বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আন্তর্জাতিক একটি চক্র জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপতৎপরায় লিপ্ত হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের পাসপোর্ট ভুয়া ই-মেইল আইডি ও মোবাইল নম্বর, সিটি কর্পোরশেনের কথিত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও হিসাব রক্ষকের নাম ও স্বাক্ষর ভুল প্যাড ব্যবহার করে দক্ষিণ কোরিয়ার শীন শীন গ্লোবাল লি: কোম্পানী দশ মিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের আটিটি ফায়ার ফাইটিং ট্রাক ক্রয়ে নয়টি ভুয়া ডকুমেন্ট তৈরী করে চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনকে ফাঁসানোর অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তারা দক্ষিণ কোরিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসে মিথ্যে অভিযোগ দাখিল করে সিটি কর্পোরেশনের সুনাম নষ্ট করছে। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। আজ বুধবার দুপুরে নগর ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন জালিয়াতি চক্রের অপতৎপরতার কথা তুলে ধরেন।
লিখিত বক্তব্যে মেয়র বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কার্যাবলীর মধ্যে ফায়ার ফাইটিং সেবা অন্তর্ভুক্ত নয়। এর জন্য বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স নামে স্বতন্ত্র একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্বভাবতই সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক ফায়ার ফাইটিং ট্রাক ক্রয়ের প্রশ্নই আসেনা।
কোরিয়ান কোম্পানী শীন শীন গ্লোবালের চুক্তিপত্রে সিটি কর্পোরেশনের যে প্যাড ব্যবহার করা হয়েছে তা সঠিক নয়। সিটি কর্পোরেশনের এক্সিকিটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার নাম ও সীল ব্যবহার করা হয়েছে তা ভুয়া। এসব নামে কোন কর্মকর্তা নেই এবং ছিলনা। সমস্ত জাল কাগজপত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
মেয়র উল্লেখ করেন ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে শীন শীন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্লোবাল কোম্পানী রাজশাহীতে একশো মেগাওয়াটের সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণের আগ্রহ দেখিয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বরাবর পত্র দেয়। তার প্রেক্ষিতে কোম্পানীর প্রেসিডেন্ট বিসি সাইন রাজশাহী আসেন। একাধিক আলোচনার পর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মানে অনাগ্রহ দেখানোর পর তার সমাপ্ত ঘটে। প্রায় তিন বছর পর গত ১ ডিসেম্বর বিসি সাইন তার টেলিফোন নম্বর থেকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যাডভাইজার আশরাফুল হককে ফোন করে আটটি ফায়ার ফাইটিং ট্রাক রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ক্রয়ের বিষয়ে জানতে চান। এখন সিটি কর্পোরেশনের সাথে কোম্পানীর কখনোই যোগাযোগ না হওয়ার বিষয়টা জানিয়ে দেয়া হয়। তার পাঠানো ই-মেইল ডকুমেন্টে এসব নকল কাগজপত্রের বিষয়টা ধরা পড়ে। এরপর গত ৪ ডিসেম্বর মেয়র বরাবর কথিত ডিমান্ড নোটিশ প্রেরণ করে। তাকে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেয়া হয় সমস্ত ডকুমেন্ট ভ‚য়। তারপরও দক্ষিণ কোরিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসে বিসি শীন একাধিক বার যোগাযোগ ও মিথ্যে অভিযোগ দাখিল করেন। এতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও মেয়রের মর্যাদাহানি হয়েছে। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
মেয়র বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন দেশের মধ্যে অন্যতম সিটি কর্পেরেশন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করে দেশ সেবার পুরস্কার পেয়েছে। এখনো পরিচ্ছন্ন নগরী হিসাবে গড়ে তোলার কাজ চলমান। দেশ বিদেশে সুনাম অর্জন করেছে। এ সুনাম নষ্ট করতে মহল বিশেষ চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। প্রতারণার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া প্রক্রিয়াধীন। দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসে পত্র দিয়ে সমস্ত বিষয় অবহিত করা হয়েছে। লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনে প্যানেল মেয়র-১ কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, সচিব মোঃ মশিউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ারিং এডভাইজার মোঃ আশরাফুল হক, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইমরানুল হক প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।