মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শুধু যে মার্কিন প্রশাসনের স্টেট দফতরের মুখপাত্রই বাইডেন সরকারের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন তাই নয়। সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এ নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে সেটাও জানিয়েছেন। আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, ভারত অবস্থান স্পষ্ট করুক এবং কোয়াড গ্রুপ গ্রহণ করা প্রস্তাব অনুসরণ করুক। মার্কিন মুখপাত্র নেড প্রাইস দাবি করেছেন, সেই আলোচনায় নাকি ভারত রাজিও হয়েছে মার্কিন প্রস্তাবে।
এখন শ্যাম রাখি না কুল? শেষ পর্যন্ত কাকে রাখবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি? আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় নৈতিক সঙ্কটে পড়েছে মোদি সরকার। আমেরিকা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে, এবার ভারত আন্তর্জাতিক বিধিকে সম্মান করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুক। ইউক্রেনে যদি রাশিয়া হানা দেয়, তাহলে ইউরোপ ও আমেরিকা প্রত্যাঘাত করতে তৈরি। কিন্তু ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অক্ষে আমেরিকার সবচেয়ে বড় সহযোগী ভারতকে সরাসরি পাশে চাইছে আমেরিকা। মার্কিন প্রশাসন বৃহস্পতিবার কূটনৈতিক চাপ দিয়ে বলেছে, ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ভারত যে সিদ্ধান্ত আজ নেবে, সেটার উপর ভবিষ্যতের অনেক সমকীরণ নির্ভর করছে। আমরা আশা করছি, ভারত আন্তর্জাতিক বিধিকে সম্মান করেই ঘোষিত অবস্থান অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।
মার্কিন মুখপাত্র এদিন ভারতকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারত যে অবস্থান নিয়েছে, অর্থাৎ একটি রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বে কোনো রকম আগ্রাসী মনোভাব দেখাবে না, সেটা এক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আমেরিকা পরোক্ষভাবে বলছে, আপাতত চীন ভারতের সাথে যে আচরণ করছে, তা নিয়ে ভারত কোয়াড গ্রুপে সরব। ঠিক সেটাই যদি রাশিয়া ইউক্রেনের ক্ষেত্রেও করে, তাহলে ভারতের উচিত একইরকম মনোভাব নেয়া। ইউক্রেনে রাশিয়া ও ন্যাটো উভয়েই বিপুল সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে। আমেরিকা বনাম রাশিয়া টেনশন বহু বছর পর আবার তুঙ্গে উঠেছে। এর মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দাবি, যেকোরস্ সময় রাশিয়া আক্রমণ করবে ইউক্রেনকে। তিনি আরো বলেন, রাশিয়া সেনা সরায়নি। বরং আরো বেশি মোতায়েন করছে। একই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আন্তর্জতিক মিডিয়াগুলোও। ভারতের পক্ষে এই পরিস্থিতিতে কোনো একটি পক্ষকে সরাসরি সমর্থন করা কিংবা অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করা যথেষ্ট চাপের।
এর কারণ, আমেরিকার সাথে একদিকে যেমন ভারতের বহুমুখী সম্পর্ক। বাণিজ্য থেকে প্রতিরক্ষা। ভারতের অতিরিক্ত মার্কিন প্রীতি দেখে রাশিয়া উদ্যোগী হয়ে পাকিস্তান ও চীনের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছে, যা ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। চীন ও পাকিস্তানকে নিয়ে ভারত পুরোপুরি সতর্ক।
এরপরই ভারত হঠাৎ রাশিয়ার সাথে বিপুল প্রতিরক্ষা চুক্তিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। হেলিকপ্টার, ট্যাঙ্ক, ফাইটার জেট তো আছেই। ৪৩ হাজার কোটি রুপির এস ৪০০ মিসাইল সিস্টেম চুক্তি হয়েছে। রাশিয়ার সাথে নতুন করে ভারতের উষ্ণতার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। এই অবস্থায় ইউক্রেন নিয়ে ভারত কোন দিকে যাবে? মোদি সরকার সতর্ক অবস্থান নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার আমেরিকার বিবৃতির পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ভারসাম্যের মন্তব্য করেছে।
মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, আমরা চাই কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হোক। কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেনকে আক্রমণ করলে ভারত কী অবস্থান নেবে? মোদি সরকার এই নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। সূত্র : বর্তমান
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।