মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সোনা, গয়না, টাকা থেকে শুরু করে অনেক কিছু চুরির ঘটনার কথা শুনেছেন। কিন্তু কখনও শুনেছেন ট্রাফিক সিগন্যালের ব্যাটারি চুরির ঘটনার কথা? হ্যাঁ, এমন ঘটনাই ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। আর সেই চুরির ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এক দম্পতিকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২১-এর জুন থেকে ২০২২-এর জানুয়ারির মধ্যে ওই দম্পতি ২৩০টি ব্যাটারি চুরি করেছেন। এক একটি ব্যাটারির ওজন ১৮ কেজি। প্রতি কেজি ৭৫ টাকায় বিক্রি করতেন ওই দম্পতি। এ ভাবে বেঙ্গালুরু শহরের ৬৮টি ট্রাফিক জংশনের সিগন্যালের ব্যাটারি চুরি করেছেন তারা।
ধৃতরা হলেন, এস সিকন্দর এবং তার স্ত্রী নাজমা সিকন্দর। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। সিকন্দর পোশাক বিক্রি করেন। আর নাজমা একটি বেসরকারি সংস্থায় দর্জির কাজ করেন। লকডাউনের আগে চায়ের দোকান ছিল সিকন্দরের। কিন্তু লকডাউনের সময় পুলিশ সেটি জোর করে বন্ধ করে দেয়। তার পর থেকেই পুলিশের উপর রাগ ছিল তার।
কী ভাবে চুরি করতেন, পুলিশকে তা জানিয়েছেন সিকন্দর। এক দিন সিকন্দর এবং তার স্ত্রী স্কুটারে করে যাচ্ছিলেন। ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকার সময় তাদের চোখ পড়ে সিগন্যালের ব্যাটারি-বাক্স খোলা। দ্রুত সেই বাক্স থেকে ব্যাটারি খুলে নিয়ে চম্পট দেন তারা। পর দিন চোরাই বাজারে সেই ব্যাটারি বিক্রি করে চার হাজার টাকা পেয়েছিলেন।
তাদের এই ব্যাটারি-অভিযান চলত মূলত রাতের দিকে। রাতে দু’জনেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন। সিসিটিভি ক্যামেরায় যাতে তাদের গাড়ির নম্বরপ্লেট ধরা না পড়ে, তাই আগে থেকেই টেলল্যাম্পের তার কেটে রেখেছিলেন। সিগন্যালের খানিক দূর থেকে হেড্লাইটও বন্ধ করে দিতেন। তার পর দ্রুত কাজ সেরে পালাতেন।
প্রায় দিনই শহরের কোনও না কোনও ট্রাফিক সিগন্যাল খারাপের খবর আসছিল পুলিশের কাছে। সিগন্যাল কেন দু’দিন অন্তরই খারাপ হয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে তদন্তে নামতেই দেখা যায়, সিগন্যালের ব্যাটারি উধাও হয়ে যাচ্ছে। এর পরই বিষয়টিতে নজর রাখতে শুরু করে পুলিশ। সমস্ত ট্রাফিক সিগন্যালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তারা। চার হাজার স্কুটারের তথ্য পরীক্ষা করা হয়। সাড়ে তিনশো জন স্কুটারের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। সেই সময়ই পুলিশের জালে পড়েন সিকন্দর এবং নাজমা। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।