মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেন সীমান্তে বেজেছে যুদ্ধের দামামা। রাশিয়া ও ইউক্রেন সরাসরি যুদ্ধে না জড়ালেও পূর্ব ইউক্রেনে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে ইতোমধ্যেই সংঘর্ষে জড়িয়েছে রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। চলমান এই সংঘর্ষের মধ্যে সেখানে একদিনেই এক হাজার ৪০০-র বেশি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
পর্যবেক্ষক সংস্থার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং ইউক্রেনের সরকারি বাহিনীর হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ‘নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি’ পেয়েছে। পূর্ব ইউক্রেনের দোনেতস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলে কেবল শনিবারই এক হাজার ৪০০-র বেশি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
অন্যদিকে শনিবার পূর্ব ইউক্রেনে দেড় হাজারেরও বেশিবার অস্ত্র বিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বলে পৃথক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। একদিনের হিসেবে চলতি বছর এটি সর্বোচ্চ।
ইউরোপে নিরাপত্তা ও সহযোগিতা বিষয়ক সংস্থা অর্গানাইজেশন ফর দ্য সিকিউরিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন ইন ইউরোপ (ওএসসিই)-র পর্যবেক্ষকদের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থাটি। ওএসসিই মূলত পূর্ব ইউরোপের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে থাকে।
শুক্রবার হওয়া হামলার বিষয়ে একটি রিপোর্টে পর্যবেক্ষক এই সংস্থাটি জানিয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনে একদিনে মোট ১৫৬৬টি অস্ত্র বিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দোনেতস্ক অঞ্চলে ৫৯১টি এবং পার্শ্ববর্তী লুহানস্ক অঞ্চলে অস্ত্র বিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটনা ঘটেছে ৯৭৫টি। পূর্ব ইউক্রেনের এই দু’টি অঞ্চল রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আংশিকভাবে দখল করে রেখেছে।
ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই প্রায় এক লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন রেখেছে প্রতিবেশী রাশিয়া। এর মধ্যে ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহরও ইউক্রেন সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশটি। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো।
তবে যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বলছে যে, যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে হামলা করে বসতে পারে রাশিয়া। একই আশঙ্কা প্রকাশ করছে ওয়াশিংটনের অন্যান্য মিত্র দেশগুলোও। এই পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার রাশিয়া জানায়, সামরিক মহড়া শেষে ইউক্রেনে সীমান্ত থেকে ঘাঁটিতে ফিরতে শুরু করেছে রুশ সেনারা।
কিন্তু পশ্চিমা দেশের কর্মকর্তারা বলছেন, মস্কোর এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ তারা পাননি। বরং ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সংখ্যা আরও বাড়িয়েছে মস্কো। অবশ্য ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো। এছাড়া রুশ সেনারা ওই অঞ্চলে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে বলেও জানিয়েছে রাশিয়া।
এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং ইউক্রেনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের তৃতীয় দিনে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় শনিবার দুই ইউক্রেনীয় সেনা নিহতের কথা জানানো হয়।
এছাড়া ইউক্রেন সরকার এবং রুশপন্থি বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ায় শুক্রবার এই দুই স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র থেকে বাসিন্দাদের রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। লুহানস্ক ও দোনেতস্ক থেকে আসা মানুষদের রাশিয়ায় আশ্রয় ও খাবারের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।