নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বৃষ্টি প্রায় ভাসিয়ে নিয়েছিল গোটা দুই দিন। তবু আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২২৪ রানের বিশাল ব্যবধানের হার আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ। টেস্টে নবীন একটি দেশ নিজেদের প্রথম দেখাতেই হারিয়ে দিল কি-না প্রায় দুই দশক পুরনো এক দলকে! ২০১৯ সালে দুদলের সেই দুঃসহ স্মৃতির ক্ষত এখনও কি শুকিয়েছে? সেই চট্টগ্রামেই আরেকটি লড়াইয়ে মুখোমুখি দু’দল। তবে এবার ভিন্ন ফরম্যাট- ওয়ানডে। নিজেদের প্রিয় সংস্করণে দীর্ঘ বিরতির পর মাঠে নামছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে বেলা ১১টায় শুরু হবে ম্যাচটি। আইসিসি সুপার লিগে তিন ম্যাচ সিরিজের বাকি দুটি একই ভেন্যুতে হবে ২৫ ও ২৮ ফেব্রæয়ারি।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে নিজেদের ঠিক ‘ফেবারিট’ বলার সুযোগ নেই বাংলাদেশের। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে জয়ের পাল্লা ভারি স্বাগতিকদের দিকে। এখনো পর্যন্ত ৮টি ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে পাঁচবার, আফগানিস্তান তিনবার। সর্বশেষ দুই ম্যাচেও জয়ী বাংলাদেশ। এই ৮ ওয়ানডের চারটিতে দু’দল মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশেই, ৩টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ অপরটি এশিয়া কাপে। বাকি চারটির দুটি এশিয়া কাপ আর দুটি বিশ্বকাপের মঞ্চে। তবু নিজেদের ফেবারিট বলার সুযোগ কি আছে সাকিব-তামিমদের? তবে একটি জায়গায় স্বস্তি পেতেই পারে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ব্যক্তিগত পরিসংখ্যানে যে এগিয়ে তামিম-সাকিবরাই।
দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ রান তামিম ইকবালের। সবচেয়ে বেশি উইকেট সাকিব আল হাসানের। এই দুই দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত ৫০ ওভারের খেলায় এখন পর্যন্ত একমাত্র শতক তামিমের, একমাত্র ৫ উইকেট শিকারও সাকিবেরই। এ দুজনই আজ শুরু হওয়া ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ খেলেছেন তামিম। পাঁচ ইনিংসে তার রান ২৭৩। গড় ৫৪.৬৪। সর্বোচ্চ ১১৮ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। ৭ ম্যাচ খেলে তার কাঁধে নিশ্বাস ফেলছেন মাহমুদউল্লাহ। তার সংগ্রহ ২৭০। রান সংগ্রহে পরের দুটি স্থানেও বাংলাদেশ- মুশফিকুর রহিম (২৬৬) ও সাকিব আল হাসান (২২৮)। আফগানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান হাশমতউল্লাহ শহিদী ও সামিউল্লাহ শিনওয়ারি। দুজনেরই রান ২২৬।
আফগানদের বিপক্ষে তামিমের শতকটি এসেছিল ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তামিম খেলেছিলেন সে ইনিংস। ১১৮ বলে ১১ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় সাজানো ছিল তামিমের সেই শতক। তার একমাত্র ৫০-এর ইনিংসটিও শতক হতে পারত। ফিরেছিলেন ৮০ রানে। সেটিও মিরপুরেই। ৯৮ বলে ৮০ রান করেছিলেন ২০১৬ সালের সে সিরিজেরই প্রথম ম্যাচে।
তামিম যখন ব্যাটে সেরা, বল হাতে তেমনি সবার ওপরে সাকিব আল হাসানই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭টি ওয়ানডে খেলে উইকেট পেয়েছেন ১৮টি। উইকেট সংগ্রহে তিনি আফগানিস্তানের দুই বড় তারকা মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খানকে পেছনে ফেলেছেন বড় ব্যবধানে। নবীর উইকেট ৮ ম্যাচে ১২টি, রশিদের ৬ ম্যাচে ১০টি। উইকেট সংগ্রহে বাংলাদেশিদের মধ্যে সাকিবের পরের অবস্থানে আছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, ৮ ম্যাচে তিনি তুলে নিয়েছেন ৯ উইকেট। তাসকিন আহমেদ ৪ ম্যাচে পেয়েছেন ৮ উইকেট। বোলিংয়ে আফগানদের আরেক বড় অস্ত্র অফ স্পিনার মুজিব উর রেহমান ৩ ম্যাচে নিয়েছেন ৬ উইকেট।
তবে ওয়ানডে ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও দীর্ঘ বিরতির পর ফিরছেন তামিম। জিম্বাবুয়েতে খেলা ওয়ানডে সিরিজে তামিমও তার সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন। এর পরের সময়টা চোটের সঙ্গে লড়াই করে কেটেছে এই বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের। শুধু তামিম নন, দলের বাকিদেরও ৫০ ওভারের খেলার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। অভিজ্ঞতা দিয়ে সেটি কাটিয়ে তোলার কথাই বলছিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক, ‘এখানে চ্যালেঞ্জের কিছু নেই। কারণ, কমবেশি সবাই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। আমরা টি-টোয়েন্টি খেলেছি, তবে আমার কাছে মনে হয় ওদের সঙ্গে ওয়ানডে দিয়ে শুরু করাই সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। কারণ আমার মতে, ওয়ানডেতে আমরা অবশ্যই ভালো দল। ছন্দে ফেরাটা সবচেয়ে গুরুত্বপ‚র্ণ বিষয় হবে। সবাই খেলার মধ্যে আছে, এটা ইতিবাচক দিক। সবাই ভালো করছে, ভালো খেলছে..., এখন শুধু আমাদের দল হিসেবে এক হতে হবে এবং ভালো পারফর্ম করতে হবে।’
সংস্করণটা ওয়ানডে বলে দলের সেরা খেলোয়াড়দেরও একসঙ্গে পাচ্ছেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে এটিও তামিমের জন্য স্বস্তির, ‘চোট বলুন বা ছুটির কারণে আমরা পুরো দল খেলতে পারিনি। এটা সৌভাগ্য যে এই সিরিজে পুরো দল পাব। অধিনায়ক হিসেবে এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। সবাই ভালো অবস্থায় আছে; মানসিক দিক বা পারফরম্যান্সের দিক থেকে। আমরা সবাই জানি এই সিরিজ আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপ‚র্ণ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।