এসএফআই এবং এআইডিএসও। এক সময় কলেজ স্ট্রিট অবরোধও করা হয়। এন্টালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র পরিষদও। মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এসএফআই-এর আঞ্চলিক কমিটি।
সোমবার দুপুরে 'স্টুডেন্টস এগেনস্ট ফ্যাসিজম' নামে সংগঠনের ব্যানারে আনিসের মৃত্যুর প্রতিবাদে নাগরিক মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। সেই মিছিলের শুরুতে বিকাশ বলেন, ''অঙ্ক কষে আন্দোলন হয় না। আজ অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে এত মানুষ মিছিলে এসেছেন।'' মিছিলের শেষে আয়োজক স্টুডেন্টস এগেনস্ট ফ্যাসিজমের সৃজন ও দীপ্সিতারা বলেন, ''২০১১ সালে এ রাজ্যে পরিবর্তনের পর সুদীপ্ত গুপ্ত, সইফুল মোল্লা এবং মইদুল মিদ্দ্যা সকলেই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার। আনিসও তাই। তার হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া না হলে আরও বড় আন্দোলনের ডাক দেব আমরা।''
তবে নিরপেক্ষ নাগরিক রং পায়নি আনিসের মৃত্যুর প্রতিবাদে ডাকা নাগরিক মিছিল। সেখানে সরাসরি কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নেই, এমন কোনও নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনকে, সে ভাবে পা মেলাতে দেখা যায়নি। যদিও উদ্যোক্তাদের দাবি, এই মিছিল নাগরিক মিছিল। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এই মিছিলে পা মেলাতে। এসপ্ল্যানেড থেকে মহাজাতি সদন পর্যন্ত যায় এই মিছিল।
কলেজ স্ট্রিটে বিক্ষোভ সভা ও পথ অবরোধে এআইডিএসও-র রাজ্য সভাপতি শামসুল আলম রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে, মঙ্গলবার ছাত্রছাত্রীদের ডাকে মহাকরণ অভিযানকে পূর্ণ সমর্থন করে সমস্ত গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষকে এই অভিযানে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।