বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
১ হাজার ৬৮২ কোটি টাকার ওই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সওজ
পদ্মা সেতুর নাওডোবা প্রান্ত থেকে শরীয়তপুর জেলা শহর পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ২৭ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের প্রকল্প শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। ১ হাজার ৬৮২ কোটি টাকার ওই প্রকল্পটি ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। ওই লক্ষ্যে সড়ক নির্মাণের জন্য ১০০ সাড়ে পাঁচ হেক্টর জমি অধিগ্রহণের কাজ করছে জেলা প্রশাসন।
শরীয়তপুর সওজ ও জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আগামী জুনে পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার কথা রয়েছে সরকারের। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতু জাজিরার নাওডোবা প্রান্তে মিলেছে। নাওডোবায় সেতুর টোলপ্লাজা অতিক্রম করে পদ্মা সেতুর ১০ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক দিয়ে যানবাহন শিবচরে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠবে। সংযোগ সড়ক ও এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
কিন্তু শরীয়তপুর জেলার বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য প্রশস্ত কোন সড়ক ছিল না। শরীয়তপুর জেলার বাসিন্দাদের নির্বিঘেœ ও নিরাপদে পদ্মা সেতুতে যাতায়াতের জন্য জেলা শহর পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য আধা সরকারিপত্র (ডিওলেটার) দেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হক শামীম। এর প্রেক্ষিতে গত বছর ১ হাজার ৬৮২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয় জাতীয় অর্থনৈতিক নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়।
এরপর শরীয়তপুর সওজ বিভাগ চারলেন সড়ক নির্মাণের জন্য ১০০ সাড়ে পাঁচ হেক্টর জমি অধিগ্রহণের জন্য চিঠি দেয় জেলা প্রশাসনকে। ২৭ কিলোমিটার সড়কের জন্য জেলা প্রশাসন ২১টি এলএ কেসের মাধ্যমে জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট সড়কের জমির মালিকদের ভ‚মি অধিগ্রহণ আইনের ৪ ধারায় নোটিশ দিয়ে সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণের কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। ৬টি এলএ কেসের যৌথতদন্ত শেষ করা হয়েছে। ভ‚মি অধিগ্রহণের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২১৮ কোটি টাকা। এর মধ্য ক্ষতিগ্রস্থদের পরিশোধ করার জন্য ১১০ কোটি টাকা সড়ক বিভাগ জেলা প্রশাসনকে দিয়েছে।
আর একটি গুচ্ছ প্রকল্পে দুই লেনের ৩৪ ফিট প্রশস্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের দরপত্র আহবান করেছে সওজ বিভাগ। আরেকটি গুচ্ছ প্রকল্পে সড়কের দুটি সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে।
শরীয়তপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী ভ‚ঁইয়া রেদওয়ানুর রহমান বলেন, তিনটি প্যাকেজে (গুচ্ছ প্রকল্পে) পদ্মা সেতু-শরীয়তপুর এ্যাপ্রোচ সড়কটি নির্মাণ করা হবে। এই মুহূর্তে সড়কটি হবে দুই লেনের। জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে চার লেনের। পরবর্তিতে বাকি দুই লেন বর্ধিত করা হবে। একটি প্যাকেজে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার অংশের টেন্ডার চ‚ড়ান্ত হয়েছে। শিগগিরই কার্যাদেশ দেয়া হবে। আরেকটি প্যাকেজে দুটি বড় সেতু নির্মাণ কাজ চলছে। ভ‚মি অধিগ্রহণ কাজ শেষ করে আমাদের জমি বুঝিয়ে দেয়া হলে দ্রæততম সময়ে সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারবো।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান বলেন, জুনে পদ্মা সেতু চালু করা হবে। তার আগেই যাতে শরীয়তপুর জেলা শহরের সাথে পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ দৃশ্যমান হয় সে লক্ষ্য সামনে নিয়ে ভ‚মি অধিগ্রহণের কাজ করা হচ্ছে।
শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু বলেন, পদ্মা সেতু দিয়ে পারাপার এখন সময়ের ব্যাপার। শরীয়তপুর শহর থেকে পদ্মা সেতুতে যাওয়ার সড়কটি অত্যন্ত নাজুক ও সরু। তাই সড়কটি উন্নয়ন করে চার লেনে রুপান্তর করার জন্য ডিও লেটার দেয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ২৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এ জন্য শরীয়তপুরের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।