Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুক্তরাষ্ট্রে মহামারির অর্থনৈতিক প্রভাব প্রশমিত হচ্ছে?

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৫ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অঙ্গরাজ্য বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার নীতিমালা শিথিল করছে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে চাহিদা। তবে মাথাব্যথা হিসেবে এখনো রয়ে গেছে সরবরাহ চেইন সংকট। খবর নিউইয়র্ক টাইমস। খুচরা বিক্রি বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধিতে অর্থনীতির ওপর মহামারির প্রভাব কমছে। জানুয়ারিতে করোনা সংক্রমণের রেকর্ড হলেও কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধি ও খুচরা ব্যয় ছিল চাঙ্গা। নিউইয়র্ক, ম্যাসাচুসেটস ও অন্যান্য অঙ্গরাজ্য ইনডোরে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা তুলে দিচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার নভেল করোনাভাইরাসকে দীর্ঘমেয়াদি কিন্তু নিয়ন্ত্রণযোগ্য ঝুঁকি হিসেবে আমলে নিয়ে জনস্বাস্থ্য নীতিমালা উন্মোচন করেছে ক্যালিফোর্নিয়া কর্তৃপক্ষ। অর্থনীতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও বেশকিছু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি অভিঘাত থাকবে তা স্পষ্ট। কাজের প্রকৃতি, সামাজিক অনুষ্ঠানাদি ও অবকাশ যাপন বিঘ্নিত করেছে মহামারি। চার দশকের সর্বোচ্চ দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছে অনেক মার্কিন। এরই মধ্যে বিভিন্ন পণ্য ও সেবায় মূল্যস্ফীতির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বর্তমান পরিস্থিতি বাইডেন প্রশাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে হাজির হয়েছে। তাদের আর্থিক নীতিমালা পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখছে কিনা এ নিয়ে সন্দেহ পোষণ করছে উল্লেখযোগ্য জনগোষ্ঠী। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের নীতিনির্ধারকদের সামনেও তা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে। মহামারির প্রভাব কত দিন স্থায়ী হবে এবং তার প্রভাব প্রশমনে কোন পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে তা নির্ধারণে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। করোনাকালে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো পরিস্থিতি সামলে নিতে পারলেও ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো বেশ ভুগেছে। ফুল ও গাছের চারা ব্যবসায়ী ক্যাথরিন রাজ তাদের একজন। বেশির ভাগ খুদে ব্যবসায়ীর মতো তিনিও রোলার কোস্টার রাইডে ছিলেন। মহামারির শুরুতে আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর ২০২০ সালের গ্রীষ্মে এটি চালু করেন। শুরুর দিকে ব্যবসা চাঙ্গা হয় এবং তিনি কার্যক্রম সম্প্রসারণও করেন। কিন্তু ২০২১ সালে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি ও করোনা বিধিনিষেধ আরোপের ফলে ব্যবসা ঝুঁকিতে পড়ে। সাত কর্মীর ছোট এ প্রতিষ্ঠান তার কর্মীর বহর ছোট করতে বাধ্য হয়। বেশির ভাগ ছোট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের জন্য ২০২১ সালের চিত্র ছিল অনেকটা একই রকম। সংক্রমণের হার কমা, টিকা গ্রহণের হার বৃদ্ধি এবং ফেডের ইতিবাচক পূর্বাভাসের ফলে ব্যবসা বেশ চাঙ্গা ছিল। তার পরই হানা দেয় কভিড-১৯-এর ডেল্টা ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। এতে চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় অনেক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম সংকোচনে যায়। কিছু অর্থনীতিবিদ বেশ আশাবাদী যে, মহামারির প্রভাব কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতি স্বাভাবিক হবে। তবে আগে যে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল, তার চেয়ে কিছুটা বিলম্বিত হবে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অস্টান গোলসবি তাদের অন্যতম। একেবারে মহামারির শুরুতেই তিনি বলে আসছিলেন, অর্থনীতি সচল করার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে মহামারিকে নিয়ন্ত্রণে আনা। যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে অর্থনীতিতে এ উত্থান-পতন চলতে থাকবে। নিউইয়র্ক টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ